দুই দেশের হয়ে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন যাঁরা
২০১৪ সালের প্রথম দিনটায় ঘুম ভেঙেই একটা দুঃসংবাদ শুনেছিলেন শহীদ আফ্রিদি। তাঁর ৩৭ বলের ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ডটা যে ভেঙে ফেলেছেন কোরি অ্যান্ডারসন। কুইন্সটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৬ বল সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানের আফ্রিদির দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড কেড়ে নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার। রেকর্ড অবশ্য এক বছরের বেশি উপভোগ করতে পারেননি অ্যান্ডারসন, পরের জানুয়ারিতেই যে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩১ বলে সেঞ্চুরি করেন।
সেই অ্যান্ডারসন গত মাসে রেকর্ড বইয়ের আরেকটি পাতায় নাম লিখিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে কানাডার বিপক্ষে মাঠে নেমে ইতিহাসের ১৯তম ক্রিকেটার হিসেবে দুটি দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার ‘কীর্তি’ গড়েন ৩৩ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন।
নিউজিল্যান্ডের ৯৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা অ্যান্ডারসন এরপর সুযোগ পেয়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও। আগামী মাসে ঘরের মাঠের সেই বিশ্বকাপে মাঠে নামলেই ইতিহাসের পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে দুটি দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন অ্যান্ডারসন। অ্যান্ডারসন নিউজিল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন ২০১৪ ও ২০১৬ সালে।
অ্যান্ডারসনের আগে দুটি দেশের হয়ে যে চারজন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন, তাঁদের দুজন আছেন এবারও।
ডার্ক ন্যানেস (নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়া)
২০০৯ সালে মা–বাবার দেশ নেদারল্যান্ডসের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেন এই বাঁহাতি পেসার। এক বছর পরে হওয়া পরের বিশ্বকাপেই সেই ন্যানেস প্রতিনিধিত্ব করেন জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে।
রোলোফ ফন ডার মারওয়ে (দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস)
২০০৯ ও ২০১০ সালে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেছেন ফন ডার মারওয়ে। প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ২০১৫ সালে মায়ের সূত্রে পাওয়া ডাচ পাসপোর্টের জোরে সুযোগ পেয়ে যান নেদারল্যান্ডস দলে। এরপর ২০১৬, ২০২১ ও ২০২২ সালে নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এবার কাউন্টি চুক্তি থাকার কারণে নেদারল্যান্ডস দলে নেই সেই ফন ডার মারওয়ে।
ডেভিড ভিসা (দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়া)
২০১৬ সালে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেন ডেভিড ভিসা। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে কলপাক চুক্তিতে ইংলিশ কাউন্টি দল সাসেক্সে যোগ দেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। চার বছর পর সেই ভিসা আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন নামিবিয়ার জার্সিতে। ২০২১ ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নামিবিয়ার প্রতিনিধিত্ব করা ভিসা আছেন এবারের বিশ্বকাপেও।
মার্ক চ্যাপম্যান (নিউজিল্যান্ড ও হংকং)
২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেক হংকংয়ের। হংকংয়ের সেই দলটায় ছিলেন মার্ক চ্যাপম্যান। ২০১৬ বিশ্বকাপটাও হংকংয়ের হয়ে খেলা অলরাউন্ডার ২০১৮ সালে ডাক পান নিউজিল্যান্ড দলে। সেই চ্যাপম্যান ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকলেও সুযোগ পাননি একটি ম্যাচেও। ২০২২ সালে একটি ম্যাচ খেলেই অবশ্য দুটি দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলাদের ছোট তালিকায় ঢুকে যান চ্যাপম্যান। ২৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার আছেন এবারের কিউই দলেও।