- এবার টি-টোয়েন্টির পালা
- বিশ্বকাপের প্রস্তুতির শুরু…
- আপনার ভোট কার পক্ষে?
- টস
- নিউজিল্যান্ড একাদশ
- তানজিমের অভিষেক
- বড় স্কোর?
- প্রথম ওভারেই উইকেট
- ৮ বলের মধ্যে নেই দুই ওপেনার
- হ্যাটট্রিকের সামনে শরীফুল
- এমন দুর্দশায় আগে পড়েনি নিউজিল্যান্ড
- আক্রমণের আভাস মিচেলের
- চার, চার
- মেহেদীর বলে বোল্ড মিচেল
- ১৪ রানের ওভার
- মাঝের ওভারের নিয়ন্ত্রণ কার?
- শেষ করলেন মেহেদী
- এসেই জুটি ভাঙলেন রিশাদ
- ২ ওভারে ১৮
- তানজিমের ওভারে ১৫
- ফিরেই জুটি ভাঙলেন শরীফুল
- ১৫ ওভারে ৯২/৬
- ১০০ পেরোল নিউজিল্যান্ড
- ছাদে বল পাঠানোর পর আউট নিশাম
- তৃতীয় দফায় আউট সাউদি
- ২০ ওভারে নিউজিল্যান্ড ১৩৪/৯
- তবুও রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের
- ছক্কায় শুরু রনির
- থামলেন রনি
- বাঁচলেন নাজমুল
- থামলেন নাজমুল
- পাওয়ারপ্লে শেষ
- সোধির ওভারে ১৪
- চারের পর বোল্ড সৌম্য
- বৃষ্টি এবং সেই ম্যাচের স্মৃতি
- সফল স্যান্টনার
- আফিফও আউট
- বাঁচলেন লিটন
- ২৪ বলে ২৯
- দুর্দান্ত সাউদি
- কে জিতছে নেপিয়ারে?
- ঘটনাবহুল ওভারের পর বাংলাদেশের চাই ১০ রান
- ৫ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ
- এক বছর পর ফিরেই ম্যাচসেরা মেহেদী
- রোমাঞ্চিত নাজমুল
এবার টি-টোয়েন্টির পালা
ওয়ানডেতে শেষ ম্যাচে গিয়ে সান্ত্বনার জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের পালা। শেষ ওয়ানডের ভেন্যু নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কেই আজ প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি নাজমুল হোসেনের দল। ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও জয়খরা কাটাতে পারবে বাংলাদেশ?
প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!
বিশ্বকাপের প্রস্তুতির শুরু…
আগামী জুনে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এ সিরিজের তিনটি ম্যাচসহ বাংলাদেশ পাবে ১১টি ম্যাচ। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন বলছেন, এ সিরিজ দিয়েই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হবে তাঁদের।
আপনার ভোট কার পক্ষে?
টস
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
নিউজিল্যান্ড একাদশ
জায়গা পাননি জ্যাকব ডাফি ও রাচিন রবীন্দ্র।
মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, মার্ক চ্যাপম্যান, অ্যাডাম মিলনে, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, বেন সিয়ার্স, টিম সেইফার্ট, ইশ সোধি ও টিম সাউদি।
তানজিমের অভিষেক
অভিষেক হচ্ছে তানজিম হাসানের। জায়গা পাননি সহ-অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম হোসেন, হাসান মাহমুদ ও তানভীর ইসলাম। তিন পেসার মোস্তাফিজ, তানজিম ও শরীফুলের সঙ্গে খেলবেন লেগ স্পিনার রিশাদ ও অফ স্পিনার মেহেদী।
নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, লিটন দাস, রনি তালুকদার, তাওহিদ হৃদয়, মোস্তাফিজুর রহমান, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান, তানজিম হাসান, শরীফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন
বড় স্কোর?
এ মাঠ একটু বর্গাকৃতির বলে স্কয়ারে বেশ ছোট। নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া লিগ সুপার স্ম্যাশে গত মৌসুমে এ মাঠে ম্যাচ হয়নি। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি ছিল বৃষ্টিবিঘ্নিত, ডিএলএস পদ্ধতিতে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের সে ম্যাচ হয়েছিল টাই।
প্রথম ওভারেই উইকেট
জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে মেহেদী হাসানের বলে বোল্ড হয়েছেন টিম সেইফার্ট। এ অফ স্পিনারকে দিয়ে ইনিংস শুরু করিয়েছেন নাজমুল, চতুর্থ বলেই সফল হয়েছেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে একটু টার্ন করে ভেতরে ঢুকছিল বলটি, একটু নিচুও হয়েছিল। সেইফার্ট নাগাল পাননি সেটির।
নিউজিল্যান্ড ১/১, ১ ওভার।
৮ বলের মধ্যে নেই দুই ওপেনার
বাংলাদেশের স্বপ্নের শুরু। শেষ ওয়ানডে যেখান থেকে শেষ করেছিলেন, শরীফুল ইসলাম শুরু করলেন সেখান থেকেই। অফ স্টাম্প লাইনের লেংথ বলে ব্যাট চালিয়ে এজড হয়েছেন ফিন অ্যালেন, স্লিপে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন সৌম্য সরকার। ৮ বলের মধ্যে ২ ওপেনারকে হারিয়ে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড!
হ্যাটট্রিকের সামনে শরীফুল
এবার গ্লেন ফিলিপসের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর রিভিউ। আবার গুডলেংথের বল, পড়ার পর যেটি ঢুকছিল ভেতরের দিকে। তাতে শট অফার করেননি ফিলিপস। বল ট্র্যাকিং দেখানোর আগেই হাঁটা দিয়েছিলেন ফিলিপস। ভুল করেননি তিনি। হ্যাটট্রিকের সামনে শরীফুল! ১ রান তুলতে তৃতীয় উইকেটও হারিয়ে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড।
এমন দুর্দশায় আগে পড়েনি নিউজিল্যান্ড
শরীফুল শেষ পর্যন্ত হ্যাটট্রিক পাননি, যদিও ড্যারিল মিচেলের বিপক্ষে হয়েছিল এলবিডব্লিউর আবেদন। তবে বাংলাদেশ পেয়েছে স্বপ্নের শুরু। নিউজিল্যান্ড ২/৩, ২ ওভার!
আক্রমণের আভাস মিচেলের
অভিষিক্ত তানজিমের ওপর চড়াও হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন মিচেল। তবে টাইমিং ঠিকঠাক করতে পারেননি সেভাবে। তৃতীয় ওভারে অবশ্য এসেছে ৭ রান। নিউজিল্যান্ড ৯/৩, ৩ ওভার।
চার, চার
২০ বল লাগল নিউজিল্যান্ডের প্রথম বাউন্ডারির দেখা পেতে। অফ স্টাম্পের বাইরে জায়গা দিয়েছিলেন শরীফুল। তা সাদরে গ্রহণ করেছেন মিচেল। কাভারের ওপর দিয়ে মেরেছেন চার। পরের বলে তেমন জায়গা দেননি, অ্যাঙ্গেল করে বেরিয়ে যাওয়া সে ডেলিভারিতেই মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে টানা দ্বিতীয় চার মেরেছেন মিচেল। পরের ৩ বলে অবশ্য এসেছে ১ রান।
১৮/৩, ৪ ওভার।
মেহেদীর বলে বোল্ড মিচেল
সর্বশেষ ২ ওভারে আক্রমণের আভাস দিয়েছিলেন মিচেল। নাজমুল ফিরিয়েছেন মেহেদীকে। বোল্ড হয়েছেন মিচেল! টিম সেইফার্টের মতো অতটা জায়গা বানিয়ে নয়, বলের লাইন ধরেই খেলতে চেয়েছিলেন মিচেল। তবে যতটা চেয়েছিলেন, ততটা টার্ন করেনি। তুলে মারতে গিয়ে মিচেল মিস করে গেছেন সেটি। ২০ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। নেপিয়ারে শেষ ওয়ানডের দুঃস্বপ্ন যেন এখনো তাড়া করে ফিরছে স্বাগতিকদের!
১৪ রানের ওভার
তানজিম করেছিলেন ফুললেংথে। ক্রস সিমের বলটি দারুণ ড্রাইভে লং অনের ওপর দিয়ে প্রথম ছক্কাটি মেরেছেন মার্ক চাপম্যান। পরের বলে দারুণ ড্রাইভে কাভার দিয়ে মেরেছেন আরেকটি চার। ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরে শুরু করেছিলেন। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে গিয়ে ১৪ রানের ওভারে একটু স্বস্তি পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
৩৬/৪, ৬ ওভার।
মাঝের ওভারের নিয়ন্ত্রণ কার?
পাওয়ারপ্লে নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশের। এবার মাঝের ওভারগুলোতে নিয়ন্ত্রণের পালা। মেহেদীর পর প্রথমবারের মতো এসেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। শিগগির আসার কথা রিশাদ হোসেনেরও। পাওয়ারপ্লের পরের ২ ওভারে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ৬ রান। আপাতত ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করছেন চাপম্যান ও জিমি নিশাম।
৮ ওভারে ৪২/৪।
শেষ করলেন মেহেদী
নবম ওভারেই নিজের চতুর্থটি করে ফেললেন মেহেদী। ৪ ওভারে এ অফ স্পিনার দিয়েছেন মাত্র ১৪ রান, নিয়েছেন ২ উইকেট। যদিও শেষ ওভারে এসে তাঁকে রিভার্স সুইপ করে একটি চার মেরেছেন নিশাম।
৯ ওভারে ৪৯/৪।
এসেই জুটি ভাঙলেন রিশাদ
রিশাদ এলেন, তাঁর ওপর চড়াও হতে গেলেন চ্যাপম্যান। জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে ধরা পড়েছেন তিনি। দ্বিতীয় বলেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন রিশাদ, নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের দুর্দশা বেড়েছে আরেকটু।
১০ ওভারে ৫৩/৫।
২ ওভারে ১৮
আফিফকে এনেছিলেন নাজমুল। এরপর চালিয়ে গেছেন রিশাদ। শেষ ২ ওভারে এসেছে ১৮ রান, ২টি চার মেরেছেন নিশাম। এবার স্যান্টনার ও নিশাম চেষ্টা করছেন নিউজিল্যান্ডকে টেনে তুলতে।
১২ ওভারে ৭১/৫।
তানজিমের ওভারে ১৫
প্রথম চারে ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছিলেন স্যান্টনার, ব্যাটের কানায় লেগে শূন্য থাকা স্লিপ অঞ্চলের দিয়ে হয়েছে সেটি। পরেরটিতে অবশ্য ছিল দারুণ নিয়ন্ত্রণ, জায়গা বানিয়ে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে তুলে মেরেছেন। তানজিম অভিষেকে অন্যদের তুলনায় একটু খরুচে। তাঁর তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পুল করে ছক্কা মেরেছেন নিশাম, ডিপ স্কয়ার লেগে লাফ দিলেও নাগাল পাননি আফিফ।
১৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। নিশাম-স্যান্টনারের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৩৯ রানে।
ফিরেই জুটি ভাঙলেন শরীফুল
শরীফুলকে টেনে মেরেছিলেন স্যান্টনার। মিড অনে থাকা সৌম্য সামনে ঝুঁকে নিয়েছেন ক্যাচ, যদিও তিনি নিজেই নিশ্চিত ছিলেন না। সিদ্ধান্ত যায় টেলিভিশন আম্পায়ারের কাছে। দেখে মনে হয়েছে বলের নিচে ছিল সৌম্যর আঙুল। বেশ কয়েকবার দেখার পর ক্রিস বাউনও সে সিদ্ধান্তই দিয়েছেন, স্যান্টনারকে যদিও ঠিক সন্তুষ্ট মনে হয়নি তাতে। ফিরেই ৪১ রানের জুটি ভেঙেছেন শরীফুল। শরীফুল পেয়েছেন তৃতীয় উইকেট। নিউজিল্যান্ড ৯১/৬, ১৪.৩ ওভার।
১৫ ওভারে ৯২/৬
শেষ ৫ ওভারে ইনিংস। নিউজিল্যান্ডকে লড়াই করে দেওয়ার মতো কোনো স্কোর এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে এখন একমাত্র আশা বলা যায় নিশামকে…
১০০ পেরোল নিউজিল্যান্ড
প্রথম ৪ বলে এসেছিল ১ রান। রিশাদের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে টেনে ছক্কা মেরেছেন নিশাম, শেষ বলে মেরেছেন চার। ১৬তম ওভারে ১০০ পেরিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
ছাদে বল পাঠানোর পর আউট নিশাম
প্রথম ২ ওভারে ৭ রান দেওয়া মোস্তাফিজের ওপর এবার চড়াও হয়েছিলেন নিশাম। ঘুরিয়ে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে—অনেক ওপর দিয়ে মারেন ছক্কা। যেটি যায় গ্যালারির ছাদে। পরের বলে অফ স্টাম্পের বাইরে পেয়েছিলেন ফুলটস। তবে সে বলেই কাভার পয়েন্টের সীমানায় আফিফের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি! ২৯ বলে ৪৮ রান করে থেমেছেন নিশাম। ১১০ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
তৃতীয় দফায় আউট সাউদি
টিম সাউদি দুবার বাঁচলেন শরীফুলের এক ওভারে। প্রথমটি অবশ্য কঠিন সুযোগ ছিল রিশাদের সামনে। শর্ট থার্ডম্যান থেকে পেছনে ছুটেছিলেন রিশাদ, হয়ত নাগালও পেতেন। কিন্তু বেশি চলে যাওয়াতে আর পাননি।
পরের ক্যাচটি হওয়ার কথা ছিল সহজ। কিন্তু অফ সাইডে বৃত্তের মধ্যে রনি তালুকদার ও রিশাদ—দুজনই তাকিয়ে ছিলেন একে অন্যের দিকে। ক্যাচ নিতে যাননি কেউই! বোলার শরীফুল ও অধিনায়ক নাজমুলের হতাশা ফুটে উঠেছে স্পষ্টভাবেই। শেষ বলে ছক্কা মেরে শরীফুলের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়েছেন মিলনে।
পরের ওভারে মোস্তাফিজের শর্ট বলে পুল করেছিলেন সৌদি, ডিপ মিডউইকেটে এবার আর ভুল করেননি আফিফ।
নিজের চতুর্থ ও ইনিংসের ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজ দিয়েছেন মাত্র ১ রান। ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে বোলিং শেষ করলেন এ বাঁহাতি।
১৯ ওভারে ১২৫/৮।
২০ ওভারে নিউজিল্যান্ড ১৩৪/৯
প্রথম ৩ ওভারে খরুচে তানজিম শেষ ওভারে এসে নিয়েছেন ইশ সোধির উইকেট। শর্ট বলে পুল করেছিলেন। হয়েছেন কট বিহাইন্ড। বাংলাদেশ সে উইকেট পেয়েছে রিভিউ নিয়ে। শেষ বলে অবশ্য ছক্কা মেরেছেন বেন সিয়ার্স! নিউজিল্যান্ড গেছে ১৩৪ রান পর্যন্ত।
২০২১ সালে অকল্যান্ডে ১০ ওভারেই নিউজিল্যান্ড তুলেছিল ১৪১ রান। এবার ২০ ওভারে তারা আটকে গেল ১৩৪ রানে।
সিরিজের শেষ ওয়ানডে ৯৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকেরা। আজ ১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। মেহেদী, শরীফুল ও মোস্তাফিজ ছিলেন দুর্দান্ত। তিন জনের ১২ ওভারে ৫৫ রান তুলতে ৭ উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
জিমি নিশামের ২৯ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে অবশ্য একটু বলার মতো স্কোর পেয়েছে তারা। তবে সেটি লড়াই করার মতো যথেষ্ট কি না, তা বোঝা যাবে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের পরই।
তবুও রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের
ছক্কায় শুরু রনির
টিম সাউদিকে টেনে কাভার পয়েন্টের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরেছেন রনি তালুকদার। সেটি প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে। প্রথম ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৭ রান।
থামলেন রনি
পুল করেছিলেন, তবে টাইমিং হয়নি মোটেও। ৭ বলে ১০ রান করে মিলনের বলে সাউদির হাতে ক্যাচ দিয়ে থামলেন রনি তালুকদার। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। শেষ বলে গিয়ে পুল করেই চার মেরেছেন নাজমুল।
২ ওভারে ১৭/১।
বাঁচলেন নাজমুল
মিলনের ওভারে নাজমুল মেরেছেন দুটি চার। প্রথমটি ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে। পরেরটিতে অবশ্য নিয়ন্ত্রণ ছিল না। কানায় লেগে উঠেছিল বল, গ্লাভসে শুধু লাগাতে পারেন উইকেটকিপার টিম সেইফার্ট। ৪ ওভারে ৩১/১।
থামলেন নাজমুল
প্রায় একই ধরনের বলে চার মেরেছিলেন। আবার চেষ্টা করতে গেলেন নাজমুল। তবে এবার ধরা পড়লেন এক্সট্রা কাভারে। জিমি নিশাম সফল। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা নাজমুল থামলেন ১৪ বলে ১৯ রান করে। বাংলাদেশ পাওয়ারপ্লের মধ্যে হারিয়েছে দ্বিতীয় উইকেট, উঠেছে ৩৮ রান।
পাওয়ারপ্লে শেষ
পাওয়ারপ্লেতে রনির পর নাজমুলের উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ৪২ রান। ১৩৫ রানের লক্ষ্যে যেটি মন্দ নয় মোটেও। এখান থেকে আরেকটি জুটিই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে সহজ জয়ের দিকে। ৬ ওভারে ৩৬ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
সোধির ওভারে ১৪
স্লগ সুইপে ছক্কা। পরের বলে রিভার্স সুইপে চার। সোধির প্রথম চার বলেই সুইপের চেষ্টা করেছিলেন সৌম্য। সফল হয়েছেন দুবার। তাতে এসেছে ১০ রান। পাওয়ারপ্লে শেষের পরই আসা সোধির প্রথম ওভারে এসেছে ১৪ রান। ৭ ওভারে ৫৬/২।
চারের পর বোল্ড সৌম্য
চার মারার ঠিক পরের বলে আউট হয়েছিলেন নাজমুল। একই পরিণতি সৌম্যরও। বেন সিয়ার্সকে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি, ১৫ বলে ২২ রান করে। নবম ওভারে তৃতীয় উইকেট নেই বাংলাদেশের, রান উঠেছে ৬৭।
বৃষ্টি এবং সেই ম্যাচের স্মৃতি
নেপিয়ারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। নেপিয়ারে সর্বশেষ যে টি-টোয়েন্টি খেলেছিল বাংলাদেশ, সেটিও ছিল বৃষ্টিবিঘ্নিত।
‘বৃষ্টির কারণে ছোট হয়ে আসা (১৭.৫ ওভার) সে ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান করে নিউজিল্যান্ড। যা তাড়া করতে নামার আগে বাংলাদেশের লক্ষ্য কতো তা কেউই জানত না। বিগ স্ক্রিন, ব্ল্যাক ক্যাপসের এক্স অ্যাকাউন্ট, আইসিসি ওয়েবসাইট—সবখানে বাংলাদেশের লক্ষ্য দেখাচ্ছিল ১৬ ওভারে ১৪৮ রান। পরে প্রথমবার সংশোধনী দিয়ে নতুন লক্ষ্য দেওয়া হয় ১৭০ রান। শেষ পর্যন্ত সঠিক লক্ষ্য ছিল ১৭১ রান!
বাংলাদেশ দল তা জানতে পারে ইনিংসের ১৩তম ওভারে। পরে জানা যায়, মাঠে ফটোকপি মেশিন না থাকায় ডিএলএস শিট দলগুলোর কাছে পৌঁছানো যায়নি। বাংলাদেশ দল শেষ পর্যন্ত ১৬ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪২ রান করে। সৌম্য সরকার ২৭ বলে ৫১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ২৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ, যা নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের মাটিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে কম ব্যবধানের হার। বাংলাদেশ দলের তখনকার কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ম্যাচ শেষে অব্যবস্থাপনার কড়া সমালোচনা করে বলেছিলেন, “আমি জীবনে এমন ম্যাচ দেখিনি যেখানে ব্যাটসম্যানরা লক্ষ্য না জেনে ব্যাট করতে নেমেছে।”’
আপাতত এ ম্যাচে বাংলাদেশ বেশ ভালো অবস্থানেই। ৫৪ বলে দরকার ৫২ রান, বাকি ৭ উইকেট। সর্বশেষ সিয়ার্সের স্লোয়ারে ছক্কা মেরেছেন তাওহিদ হৃদয়।
সফল স্যান্টনার
আঁটসাঁট বোলিং করছিলেন, তবে যে উইকেটের দরকার, সেটির দেখাই পাচ্ছিলেন না স্যান্টনার। নিজের শেষ ওভারে এসে সেটির দেখা পেলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে করে যাওয়ার পর এবার স্টাম্প লাইনে গতি কমিয়ে আনলেন। তাতেই কাভারে সাউদির হাতে ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন তাওহিদ হৃদয়, সরে গিয়ে ব্যাটের ফেস ওপেন করে খেলার চেষ্টা সফল হয়নি তাঁর। ৩৯ বলে ৩৯ রান দরকার, এমন অবস্থায় চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
১৪ ওভারে ৯৭/৪।
আফিফও আউট
সাউদির শর্ট বল। আফিফের পুল শটে টাইমিং গড়বড় হয়ে গেছে, নিয়ন্ত্রণ ছিল না তাতে। শর্ট মিডউইকেটে থাকা জিমি নিশামের হাতে গেছে সহজ ক্যাচ। দুটি ডট বলের চাপ কমাতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন আফিফ। শেষে এসে হুট করেই চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ। ৩৩ বলে দরকার ৩৮ রান। বাকি এখন ৫ উইকেট।
বাঁচলেন লিটন
এবার লিটনও আউট! সাউদির ক্রস সিমের বল মিস করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি। রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন লিটন। বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, সাউদির বলটি যেত স্টাম্পের ওপর দিয়ে। ৩০ বলে দরকার ৩৭ রান।
২৪ বলে ২৯
মিলনেকে টেনে চার মেরে একটু চাপ কমিয়েছেন লিটন। ১৬তম ওভারে এসেছে ৯ রান। শেষ ৪ ওভারে প্রয়োজন ২৯ রান। ১৬ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ছিল ১০৩/৬। বাংলাদেশের ১০৭/৫।
দুর্দান্ত সাউদি
স্যান্টনারের দরকার উইকেট, সঙ্গে বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়ানো। সাউদিকে তাই চতুর্থ ওভারের মতো এনেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে সফল বোলারের শেষ ওভারে একটি লেগবাইসহ এসেছে ৪ রান, রানআউটের হাত থেকে বেঁচেও গেছেন লিটন। ১৮ বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৪ রান। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে শেষ করলেন সাউদি।
কে জিতছে নেপিয়ারে?
ঘটনাবহুল ওভারের পর বাংলাদেশের চাই ১০ রান
একটু আগে অস্বস্তিতে ছিলেন, ফিজিওর দ্বারস্থ হতে হয়েছিল লিটনকে।
সিয়ার্সের করা ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই চার মারলেন তিনি। মিড অফে থাকা সাউদি ডাইভ দিয়েও নাগাল পাননি। পরের বলে আউট হয়েই গিয়েছিলেন প্রায়! স্কুপ করেছিলেন। ডিপ ফাইন লেগে একেবারে সীমানার ওপর ক্যাচ নিয়েছেন সোধি। তবে সেটি সম্পন্ন করার আগেই বাউন্ডারি কুশনে পা লেগেছে। আউটের বদলে ছক্কা পেয়েছেন লিটন! পঞ্চম বলে চার পেতে পারতেন মেহেদী, ডিপ স্কয়ার লেগে গ্যাপ পেয়েছিলেন। কিন্তু দারুণ ফিল্ডিংয়ে সেটি আটকে দিয়েছেন ফিন অ্যালেন। শেষ ২ ওভারে এখন দরকার ১০ রান।
৫ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ
মিলনেকে মেহেদীর ছক্কা কাভারের ওপর দিয়ে। এরপর চার। তাতেই ঐতিহাসিক জয় নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের। দশম ম্যাচে এসে নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে হারাল বাংলাদেশ।
নেপিয়ারে শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়ের মূল কারিগর ছিলেন বোলাররা। একই মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও তাই। ১ রানেই ৩ উইকেট, ২০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা নিউজিল্যান্ড যায় ১৩৪ রান পর্যন্ত। রান তাড়ায় বাংলাদেশের ইনিংস ধরে রাখেন লিটন। ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন, ঠিক ফিটও ছিলেন না। তবে ৩৬ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
শেষ দিকে ১৪ বলে ১৯ রানের ক্যামিওতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মেহেদী। তাতেই ৮ বল বাকি থাকতে জয় পায় বাংলাদেশ।
এক বছর পর ফিরেই ম্যাচসেরা মেহেদী
২০২২ সালে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন। এক বছরেরও বেশি সময় পর ফিরেই ম্যাচসেরা হলেন এ অলরাউন্ডার। ৫০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে এ পুরস্কার জিতলেন প্রথমবার।
নিজের শক্তির জায়গা গুড লেংথে করেছি। ব্যাটিং-ও উপভোগ করেছি। শেষ করাই কাজ ছিল। আলহামদুলিল্লাহ।মেহেদী হাসান
রোমাঞ্চিত নাজমুল
খুবই রোমাঞ্চিত। যেভাবে খেলেছি, তাতে গর্বিত। তারা (নেপিয়ার) দ্রুত শিখেছে। (রান তাড়ায় চাপ) ক্রিকেটের সৌন্দর্য এটিই। তবে তাদেরকে আটকে দেওয়ার পর থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আমরা।বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন
তারা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। হার্ডলেংথে করেছে। ক্রস ব্যাটে খেলা কঠিন ছিল।নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার