বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ধবলধোলাই করার পথে আরও যত রেকর্ড সাকিবদের
ইংল্যান্ড ধবলধোলাই, নাজমুলের রেকর্ড, লিটনের সর্বোচ্চ, মোস্তাফিজের ১০০, তানভীরের স্বপ্নের অভিষেক, আফিফের অনুপস্থিতি—মিরপুরে কাল তৃতীয় টি–টোয়েন্টিটা অনেক কিছুই যোগ করেছে রেকর্ড বইয়ে।
টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়বার তিন ম্যাচের সিরিজে প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে চতুর্থবার বাংলাদেশের কাছে ধবলধোলাই হয়েছে প্রতিপক্ষ।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ধবলধোলাই সিরিজ জয়
নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তৃতীয়বার ধবলধোলাই হলো ইংল্যান্ড। এবারের আগে ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩-০, ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২-০ ব্যবধানে। আগের দুবারও প্রতিপক্ষের মাঠে।
• আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাসের সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ৬৯, ২০২২ সালে ক্রাইস্টচার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
• ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির পর মিরপুরে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ। মাঝের সাত বছরে সর্বোচ্চ ছিল মুশফিকের অপরাজিত ৬৬, ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয় লিটনের ফিফটি। ৫০ ছাড়ানো ইনিংসে তামিমকে ছাড়িয়ে দুইয়ে উঠেছেন লিটন। ১২ ফিফটিতে ওপরে শুধু সাকিব।
লিটন ৫০ ছুঁয়েছেন ৪১ বলে। তাঁর নয় ফিফটির মধ্যে এটিই মন্থরতম। আগের মন্থরতম ৩৫ বলের ফিফটিটা লিটন করেছিলেন ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরেই।
সিরিজে নাজমুল হোসেনের রান। যা দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান
• বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও বিশ্বের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
• ৮১ ম্যাচে মাইলফলক ছুঁলেন মোস্তাফিজ। তাঁর চেয়ে বেশি ম্যাচে ১০০ উইকেট পেয়েছেন শুধু সাকিব আল হাসান ও টিম সাউদি। দুজনেরই লেগেছে ৮৪ ম্যাচ। ৫৩ ম্যাচে ১০০ ছুঁয়ে দ্রুততম আফগানিস্তানের রশিদ খান।
বাংলাদেশের রেকর্ড টানা ৬১টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার পর দল থেকে বাদ পড়লে আফিফ হোসেন। বাংলাদেশের হয়ে টানা টি-টোয়েন্টি খেলার রেকর্ডে দুইয়ে মাহমুদউল্লাহ (৫৪)।
বাংলাদেশের অষ্টম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেকে দলের প্রথম ওভারটি করলেন তানভীর ইসলাম। এই আটের মধ্যে নাসুম ও তানভীরই শুধু প্রথম ওভারে উইকেট পেয়েছেন।