আইপিএল অভিষেকেই ৫ ছক্কায় ৫৫ রান করে যা বললেন ম্যাগার্ক
জেইক ফ্রেজার–ম্যাগার্ক যে উদীয়মান তারকা হতে চলেছেন, সেটার জানান দিয়েছেন ৬ মাস আগেই। গত বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টুর্নামেন্ট দ্য মার্শ কাপে করেছিলেন ২৯ বলে সেঞ্চুরি, যা লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম। এরপর বিগ ব্যাশ লিগে ভালো করে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। আর কাল আইপিএল আবির্ভাবেই উপহার দিয়েছেন ঝোড়ো ফিফটি।
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৫ ছক্কা, ২ চারে ম্যাগার্কের ৫৫ রানের ইনিংসটি আইপিএল অভিষেকে তিন নম্বরে নামা কোনো ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আর দিল্লি ক্যাপিটালস ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। অথচ তাঁর সাবলীল ব্যাটিং দেখে মনেই হয়নি আইপিএলের মতো এত বড় মঞ্চে প্রথমবার খেলতে নেমেছেন।
তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক ঋষভ পন্তের সঙ্গে ম্যাগার্কের ৭৭ রানের জুটিই দিল্লির জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছে। ম্যাচ শেষে ম্যাগার্ক জানিয়েছেন, আইপিএল তাঁর কাছে অন্য ভুবনের মতো লাগছে, ‘আইপিএলের মতো কোনো কিছু আগে কখনো দেখিনি। মনে হচ্ছে এটা অন্য একটা জগৎ। এর ব্যাপারে এতদিন শুধু শুনেই গিয়েছি, এবার খেলার অভিজ্ঞতাও হলো। ভারতে এসে খেলতে পারা আমার জন্য চমৎকার ব্যাপার।’
পরশু টিম হোটেলে সতীর্থদের সঙ্গে ২২তম জন্মদিনের কেক কেটেছেন ফ্রেজার–ম্যাগার্ক। তবে তাঁকে আসল ‘সারপ্রাইজ’ দিয়েছে দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্ট। জন্মদিনের পরদিন, অর্থাৎ কাল তাঁকে জানানো হয়েছে লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আইপিএলে অভিষেক হতে যাচ্ছে তাঁর। ম্যাগার্ক জানিয়েছেন, এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন তিনি, ‘আমি ৫–৬ ম্যাচ সাইডলাইনে বসে পার করেছি। মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে ছিলাম।’
দিল্লির ইনিংসের ৮ ছক্কার ৫টিই মেরেছেন ম্যাগার্ক। এর মধ্যে ক্রুনাল পান্ডিয়ার টানা ৩ বলে মেরেছেন ৩টি। ছক্কাগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে ভালো লেগেছে? ম্যাগার্কের উত্তর, ‘কাভারের ওপর দিয়ে যেটি মেরেছিলাম। অফসাইডে ছক্কা মারার চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। আমি বেশ কয়েকটি ছক্কা মারলেও খুব জোরে ব্যাট চালানোর চেষ্টা করিনি, শুধু চেয়েছি বল যাতে ব্যাটের মাঝ বরাবার লাগাতে পারি। গত ১২ মাস ধরে আমি এ চেষ্টাই করে আসছি।’
আরও ম্যাচ পেলে আরও ভালো করতে পারবেন বলে বিশ্বাস ম্যাগার্কের, ‘পাওয়ারপ্লের পর ব্যাটিংয়ে নামা এমন ব্যাপার, যা আমি এখনো শেখার চেষ্টা করছি। আরও খেলার সুযোগ পেলে আরও ভালো করতে পারব।’