সফরকারী দলকে টাকা দেবে ইংল্যান্ড, পাবে জিম্বাবুয়ে

এজবাস্টনে চলছে ইংল্যান্ড–ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ। আগামী বছর জিম্বাবুয়েকে আতিথেয়তা দেবে ইংলিশরাএএফপি

আধুনিক যুগের প্রথম সফরকারী দল হিসেবে ‘ট্যুরিং ফি’ পাবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। আগামী বছরের মে মাসে এক টেস্টের সফরে ইংল্যান্ডে গেলে তাদের এই ফি দেবে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। গতকাল শুক্রবার স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড।

বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলোর ক্ষেত্রে সফরকারী দল নিজ খরচে আয়োজক দেশে যায়। এরপর বাকিটা নির্ভর করে দুই বোর্ডের মধ্যে আগেই হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী। আয়োজক দেশ সম্প্রচার ও অন্যান্য খাত থেকে আয় করলেও সফরকারী দলের এমন কোনো সুযোগ থাকে না। সফর বাবদ নির্দিষ্ট কোনো অর্থও তারা পায় না।

গোল্ড গত বছরই বলেছিলেন, বর্তমানে আইসিসির লভ্যাংশ সদস্যদেশগুলোর মধ্যে যেভাবে ভাগ করা হয়, তাতে অসমতা তৈরি হয়। মানসম্পন্ন টেস্ট ক্রিকেটের জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ দরকার, এর মধ্যে সফরকারী দলের জন্য ট্যুরিং ফি দেওয়া যেতে পারে। গতকাল ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ এজবাস্টন টেস্ট শুরুর দিন স্কাই স্পোর্টসে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইক আথারটনের সঙ্গে কথা বলেন গোল্ড।

সেখানে তিনি ট্যুরিং ফির পুনরাবৃত্তি করে ইসিবির সিদ্ধান্তের কথা জানান, ‘আইসিসির লভ্যাংশ ভাগাভাগি বলি বা দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ভাগাভাগি বলি, সত্যি বলতে এটা এখন সেকেলে হয়ে গেছে। এখানে আমাদের বড় দায়িত্ব আছে। উদাহরণ হিসেবে বললে, আগামী বছর (ইংল্যান্ডে) জিম্বাবুয়ে আসছে। স্বাভাবিকভাবে যেটা হয় যে একটা দল নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সফরে আসে। এরপর অবস্থান অনুসারে বাকি বিষয়গুলো দেখভাল করা হয়। কিন্তু সফরের জন্য কোনো ফি দেওয়া হয় না। সামনের বছর জিম্বাবুয়ে যখন খেলতে আসবে, তাদেরকে সফরের জন্য একটা ফি দেওয়া হবে।’

ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত বাদে অন্য দেশগুলোর জন্য টেস্ট ক্রিকেটের মাধ্যমে আয় করা বেশ দুরূহ। সম্প্রচার স্বত্ব থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় হয় না বলে সফরের খরচ বাড়তি বোঝা হয়ে আসে। গত বছর ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের (সিডব্লুআই) সিইও জনি গ্রেভ আইসিসির লভ্যাংশ ভাগাভাগি পদ্ধতি কাজে লাগে না বলে মন্তব্য করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় দুই টেস্টের সিরিজের জন্য দ্বিতীয় সারির দল পাঠানোর সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় দল পাঠাতে গিয়ে বোর্ডের ২০ লাখ ডলারের বেশি খরচ হয়েছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সব আর্থিক সুবিধা পেলেও আমরা একটা ডলারও পাইনি। এটা কি আসলেই ন্যায্য, যৌক্তিক কিংবা টেকসই?’