২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের হয়ে নাজমুলই প্রথম

অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টেই শতক, নাজমুলের উচ্ছ্বাসটা তাই বেশিইশামসুল হক

টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে তিন অঙ্ক ছোঁয়া ব্যাটসম্যানের সংখ্যা কম নয়। সিলেটে চলা বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্টের আগেই সংখ্যাটা ৩১। কিন্তু লম্বা এই তালিকায় বাংলাদেশের কেউ ছিলেন না এত দিন। আজ সেই অভাব ঘুচিয়ে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকেই তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ ওভারে এজাজ প্যাটেলের বলে সিঙ্গেল নিয়ে এই কীর্তি গড়েন তিনি।

এর আগে বাংলাদেশের অধিনায়কদের মধ্যে প্রথম ম্যাচে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল সাকিব আল হাসানের। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গ্রেনাডা টেস্ট জেতানোর পথে ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে টেস্টে নেতৃত্ব দিতে নেমে অভিষেকে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ আর লিটন দাসও। তবে তাঁদের কেউই ইনিংসটা তিন অঙ্কে টেনে নিতে পারেননি।

শতকের আনন্দ নাজমুল হোসেনের
প্রথম আলো

আজ দিন শেষে ১৯৩ বলে ১০৪ রান করে অপরাজিত নাজমুল প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৩৭ রান। দুই ইনিংস মিলিয়ে করা ১৪১ রানও বাংলাদেশের অধিনায়কদের মধ্যে অভিষেকে রেকর্ড। এর আগে নেতৃত্বের অভিষেক টেস্টে মোট ১১২ রান তুলে শীর্ষে ছিলেন সাকিব।

আরও পড়ুন

ক্যারিয়ারের ২৪তম টেস্ট খেলতে নামা নাজমুল অবশ্য রানের মধ্যেই ছিলেন। এ নিয়ে সর্বশেষ চারটি টেস্ট ইনিংসের তিনটিতেই শতক এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। সব মিলিয়ে এটি তাঁর পঞ্চম শতক। এর আগে ওয়ানডেতেও বাংলাদেশিদের মধ্যে নেতৃত্বের অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে অধিনায়কত্বের অভিষেকে ৭৬ রান করেছিলেন তিনি। ভেঙে দিয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে আমিনুল ইসলামের অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে করা ৭০ রানের ইনিংস।

নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আঙুলের চোটে বাইরে, ছুটিতে আছেন সহ-অধিনায়ক লিটন। তাঁদের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব এসে পড়েছে নাজমুলের কাঁধে। তৃতীয় দিন শেষে ৭ উইকেট হাতে রেখে দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৫ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ।