দলে পরিবর্তন এনে বাংলাদেশে আসছে আয়ারল্যান্ড
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আজ বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে আয়ারল্যান্ড দল। ১২ মার্চ ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা আইরিশদের। সফরে একটি টেস্টের পাশাপাশি তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল।
তিন সংস্করণ ক্রিকেটের সফরটি শুরু হবে ১৮ মার্চ ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে। তিনটি ওয়ানডেই হবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ, প্রথম ম্যাচ ২৭ মার্চ। আর সফরের একমাত্র টেস্টটি শুরু হবে ৪ এপ্রিল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।
সফরে আসার আগে বাংলাদেশ সফরের জন্য ঘোষিত তিন সংস্করণের আইরিশ দলে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পিএসএল ও আইপিএলের কারণে বাংলাদেশ সফরে আসছেন না ওয়ানডে দলে থাকা অলরাউন্ডার জস লিটল। পড়াশোনার কারণে এ সফর থেকে ছুটি নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি দলে থাকা কনর ওলফার্ট। দুজনের বদলে তিন সংস্করণের দলেই সুযোগ পেয়েছেন দেশের হয়ে ৮টি টি-টোয়েন্টি খেলা ফিওন হ্যান্ড।
সাদা বলের ক্রিকেট তো আছেই, তবে আইরিশদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোমাঞ্চ বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট খেলা নিয়ে। ২০১৯ সালের পর যে আর কোনো টেস্ট খেলেনি আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ আইরিশদের ইতিহাসের চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ হতে যাচ্ছে। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের পরের বছর আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছে তারা।
দেশ ছাড়ার আগে তিন সংস্করণের ক্রিকেটে আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবার্নি এ প্রসঙ্গে বলছিলেন, ‘দলের মধ্যে অন্য রকম রোমাঞ্চ কাজ করছে। আমরা একেবারেই অজানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। তবে সে চ্যালেঞ্জ সামলে নিতে সবাই মুখিয়ে আছে। আমাদের খুব দ্রুত ওই ধরনের কন্ডিশনে খেলার উপায় খুঁজে নিতে হবে।’
কদিন আগে বিপিএল খেলে গেছেন বলবার্নি ও আইরিশ অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফার। সে অভিজ্ঞতা এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে কাজে লাগবে বলে বিশ্বাস দলটির অধিনায়কের, ‘অভিজ্ঞতাটা ভিন্ন ছিল। তবে উপভোগ্যও। একেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের একেক রকম অভিজ্ঞতা। বিপিএলও সে রকমই। আমার জন্য ভালো অভিজ্ঞতা বলতেই হয়। আমার খেলা এতে আরও উন্নত হবে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। সেই অভিজ্ঞতাটা নিশ্চয়ই এই সিরিজে কাজে লাগবে। আমি আর ক্যাম্ফার ব্যাটিং ও বোলিং গ্রুপের সঙ্গে এ নিয়ে নিশ্চয়ই আলোচনা করব।’