তাঁদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছেন কোহলিরা, বললেন বাবর
ভারত ২২৮ রানে জেতার পর সম্প্রচারক চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ম্যাচটা কোথায় হেরেছে পাকিস্তান—এই প্রশ্নের উত্তরে প্রচলিত ক্রিকেটীয় উত্তরই দিলেন বাবর, ‘প্রকৃতি তো আর আমাদের হাতে নেই। তবে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে (হেরেছি)।’
বাবরের যুক্তিকে ভুল প্রমাণের সুযোগ নেই। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ম্যাচটি নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ছিল রোববারই। বৃষ্টি হানা দেওয়ায় রিজার্ভ ডেতে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু সোমবারও হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। বৃষ্টির এই খেলার মধ্যেই ব্যাটিং ও বোলিংয়ে ভারতের কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে পাকিস্তান।
ভারত আগে ব্যাট করে ২ উইকেটে ৩৫৬ রান তুলে পাকিস্তানকে ১২৮ রানে অলআউট করেছে—এমন পারফরম্যান্স দেখেই বলে দেওয়া যায়, পাকিস্তান ম্যাচটা কোথায় হেরেছে। অবশ্যই ব্যাটিং ও বোলিংয়ে।
পাকিস্তানের সেরা তিন বোলারের বিপক্ষে পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিলেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল। বাবর নিজে বলেছেন সে কথা। পাকিস্তানের স্ট্রাইক বোলার শাহিন আফ্রিদির ওপর শুরুতেই চড়াও হয়েছিলেন গিল। পরে মার খেয়েছেন নাসিম শাহ এবং হারিস রউফও।
শাহিন নিজের ১০ ওভারে ৭.৯ করে রান দিয়েছেন। নাসিম ও হারিস ওভারপ্রতি গড়ে ৫–এর বেশি রান দিলেও নিজেদের পরের ওভারগুলোতে তেমন ভালো করতে পারেননি। রউফ তো চোটের কারণে রিজার্ভ ডেতে বোলিংই করেননি। আর লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলিও সেঞ্চুরিতে নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। বাবর তাই বললেন, ‘আমাদের বোলারদের বিপক্ষে তাদের পরিকল্পনা ছিল। রাহুল ও বিরাট দারুণ ফিনিশ করেছে। যশপ্রীত ও সিরাজ প্রথম ১০ ওভারে দুই দিকেই সুইং করিয়েছে। আমরাও দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়েছি, জুটি গড়তে পারিনি।’
৩২ ওভারে ১২৮ রানে অলআউট হওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে স্পিন জাল বিছিয়েছিলেন কুলদীপ যাদব। বাঁহাতি এই কবজির স্পিনার ৮ ওভারে ২৫ রানে ৫ উইকেট নেন। ম্যাচ শেষে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সম্প্রচারক চ্যানেলকে তিনি বলেছেন, ‘এক বছর ধরেই ভালো ছন্দে আছি। ধারাবাহিকতা উপভোগ করছি। ৫ উইকেট পেয়ে ভালোই লাগছে। শীর্ষ সারির দলগুলোর বিপক্ষে পরিকল্পনা তো থাকেই। সব সময়ই প্রস্তুত থাকতে হয়।’