গরমে অতিষ্ঠ ক্রিকেটাররা, প্রিমিয়ার লিগের সূচি পরিবর্তন চান মাহমুদ
প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিলে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়ায়। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে লড়াই করেই প্রতিবছর দেশের একমাত্র লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্টে খেলতে হয় ক্রিকেটারদের। এবার গরমের মাত্রা বেশি হওয়ায় ক্রিকেটারদেরও ভোগান্তি বাড়ছে। এ নিয়ে আজ কথা বলেছেন আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ।
বিকেএসপিতে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে আবাহনীর ৫ উইকেটের জয়ের পর সংবাদমাধ্যমে প্রচণ্ড গরমে ক্রিকেটার ও আম্পায়ারদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন মাহমুদ, ‘খুবই কঠিন (এই গরমে খেলা)। কোনো সন্দেহ নেই যে খুব কঠিন। ছেলেদের ধন্যবাদ দিই, আম্পায়ারদের দিই, যাঁরা এ গরমে ম্যাচ পরিচালনা করছেন। এই গরমে এটা মোটেও সহজ না।’
ক্রিকেটাররা যে গরমে খেলা নিয়ে বারবার অভিযোগ করছেন, সেটিও জানালেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক, ‘ছেলেরা আজকে বারবার অভিযোগ করছিল যে অনেক গরম মাঠের ভেতর। কিন্তু কিছু করার নেই। দিন শেষে আমাদের এই গরমেই খেলতে হয় সব সময়।’
প্রিমিয়ার লিগের সূচি পরিবর্তন করে অন্য সময় আয়োজনের প্রসঙ্গও এসেছে মাহমুদের কথায়, ‘প্রতিবছর প্রিমিয়ার লিগটা কেন জানি এ সময়ই হয়। এটা আমাদের ওয়ান অব দ্য বেস্ট টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ ক্রিকেটে, আমি বিপিএলের আগেও এগিয়ে রাখি এটাকে। খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট। টিভিতে দেখায় না ঠিক আছে। কিন্তু বড় দলগুলোর বাজেট অনেক বেশি থাকে। আমি মনে করি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা টুর্নামেন্ট। আরেকটু আগে এটা শুরু করে গরমের আগে যদি আমরা শেষ করতে পারি, তাহলে ভালো হয়। রমজান চলছে, অনেকে রোজা রাখতে পারছে না, অনেকে রোজা রেখে খেলছে। দিন শেষে সবাই পেশাদার হিসেবে মেনে নিচ্ছে, কিন্তু আমি মনে করি এ গরমটা খুব কঠিন।’
তবে মাহমুদও জানেন, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচিতে এ ছাড়া প্রিমিয়ার লিগের জন্য সময় নেই। তবু এ নিয়ে সিসিডিএমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি, ‘সপ্তাহে আপনি ৩টা ম্যাচ খেলছেন, এটা কিন্তু সহজ নয়। আমার মনে হয় আমরা যদি চেষ্টা করি কোনোভাবে আমরা ক্যালেন্ডারে অন্য কোনো ফাঁকে খেলাতে পারি, তাহলে ভালো হতো। কারণ এ টুর্নামেন্ট থেকে আমাদের ওয়ানডে দল নির্বাচন হয়, অনেক ছেলের পারফর্ম গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি সেটার দিকে নজর দিলে ভালো হয়। একজন বোর্ড ডিরেক্টর হিসেবে আমিও জানি এটা কঠিন, তারপরও আমাদের একটা পরিকল্পনা করতে হবে আমরা অন্য কোনো সময়ে এটা দিতে পারি কি না।’