‘উন্মাদের মতো’ ব্যাটিং করেছে অস্ট্রেলিয়ানরা
রোববারটা দুঃস্বপ্ন হয়েই এল অস্ট্রেলিয়ার জন্য।
ছুটির দিনে কোথায় নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে সমর্থকদের আনন্দ দেবেন ক্রিকেটাররা, তা নয়, উল্টো ৯১ মিনিটের মধ্যে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল গোটা দল। নাগপুরে শোচনীয় হারের পর দিল্লিতেও স্পিন–ঝড়ে শেষ স্টিভ স্মিথ, প্যাট কামিন্স, মারনাস লাবুশেনরা। নাগপুরের মতো দিল্লিতেও অস্ট্রেলিয়ার জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে রইলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজারা।
ট্রাভিস হেড আর মারনাস লাবুশেন মিলে দিল্লি টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস নিয়ে গিয়েছিলেন ১ উইকেটে ৬১ রানে। প্রত্যাশা ছিল, এই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে চতুর্থ ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং একটা লক্ষ্য দেবে। কিন্তু সেটি তো হয়ইনি, উল্টো আরও একবার লজ্জা পেতে হলো অস্ট্রেলিয়াকে। তৃতীয় দিন সকালে মাত্র ৯১ রানে শেষ হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস।
নাগপুর টেস্টের শোচনীয় ব্যর্থতার পরপরই অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটাররা ধুয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলীয় দলকে। দিল্লিতে একই ঘটনা ঘটার পর তাঁরা এটিকে বলছেন ‘বিপর্যয়’। অস্ট্রেলিয়া শেষ ৮ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ২৮ রানে। ভারত ১১৫ রানের লক্ষ্য খুব সহজেই পেরিয়ে গেছে ৪ উইকেট হারিয়েই।
সাবেক অস্ট্রেলীয় তারকা ম্যাথু হেইডেন ক্ষুব্ধ এমন হারে। তিনি ফক্স স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বমানের তারকা ক্রিকেটাররা জেতার জন্য তো বটেই, হারার জন্যও সম্ভব সবকিছু করেছে। কাল (দ্বিতীয় দিন শেষে) দিনের শেষ কয়েক ওভারে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা ভালোই করেছিল। স্কোরিং রেট ছিল দুর্দান্ত, ব্যাটসম্যানদের রক্ষণও ছিল চমৎকার। কিন্তু আজ আমরা যা দেখলাম, সেটা বিপর্যয়কর। আগ্রাসী খেলা খেলতে গিয়ে উল্টো বিপদ ডেকে এনেছে ব্যাটসম্যানরা।’
সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার হতাশ। শুধু হতাশই নন, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের এমন দুরবস্থা দেখে তিনি স্তব্ধ, ‘অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দেখে আমি ক্ষুব্ধ। এটা আতঙ্কিত উন্মাদের মতো ব্যাটিং। কেউই রক্ষণটা মজবুত করে খেলতে পারেনি। প্রতিটি বলেই সুইপ, রিভার্স সুইপের মতো শট খেলে তারা সর্বনাশ ডেকে এনেছে।’