তিকশানার হ্যাটট্রিকের পর কামিন্দু-চামিন্দুদের লড়াইও বিফলে
নতুন বছরের প্রথম হ্যাটট্রিক বিফলে গেল মহীশ তিকশানার। তাঁর দল শ্রীলঙ্কা সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে। হ্যামিল্টনে বৃষ্টির কারণে ৩৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচেও দলটি হেরেছে ১১৩ রানে।
২৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে তারা গুটিয়ে গেছে ১৪২ রানে। সিরিজের প্রথম ম্যাচেও কিউইদের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছিল লঙ্কানরা। তাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতো ওয়ানডেতেও সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড।
তিকশানা যখন হ্যাটট্রিক করেছেন, ততক্ষণে নিউজিল্যান্ডের রান ২৫০ রান পেরিয়ে গেছে। লঙ্কান অফ স্পিনার হ্যাটট্রিক করেছেন দুই ওভার মিলিয়ে, যার শুরুটা ৩৫তম ওভারের শেষ দুই বলে।
ওভারের পঞ্চম ওভারে মিচেল স্যান্টনারকে ফেরানোর পরের বলে নাথান স্মিথ ও ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে ম্যাট হেনরিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন, যার প্রভাব ম্যাচে সামান্যই! কারণ, রাচিন রবীন্দ্র ও মার্ক চ্যাপম্যানরা শুরু থেকে নিউজিল্যান্ডের রান রেট বাড়িয়ে রেখেছিলেন।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে উইল ইয়াং ফেরার পর দুজনে গড়েন ৯১ বলে ১১২ রানের জুটি। ৬৩ বলে ৭৯ রান করেন রবীন্দ্র আর চ্যাপম্যান ৫২ বলে ৬২ রান। ড্যারিল মিচেলের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ রান। শেষদিকে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও তিকশানার ভালো বোলিং নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা চেপে ধরেছিল। শেষ ৭ ওভারে কিউইরা তুলতে পারে ৪৪ রান।
দারুণ শেষের আত্মবিশ্বাস অবশ্য ব্যাটিংয়ে টানতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ২২ রান করতেই তারা হায়ায় ৪ উইকেট। এরপর কামিন্দু মেন্ডিসের ফিফটি কোনো রকমে ১৪২ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে কামিন্দু জানিত লিয়ানেগের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। লিয়ানাগে ২২ করে ফিরলে চামিন্দু বিক্রমসিংহের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়েন। এই জুটি ভাঙার পর ১৬ রানেই শেষ ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৩৭ ওভারে ২৫৫/৯ (রবীন্দ্র ৭৯, চ্যাপম্যান ৬২, মিচেল ৩৮; তিকশানা ৪/৪৪, হাসারাঙ্গা ২/৩৯)।
শ্রীলঙ্কা: ৩০.২ ওভারে ১৪২ (কামিন্দু ৬৪, লিয়ানেগে ২২; ও’রুর্ক ৩/৩১, ডাফি ২/৩০)
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রাচিন রবীন্দ্র
সিরিজ: ৩–ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ড ২-০ তে এগিয়ে।