কোহলিরও ৪০ বলে সেঞ্চুরির করার সামর্থ্য আছে, মনে করেন সৌরভ
আইপিএলে এবার ট্রাভিস হেডকে দেখছেন তো? অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার যেন খুনে মেজাজে ব্যাটিং করছেন! গত শনিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে করেন ৩২ বলে ৮৯। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে এর আগের ম্যাচে করেছেন ৩৯ বলে সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে ইনিংসটা ৪১ বলে ১০২ রানের।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী মনে করেন, বিরাট কোহলিরও হেডের মতো ৪০ বলে সেঞ্চুরি করার সামর্থ্য আছে। আইপিএলে বেঙ্গালুরুর হয়ে ইনিংস ওপেন করছেন কোহলি। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাঁকে রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করার পরামর্শ দিয়েছেন সৌরভ।
এবারের আইপিএলে ৩৭৯ রান নিয়ে কোহলি রান সংগ্রাহকদের তালিকায় শীর্ষে থাকলেও তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ১৫০.৩৯ স্ট্রাইক রেট টি–টোয়েন্টিতে খারাপ নয়।
কিন্তু এবারের আইপিএলে যে রকম রান-উৎসব দেখা যাচ্ছে, হেড–হাইনরিখ ক্লাসেনদের মতো প্রতিষ্ঠিত তারকারা কিংবা অভিষেক শর্মা–জেইক ফ্রেজার ম্যাগার্কদের মতো তরুণেরা যেভাবে ব্যাট হাতে ‘মহাপ্রলয়’ বইয়ে দিচ্ছেন, সে তুলনায় কোহলির স্ট্রাইক রেটকে কমই বলতে হচ্ছে। তাঁর রানও দলের তেমন কাজে দিচ্ছে না। ৮ ম্যাচের ৭টিতেই হেরে লিগ পর্ব থেকে বিদায়ের প্রহর গুনছে বেঙ্গালুরু।
তবে সৌরভ মনে করেন, কোহলির ৪০ বলে সেঞ্চুরি করার সামর্থ্য আছে। এ মুহূর্তে আইপিএলের আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালের পরিচালকের দায়িত্বে থাকা সৌরভ বলেছেন, ‘বিরাট কোহলির ৪০ বলে সেঞ্চুরি করার সামর্থ্য আছে। ওকে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে, প্রথম বল থেকেই মারতে হবে।’
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে কোন দুজনের ওপেন করা উচিত, সে ব্যাপারেও নিজের ভাবনা জানিয়েছেন সৌরভ, ‘আমার ব্যক্তিগত মত হলো, রোহিত ও বিরাট টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওপেন করুক। এটা খেলায় বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনবে না। ওদের এটা করার সামর্থ্য আছে। ৫০ ওভারে বিশ্বকাপে আপনারা রোহিতকে দেখছেন। সে নেমেই মারত। এ কারণেই আমরা অসাধারণ দল ছিলাম। রোহিত প্রথম ৭–৮ ওভারে প্রতিপক্ষের ওপর যে চাপ তৈরি করত, সেটা মিডল অর্ডারকে দম ফেলার সুযোগ করে দিত। আমি মনে করি, বিরাট ও রোহিতেরও (টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে) সেটা করা উচিত। ওরা অসাধারণ খেলোয়াড়।’
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে ভারতকে কী হবে, সেই পরামর্শ নাকি এখনকার প্রধান কোচ ও নিজের সাবেক সতীর্থ রাহুল দ্রাবিড়কে আগেই দিয়েছেন সৌরভ, ‘টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভয়ডরহীন খেলা। অস্ট্রেলিয়ার গত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে কথাটা আমি রাহুল দ্রাবিড়কেও বলেছি। ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ অনেক লম্বা। শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারালেও ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সম্ভব। তাই আমার পরামর্শ, নেমেই মেরে খেলো।’