২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

প্রথম বলেই ছক্কা কিংবা ইয়র্কার? সেই স্বাধীনতা দিয়েছেন সাকিব

সিডনিতে ব্যাটিং অনুশীলনে সাকিবছবি: শামসুল হক

‘এখন যদি বেশি শিখতে যাই, অবস্থা হবে পরীক্ষার আগের রাতে পড়ার মতো।’

কথাটা সাকিব আল হাসানের। দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ার আগে প্রস্তুতি নিয়ে বলছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সিডনিতে কাল প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচের সংবাদ সম্মেলনে মন খুলে প্রচুর কথা বলেছেন সাকিব। ওপরের কথাটা দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নিয়ে।

সাকিবের ভাষায়, ‘আমাদের যা কথা বলার ছিল, সেটি প্রস্তুতির সময়েই বলেছি। এখন কথা বলে খুব বেশি উপকার হবে কি না? এখন যদি বেশি শিখতে যাই, এমন অবস্থা হবে পরীক্ষার আগের রাতে পড়ার মতো। আমার ধারণা আমাদের প্রস্তুতি ভালো আছে। এখন শুধু যার যার মতো রিভিশন দেওয়া দরকার।’

আরও পড়ুন

রিভিশন বলতে সাকিব বুঝিয়েছেন, দলের খেলোয়াড়দের নিজ নিজ দক্ষতাগুলো ঝালিয়ে নেওয়া। পরিকল্পনার জায়গাগুলো ঠিক রাখা। সাকিব জানালেন, সবাইকে যাঁর যাঁর সামর্থ্যমতো খেলার পূর্ণ স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে, ‘(খেলোয়াড়) সে নিজের গেমপ্ল্যান ঠিক করবে এবং কীভাবে প্রতিপক্ষের বোলার-ব্যাটসম্যানকে সামলাবে সেটি তার নিজের ওপর নির্ভর করবে। সবাইকে সেই স্বাধীনতা দেওয়া আছে। কেউ যদি মনে করে গিয়ে প্রথম বলে চার-ছক্কা মারতে চায়, মারবে। কেউ যদি চায় প্রথম বল বাউন্সার করবে বা ইয়র্কার করবে, করতে পারে।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কাল বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় মাঠে নামবে সাকিবের দল। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) এর আগে কখনো খেলেনি বাংলাদেশ। সিডনিতে বসবাসরত বাংলাদেশির সংখ্যাও প্রচুর।

ব্যাটসম্যানদের ওপর ভরসা রাখছেন সাকিব
ছবি: শামসুল হক

সাকিব সমর্থন চাইলেন, ‘বেশ বড়সংখ্যক দর্শক থাকবে, যেহেতু সিডনিতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি। তাদের সমর্থন কাজে লাগিয়ে কীভাবে আরও ভালো পারফর্ম করতে পারি, সেটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডকে (এসসিজি) সাকিব যেভাবে দেখছেন, ‘খুবই ভালো মাঠ। যেখানে আমিসহ পুরো দলই প্রথমবার খেলব। আমাদের জন্য অবশ্যই একটু রোমাঞ্চটা কাজ করবে যে, এরকম একটা ভেন্যুতে আমরা শেষ পর্যন্ত খেলতে পারছি। যদিও আগেই আরও ম্যাচ খেলা উচিত ছিল। তবে সেটা হয়নি। এখন যেহেতু হচ্ছে, সবার জন্যই একটা সুযোগ এরকম একটা জায়গায়, এরকম একটা উপলক্ষে, দেশের জন্য ভালো কিছু করার।’

আরও পড়ুন

সেই ভালো করাটা নিশ্চয়ই জয়? সাকিব স্পষ্ট করে বলতে দ্বিধা করলে না যে, সেমিফাইনালের চিন্তা মাথায় থাকলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ, ‘অবশ্যই (সেমিফাইনালে উঠতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটা ম্যাচ, আমরা যদি জিতে যাই, যেটা বললাম যে আমাদের যে এমন কিছু করার সামর্থ্য আছে, সেটা প্রমাণ করার কাছাকাছি চলে যাব। তো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে দক্ষিণ আফ্রিকাও হারতে পারবে না। তো দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।’

বোলারদেরও আক্রমণাত্বক হওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন সাকিব
ছবি: শামসুল হক

সেই জয় তুলে নিতে টি-টোয়েন্টি খেলার মূল সুরটা ধরতে চান সাকিব, ‘টি-টোয়েন্টি আসলে মোমেন্টামের খেলা তো, মোমেন্টামটা ধরাটা খুব জরুরি এবং সেটা বজায় রেখে খেলে যাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডে ও টেস্টে সাধারণত পারফরমারের সংখ্যাটা বেশি থাকে। টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু অত বেশি থাকার সুযোগটা নেই। কম পারফরমার থাকবে কিন্তু ওদের পারফরম্যান্সটা একটু বড় হতে হয়।’

আরও পড়ুন

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততে খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখছেন সাকিব। প্রোটিয়াদের অলআউট করা কিংবা ওপেনারদের ২০ ওভার খেলার মতো সামর্থ্য আছে বলেই মনে করেন অধিনায়ক, ‘ওপেনারদের সুযোগ আছে ২০ ওভার ব্যাটিং করার। কেন তারা পারবে না? আমি বিশ্বাস করি তারা করতে পারবে। কিংবা আমাদের বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছে আগের দিন, কেন আমরা আবার ১০ উইকেট নিতে পারব না। আমাদের মানসিকতাই থাকবে ওরকম। আমরা খোলা মনে যেতে চাই, খেলাটা উপভোগ করতে চাই, আক্রমণাত্মক থাকতে চাই।’