কোহলির ১, কোহলির ০, কোহলির বছর
ভারত ক্রিকেট দল বছর শেষ করেছে বড় হার দিয়ে। সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে ইনিংস ও ৩২ রানে। এ বছর দুটি আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলে দুটিতেই হেরেছে ভারত। জুনে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পর নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ—দুটিতেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার তাদের।
তবে দলের জন্য যেমনই হোক, শেষ হতে চলা বছরটা বিরাট কোহলির জন্য মধুরই কেটেছে। বছরের শেষ ম্যাচেই যেমন দলের বড় হারের দিনে ক্রিকেটের অনন্য এক রেকর্ড ছুঁয়েছেন তিনি। এই বছর কোহলির ক্যারিয়ারে ১–এর সমাহার যেমন, আছে শূন্যর উপস্থিতিও।
৩টি শতক, ৬টি অর্ধশতক—এবারের বিশ্বকাপে ১১ বার ব্যাট করতে নেমে ৯ বারই পঞ্চাশ পেরিয়েছেন কোহলি। বিশ্বকাপে এক আসরে এটিই সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস। পেছনে পড়ে গেছে ২০০৩ আসরে টেন্ডুলকারের ৭ পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস।
২০২৩ সালে ২৭টি ওয়ানডে খেলে ৭২.৪৭ গড়ে ১৩৭৭ রান করেছেন কোহলি, যা বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই রান তোলার পথে ৬টি শতক করেছেন তিনি, যার মধ্যে ৫ নভেম্বর বিশ্বকাপের লিগ পর্বে কলকাতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শতক তুলে শচীন টেন্ডুলকারের ৪৯ শতকের রেকর্ড স্পর্শ করেন। এরপর সেমিফাইনালে মুম্বাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শতক করে হয়ে যান ওয়ানডেতে ৫০টি শতক করা একমাত্র ব্যাটসম্যান।
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ
২০২৩ বিশ্বকাপে ১১ ইনিংসে ৭৬৫ রান তোলেন কোহলি, যা বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রান। ভেঙে যায় ২০০৩ বিশ্বকাপে শচীন টেন্ডুলকারের তোলা ৬৪৮ রানের রেকর্ড।
মার্চে ভারত–অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ টেস্টে ১৮৬ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এটি ছিল ১ হাজার ২০৫ দিন পর টেস্টে কোহলির প্রথম শতক।