১৯০ রান যথেষ্ট মনে হওয়ায় বাউন্ডারি না মেরে সিঙ্গেলস নিচ্ছিলেন রিজওয়ান–ইমাদ
৬২ বলে ৯৮ রান—স্ট্রাইক রেট ১৫৮.০৬। বলতে পারেন, মন্দ কি! তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মোহাম্মদ রিজওয়ানের খেলা এই ইনিংস পাকিস্তানকে জেতাতে পারেনি।
সেই ম্যাচে ১৬তম ও ১৭তম ওভারে ৩৩ রান নেওয়া পাকিস্তান শেষ তিন ওভারে তুলতে পারে মাত্র ২৮ রান। সাবেক ক্রিকেটার থেকে সমর্থক অনেকেই মনে করেন রিজওয়ানকে সেঞ্চুরি করার সুযোগ দিতেই শেষ দিকে কিছু রান কম হয়েছে পাকিস্তানের। এমন অভিযোগের পর এত দিন চুপ করে থাকলেও অবশেষে মুখ খুলেছেন রিজওয়ান।
সেই ম্যাচে শেষ দিকে রিজওয়ানের সঙ্গে ক্রিজে ছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। শেষ দিকে রিজওয়ানের টাইমিংয়ে গড়বড় হলেও ইমাদ ব্যাটে ভালোই ঝড় তুলেছিলেন। তবে ছন্দে থাকা ইমাদ বড় শট না খেলে রিজওয়ানকে স্ট্রাইক দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
পাকিস্তান সেই ম্যাচে হারায় অনেকের কাছেই দৃষ্টিকটু লেগেছে শেষ দিকে রিজওয়ানের ব্যাটিং। পাকিস্তানের সাবেক নির্বাচক মোহাম্মদ ওয়াসিম তো বলেই দিয়েছিলেন—পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটসম্যানরা ব্যক্তিগত মাইলফলকের জন্য খেলেন, তাঁদের মাথায় সারাক্ষণ থাকে আইসিসি র্যাঙ্কিং, তাঁদের লক্ষ্য দলের সাফল্য নয়।
এ কথার জবাবে মোহাম্মদ রিজওয়ান বলেছেন, ‘আমরা ৫০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়িয়েছি। ১৮০ রানের আশপাশে এই পিচে ভালো রান এমন একটা বার্তা ড্রেসিংরুম থেকে এসেছিল। আমরা সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই খেলছিলাম।’
রিজওয়ানের দাবি, সিঙ্গেল নিয়ে তাঁকে স্ট্রাইকে দেওয়ার কোনো আলোচনাই হয়নি, ‘সিঙ্গেল নেওয়া নিয়ে কোনো কথাই হয়নি। আমরা যখন ১৯০ রানের কাছাকাছি পৌঁছালাম, তখন ইমাদ বলল এই রান এই উইকেটে যথেষ্ট। এ কারণেই তখন সে সিঙ্গেল নিয়েছে। আমরা জিতে গেলে এই নিয়ে কোনো কথাই হতো না। তবে এরপরও আমরা মেনে নিচ্ছি এটা ভুল ছিল, সমালোচনা করা ঠিক আছে।’