যেকোনো ব্যাটিং আক্রমণের বিপক্ষেই এখন লড়তে পারেন তাইজুলরা
ইয়ান বিশপের অনুমানই ঠিক ছিল। কিংস্টনে চতুর্থ ইনিংসে স্পিনাররাই বড় ভূমিকা রাখবেন, এমন কথা বলেছিলেন এই কিংবদন্তি। সেটাই হয়েছে।
চতুর্থ ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। নিয়েছেন ৫ উইকেট। বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন ১০১ রানে। আরও একবার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি তাইজুল। সঙ্গে নিজেদের বোলিং আক্রমণের প্রশংসাও করেছেন এই স্পিনার।
কিংস্টনের এ জয়টি নানা কারণে বিশেষ এক জয়। ২০০৯ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম টেস্ট জয়। সঙ্গে প্রথম টেস্টে ২০১ রানে হারের পর দারুণভাবে ফেরাটা বাংলাদেশের জন্য জরুরি ছিল। এই সিরিজের আগে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪টি টেস্টে খুব বাজেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। এমন দরকারি এক জয়ে সবাই যার যার জায়গা থেকে অবদান রেখেছেন।
চতুর্থ ইনিংসে যার কাজটা করার দরকার ছিল, সেই তাইজুল পারফর্ম করে ম্যাচটা পুরোপুরি নিজেদের দিকে নিয়ে এসেছেন। আউট করেছেন ক্রেইগ ব্রাফেট, মিকাইল লুই, কাভেম হজ, অ্যালিক অ্যাথানেজ ও জশুয়া দা সিলভাকে। মানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং মূল কান্ডারিরা অনেকটাই সবাই তাইজুলের বলে ফিরেছেন।
টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫তম বারের মতো ৫ উইকেট পাওয়া তাইজুল দলের চাহিদা পূরণ করতে পেরে খুশি। ম্যাচ শেষে এক ভিডিও বার্তায় তাইজুল বলেছেন, ‘আমার বোলিং নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। দলের যে চাওয়া ছিল ওটা আলহামদুলিল্লাহ আমি পূরণ করতে পেরেছি। চতুর্থ ইনিংসে যখন বোলিং করতে এসেছি, আমার ওপরে দলের একটা বড় চাওয়া ছিল। আলহামদুলিল্লাহ তা করতে সফল হয়েছি। ভালো লাগছে।’
বর্তমানে আমাদের যে পেস ও স্পিন আক্রমণ আছে , আমরা খুব ভালো খেলছি। সবাই ভালো ছন্দে আছে। আমরা যেকোনো ব্যাটিং আক্রমণের বিপক্ষে লড়তে পারি
ম্যাচসেরা হওয়ার পর তাইজুল প্রশংসা করেছেন পুরো বোলিং আক্রমণের, ‘এই জয়টা এসেছে অপরিচিত কন্ডিশনে। সবাই চেষ্টা করেছে, ছেলেরা জয় পেতে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিল। বর্তমানে আমাদের যে পেস ও স্পিন আক্রমণ আছে , আমরা খুব ভালো খেলছি। সবাই ভালো ছন্দে আছে। আমরা যেকোনো ব্যাটিং আক্রমণের বিপক্ষে লড়তে পারি।’
বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল যেটা করেছেন, ব্যাটিংয়ে তা করেছেন জাকের আলী। খেলেছেন ৯১ রানের ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪ পেসারকে বেশ ভালোভাবেই সামলেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার ছিল না। কঠিন স্পিনারদের পরীক্ষা তাই তেমন একটা দিতে হয়নি তাঁকে। জাকের এই ৯১ রানের ইনিংস তাঁর সর্বোচ্চ, টেস্টে দ্বিতীয় বাংলাদেশের অন্যতম সেরাও হয়তো!