শাকিল-শাদাবের পাল্টা আক্রমণের পরও পাকিস্তানের ২৭০
বাবর আজম ও সৌদ শাকিলের অর্ধশতক, শাকিল ও শাদাব খানের পালটা আক্রমণের ষষ্ঠ উইকেট জুটির পরও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ২৭০ রানেই আটকে গেছে পাকিস্তান। চেন্নাইয়ে পাকিস্তানের মূল ক্ষতিটা করেছেন পেসার মার্কো ইয়ানসেন ও বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার তাব্রেইজ শামসি, দুজন মিলেই নিয়েছেন ৭ উইকেট। এক সময় ৩০০ রানের দিকে এগোলেও ইনিংসের ২০ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে গেছে পাকিস্তান।
উইকেট ধরে রেখে ইনিংস গড়ার যে ধাঁচ, টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া পাকিস্তান ঠিক সে পথে এগোয়নি আজ। প্রথম ৫ ব্যাটসম্যানের কেউ শুরুতেই ফিরেছেন, কেউ ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি, কেউ অর্ধশতকের পরই আটকে গেছেন। তবে সবাই থেমেছেন প্রশ্নবিদ্ধ শট নির্বাচনের পর।
দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানই মার্কো ইয়ানসেনের শিকার। শর্ট বলে ডিপ স্কয়ার লেগে আব্দুল্লাহ শফিক, অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের ফুল লেংথ বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ইমাম-উল-হক ক্যাচ দেন ওয়াইড স্লিপে। সপ্তম ওভারে ৩৮ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তান প্রথম পাওয়ার প্লেতে তোলে ৫৮ রান।
বাবর ও রিজওয়ানের জুটি ৫৬ বলে যোগ করে ৪৮ রান, প্রায় নিয়মিত বাউন্ডারি পেলেও ডট বলও ছিল সেখানে। পাকিস্তানের ইনিংসজুড়েই এ চিত্র ছিল। জেরাল্ড কোয়েৎজির শর্ট বলে উইকেটের পেছনে রিজওয়ান ক্যাচ দিলে ভাঙে বাবরের সঙ্গে জুটি, ইনিংসে শর্ট বলে আউট হওয়া দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হন তিনি ২৭ বলে ৩১ রান করে। ইফতিখার আহমেদকে পাকিস্তান পাঠায় সৌদ শাকিলের আগেই, কিন্তু সেটি ঠিক কাজে আসেনি।
বাবরের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়লেও ইফতিখার থামেন ২১ রান করে তাব্রেইজ শামসিকে তুলে মারতে গিয়ে, বাঁহাতি রিস্ট স্পিনারের গুগলি পড়তেই পারেননি তিনি। মাঝের ওভারে শামসিই সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন পাকিস্তানিদের। যাঁর পরের শিকার বাবর। ৬৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করা বাবর ছিলেন বেশ ইতিবাচক, কিন্তু ৬৫ তম বলেই থামতে হয় তাঁকে। শামসির লেংথ বলে হাঁটু গেঁড়ে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি, দক্ষিণ আফ্রিকা যে উইকেট পায় রিভিউ নিয়ে। আরেকবার ৫০ ছুঁলেও কাঙ্ক্ষিত শতকটা এনে দিতে পারেননি তিনি পাকিস্তানকে।
৩০ ওভারের আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা পাকিস্তানকে তখন চোখ রাঙাচ্ছিল ধস। শাদাব ও শাকিলের জুটি সেটি হতে দেয়নি, উল্টো পাকিস্তানকে ৩০০ রানের আশাও জুগিয়েছেন দুজন। নিজের বোলিং নিয়ে সমালোচনার মুখে থাকা শাদাব ব্যাটিংয়ে নিজের ভূমিকা পালন করেছেন বেশ ভালোভাবে, সঙ্গে শাকিলও ছিলেন দারুণ। মাত্র ৪৫ বলেই দুজনের জুটি ৫০ ছুঁয়ে ফেলে। ৮৪ রানের সে জুটি ভাঙেন কোয়েৎজি, তাঁর শর্ট লেংথে পুল করতে গিয়ে খাড়া ওপরে তোলেন ৩৬ বলে ৪৩ রান করা শাদাব। শাকিলও থামেন অর্ধশতকের পরপরই, ৫২ বলে ৫২ রান করে শামসির শিকার তিনি।
পাকিস্তানকে এরপরও ৩০০-এর আশা দিয়েছিলেন মোহাম্মদ নেওয়াজ, কিন্তু ইনিংসের ২৫ বল বাকি থাকতে ইয়ানসেনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়ে থামতে হয় তাঁকে। এর আগে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে আউট করে নিজের চতুর্থ উইকেটটি পান শামসি। ১১ রানের মধ্যে শেষ ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান।