স্বাগতম
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ হারের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটি জিততে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এ সিরিজে দলের কিছু শূন্য স্থান পূরণ নিয়ে ভাববে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সে হিসেবে পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজকে বলা যায়, দলের কিছু ক্রিকেটারের জন্য বিশ্বকাপের ‘অডিশন’।
সাকিব ও মোস্তাফিজের সাময়িক অনুপস্থিতি
জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে এই সিরিজে প্রথম তিন ম্যাচের স্কোয়াড ঘোষণার সময় বাংলাদেশের নির্বাচকেরা জানিয়েছিলেন, সাকিব আল হাসান আপাতত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে চান। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ থেকে সাকিবের মতো মোস্তাফিজুর রহমানেরও দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা। আইপিএল খেলে গতকাল দেশে ফিরেছেন মোস্তাফিজ।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আজ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন সাকিব। আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া, টেস্ট, ওয়ানডে, টি–টোয়েন্টি কিংবা ‘লিস্ট এ’—কোনো পর্যায়েই ২০১৯ সালের পর এটাই প্রথম সেঞ্চুরি সাকিবের।
তানজিদ হাসানের অভিষেক
গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক। এরই মধ্যে ১৫টি ওয়ানডে খেলা হয়ে গেলেও টি–টোয়েন্টিতে অভিষেকের অপেক্ষায় ছিলেন বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান। আজ সেই অপেক্ষা ঘুচল। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে টি–টোয়েন্টি ক্যাপ বুঝে নিলেন তানজিদ।
টস
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ।
মেঘলা আবহাওয়া
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, আকাশ মেঘলা। বাতাসও বইছে বেশ। উইকেটে কিছুটা ঘাসের উপস্থিতিও আছে।
টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন বলেছেন, ‘দেখে তরতাজা উইকেট মনে হচ্ছে। সিম মুভমেন্ট ও সুইং আশা করছি। মেহেদী হাসানসহ সর্বশেষ কয়েক ম্যাচে ওরা (বোলাররা) সত্যিই ভালো করেছে।’
মেঘলা আবহাওয়া, বাতাস, উইকেটে কিছুটা ঘাস এবং বোলারদের প্রতি আস্থা—এসব কারণেই কি টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন নাজমুল?
বাংলাদেশ একাদশ
নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
জিম্বাবুয়ে একাদশ
সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, ব্রায়ান বেনেট, শন উইলিয়ামস, ক্লাইভ মানদান্দে (উইকেটকিপার), লুক জঙ্গুয়ে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রায়ান বার্ল, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা।
১২টি ওয়ানডে খেলা জয়লর্ড গাম্বির টি–টোয়েন্টি অভিষেক হচ্ছে আজ।
শরীফুলে শুরু, গাম্বিরও চারে শুরু
জিম্বাবুয়ে: ১ ওভারে বিনা উইকেটে ৮ রান।
পেসার শরীফুল ইসলাম আক্রমণের শুরু করলেন। তাঁর প্রথম বলেই ফাইন লেগ দিয়ে চারে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি অভিষেক হলো জিম্বাবুয়ে ওপেনার জয়লর্ড গাম্বির। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান স্টাম্প ঢেকে দাঁড়ানোয় সম্ভবত এলবিডব্লিউর জন্য স্টাম্প বরাবর বোলিং করেছেন শরীফুল। কিন্তু সফল হতে পারেননি। দুটি চার হজম করেছেন, একটি হাফ ভলিতে।
জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটিতে অন্য প্রান্তে ক্রেগ আরভিন। প্রথম ওভারে তিনি স্ট্রাইক পাননি।
বোল্ড!
জিম্বাবুয়ে: ২ ওভারে ১ উইকেটে ১৩।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে একজন স্পিনারের দারুণ ডেলিভারি!
অন্য প্রান্ত থেকে স্পিনার মেহেদী হাসানকে আক্রমণে এনেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল। দ্বিতীয় বলেই জিম্বাবুয়ে ওপেনার ক্রেগ আরভিনের অফ স্টাম্পের বেলস উড়িয়ে দেন মেহেদী। মাপা লেংথের বলটি একটু টার্ন করায় আরভিন সামনে পা নিয়েও ব্যাটে পাননি। ২ বল খেলে ০ রানে আউট আরভিন।
তিনে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন ব্রায়ান বেনেট।
টানা তিন চার হজম শরীফুলের
জিম্বাবুয়ে: ৩ ওভারে ১ উইকেটে ২৬
নিজের দ্বিতীয় ওভারটা ভালো হলো শরীফুলের। তাঁর এই ওভারে প্রথম তিন বলেই তিনটি চার মেরেছেন ব্রায়ান বেনেট। এই ওভারে ১৩ রান দিলেন শরীফুল।
বোলিংয়ে পরিবর্তন, আক্রমণে তাসকিন
জিম্বাবুয়ে: ৪ ওভারে ১ উইকেটে ৩১
চতুর্থ ওভারে বোলার পাল্টালেন অধিনায়ক নাজমুল। তাসকিন আহমেদকে এনেছেন আক্রমণে। মাত্র ৫ রান দিয়ে দারুণ শুরু করলেন তাসকিন। বাউন্স পেয়েছেন, বলে পেসও ছিল।
ফিরেই উইকেট সাইফউদ্দিনের
জিম্বাবুয়ে: ৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩৬
১৮ মাস পর জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পঞ্চম ওভারেও বোলার পাল্টে তাঁকে আক্রমণ আনা হয়। সুইং পেয়েছেন, গাম্বি তাঁর ফুল লেংথের সুইং বুঝতে না পেরে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে কঠিন ক্যাচও তুলেছিলেন, কিন্তু ফিল্ডার ধরতে পারেননি। ওভারের শেষ বলটা করেছিলেন পায়ের ওপর। গাম্বি তুলে মারতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন তাসকিনকে।
১৪ বলে ১৭ রানে আউট গাম্বি। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান শন উইলিয়ামস।
এবার রান আউট!
জিম্বাবুয়ে: ৬ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৮
টানা তিন বলে তিনটি উইকেট পেল বাংলাদেশ!
আগের ওভারের শেষ বলে গাম্বিকে ফিরিয়েছেন সাইফদ্দিন। ষষ্ঠ ওভারে মেহেদী হাসান আক্রমণে এসে প্রথম বলেই পেলেন রান আউটের দেখা। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে খেলে এক রান চুরির চেষ্টা করেছিলেন বেনেট। মাহমুদউল্লাহর থ্রো–তে তাঁকে রান আউট করেন উইকেটকিপার জাকের আলী। ১৫ বলে ১৬ রানে আউট বেনেট।
পরের বলেই আবারও বিপদ ডেকে আনেন সিকান্দার রাজা। মেহেদীকে প্যাডল সুইড করতে গিয়ে ক্যাচ দেন স্লিপে লিটনকে। ১ বল খেলেই ০ রানে আউট হলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।
ক্রিজে উইলিয়ামসের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান ক্লাইভ মাদান্দে।
কী হচ্ছে আসলে! আবারও উইকেট!
জিম্বাবুয়ে: ৭ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৮।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃষ্টি নেমেছে উইকেটের!
সপ্তম ওভারে টানা দুই বলে দুটি উইকেট পেলেন তাসকিন। প্রথম বলে ফিরিয়েছেন উইলিয়ামসকে। ব্যাটে খেলে বল স্টাম্পে টেনে আনেন উইলিয়ামস (১ বলে ০)। পরের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রিশাদকে ক্যাচ দেন বার্ল (১ বলে ০)। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও পরের বলটি স্টাম্পের বাইরে করায় ছেড়ে দেন লুক জঙ্গি।
৯ বলের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারাল জিম্বাবুয়ে।
সর্বনিম্ন স্কোরের পথে হাঁটছে জিম্বাবুয়ে
জিম্বাবুয়ে: ৮ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ৪৩
...এবং আবারও উইকেট!
৮ম ওভারে লুক জঙ্গুয়ে লং অনে তাওহিদ হৃদয়ের ক্যাচে পরিণত করেন সাইফউদ্দিন। ম্যাচে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ।
টি–টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের সর্বনিম্ন স্কোর ৮২। এ বছরই কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪.১ ওভারে গুটিয়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। আজ সেই রেকর্ড কি নতুন করে লিখবে জিম্বাবুয়ে? সেই সম্ভাবনা কিন্তু অনেক বেশি।
ইনিংসের অর্ধেক পথেও হলো না ‘৫০’
জিম্বাবুয়ে: ১০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ৪৯
৯ম ওভারে তাসকিন ১ রান দেওয়ার পর ১০ম ওভারে ৬ রান দেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৩৮। পরের ৪ ওভারে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে ১১ রান তুলতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে।
ব্যাট করছেন ছয়ে নামা মানদান্দে (৮*) ও নয়ে নামা ওয়েলিংটন মাসাকাদজা (১*)
৫০ পেরোল জিম্বাবুয়ে
জিম্বাবুয়ে: ১১ ওভারে ৭ উইকেটে ৫৬
১১তম ওভারে শরীফুলকে আক্রমণে ফিরিয়েছেন নাজমুল। এই ওভারে ৭ রান দেন শরীফুল। দ্রুত উইকেট হারানোয় রান তুলতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে মাসাকাদজা ও মাদান্দেকে।
এই ক্যাচ মিস নিয়ে আক্ষেপ হবে না বাংলাদেশের
জিম্বাবুয়ে: ১২ ওভারে ৭ উইকেটে ৬৪
রিশাদের করা চতুর্থ বলে মিড অফে ক্যাচ তুলেছিলেন মাসাকাদজা। ক্যাচটি বেশ কঠিন ছিল। দৌড়ে গিয়ে ডাইভ দিয়েও ক্যাচটি নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ।
যে সুযোগ হাতছাড়া হলো!
টি–টোয়েন্টিতে প্রতিপক্ষকে সর্বনিম্ন ৬০ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশ। সেটি ২০২১ সালে মিরপুরে নিউজিল্যান্ডকে। রেকর্ডটি আজ নতুন করে লেখানোর সুযােগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। ৬.২ ওভারে ৩৮ রানেই ৬ উইকেট পড়েছিল জিম্বাবুয়ের। কিন্তু ৮ম উইকেটে মাসাকাদজা–মাদান্দের অবিচ্ছিন্ন ২৩ রানের জুটিতে সেটি আর হলো না।
জিম্বাবুয়ে: ১৩ ওভারে ৭ উইকেটে ৬৪
অষ্টম উইকেটে প্রতিরোধ জিম্বাবুয়ের
টপ অর্ডার যে কাজ করতে পারেনি সেটাই করছেন ছয়ে ও নয়ে নামা দুজন!
৮ম উইকেটে ৪৮ বলে ৪১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ক্লাইভ মাদান্দে। ৪৯ বলে ৪১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন দুজন। মাদান্দে ব্যাট করছেন ২৯ রানে। ১১ রানে অপরাজিত মাসাকাদজা।
জিম্বাবুয়ে: ১৬ ওভারে ৭ উইকেটে ৮২।
এক শ পার হলো জিম্বাবুয়ে
জিম্বাবুয়ে: ১৮ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১০৯
শঙ্কা ছিল নিজেদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার। কিন্তু ৮ম উইকেটে মাসাকাদজা ও মাদান্দের অবিচ্ছিন্ন ৬৭ রানের জুটিতে এক শ পার হয়েছে জিম্বাবুয়ে। এখন বেশ মারমুখী ব্যাটিং করছেন দুজন।
তাসকিনের করা ১৬তম ওভারে ১৮ রান নিয়েছেন দুজন। শরীফুলের করা ১৭তম ওভারে উঠেছে ১১ রান।
ইয়র্কার, উইকেট, ভাঙল জুটি
জিম্বাবুয়ে: ১৯ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৮
১৯ম ওভারে তাসকিনের করা প্রথম বলে ছক্কা মেরে মারমুখী ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মাসাকাদজা। কিন্তু তৃতীয় বলেই মাদান্দের দুই পায়ের ভেতর দিয়ে দারুণ এক ইয়র্কারে তাঁকে বোল্ড করেন তাসকিন। এর মধ্য দিয়ে ৮ম উইকেটে তাঁর সঙ্গে মাসাকাদজার ৭৫ রানের জুটি ভাঙল। ৬টি চারে ৩৯ বলে ৪৩ রানে আউট হলেন মাদান্দে।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মুজারাবানি। অন্য প্রান্তে ৩১ রানে অপরাজিত মাসাকাদজা।
আবারও ইয়র্কার এবং উইকেট!
এবার ইয়র্কার মারলেন সাইফউদ্দিন এবং স্টাম্প ছত্রখান। শেষ ওভারে দ্বিতীয় বলে ইয়র্কার মেরে মুজারাবানিকে বোল্ড করেন সাইফউদ্দিন। ক্রিজে জিম্বাবুয়ের শেষ জুটি মাসাকাদজা ও এনগারাভা।
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট
৬.২ ওভারে ৩৮ রানে জিম্বাবুয়ের ৬ উইকেট ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অলআউট করতে অপেক্ষা করতে হলো শেষ বল পর্যন্ত। ২০তম ওভারের শেষ বলে মাসাকাদজা রানআউট হওয়ার মধ্য দিয়ে অলআউট জিম্বাবুয়ে।
নিজেদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকে জিম্বাবুয়েকে বাঁচিয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ক্লাইভ মাদান্দে জুটি। ৮ম উইকেটে ৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটিতে পাল্টা প্রতিরোধ গড়েন দুজন। ৬ চারে ৩৯ বলে ৪৩ রান করেন মাদান্দে। ২ ছক্কা ও ২ চারে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।
প্রথম ১০ ওভারেই জিম্বাবুয়েকে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই ফেলেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ইনিংসের এই অর্ধে ৭ উইকেটে ৪৯ রান তুলেছিল জিম্বাবুয়ে। মোট চার ব্যাটসম্যান ‘ডাক’ মেরেছেন। ৫ রানে পড়েছে ৬ উইকেট।
পরের অর্ধে মানে বাকি ৬০ বলে ৩ উইকেটে ৭৫ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে। অর্থাৎ, এই অর্ধে ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় সফল জিম্বাবুয়ে। এখন তাঁদের বোলাররা কী করেন, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট তাসকিন ও সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। সাইফউদ্দিন ১৮ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে ৪ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট নেন। ৪ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট মেহেদী হাসানের।
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১২৪ (মাদান্দে ৪৩,মাসাকাদজা ৩৪,বেনেট ১৬,গাম্বি ১৭, জঙ্গুয়ে ২, এনগারাভা ২; তাসকিন ৩/১৪, সাইফউদ্দিন ৩/১৫, মেহেদী ২/১৬, শরীফুল ০/৩৭, রিশাদ ০/৩৭)।
দেখেশুনে শুরু করে আউট লিটন
বাংলাদেশ: ২ ওভারে ১ উইকেটে ৮ রান
রিচার্ড এনগারাভার করা প্রথম ওভারে ৫ রান তুলেছিলেন তানজিদ ও লিটন দাস। মুজারাবানির করা পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই বোল্ড লিটন। ভালো লেংথ থেকে বলটা লিটনের ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে স্টাম্প ভেঙেছে।
তিন সংস্করণ মিলিয়ে লিটনের রানখরা চলছেই। সর্বশেষ ফিফটি পেয়েছেন ১৯ ইনিংস আগে ২০২৩ সালে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে।
ক্রিজে তানজিদের সঙ্গী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
বৃষ্টির হানা!
বাংলাদেশ: ৩ ওভারে ১ উইকেটে ১০
এনগারাভার করা তৃতীয় ওভার শেষে বৃষ্টি হানা দিয়েছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। খেলা আপাতত বন্ধ।
৮ বলে ৩ রানে অপরাজিত তানজিদ। অন্য প্রান্তে ৭ বলে ৪ রানে অপরাজিত নাজমুল। জয়ের জন্য ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। ১০২ বলে ১১৫ রানের সমীকরণে পিছিয়ে থাকতে নামল বৃষ্টি।
চট্টগ্রাম থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, শুরুতে বেশ ভারি বৃষ্টিপাত হলেও এখন কিছুটা কমেছে। মাঠ কাভারে ঢাকা।
থেমেছে বৃষ্টি
চট্টগ্রাম থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, বৃষ্টি থেমেছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। কাভারও সরানো হয়েছে। আম্পায়াররা মাঠ পরিদর্শনে নেমেছেন।
রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে খেলা শুরু
চট্টগ্রাম থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, বৃষ্টি থামার পর কাভার সরানো হয়েছে এবং আম্পায়াররা মাঠ পরিদর্শন করে রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে খেলা শুরু করবেন। ওভার কাটা হয়নি।
খেলা শুরু, জোড়া ‘জীবন’ পেলেন তানজিদ
বাংলাদেশ: ৪ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১২
বৃষ্টি থামার পর পুনরায় শুরু হয়েছে খেলা। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে মুজারাবানিকে পুল করতে গিয়ে বল আকাশে তুলেছিলেন তানজিদ। জিম্বাবুয়ে কিপার মাদান্দে ক্যাচ নিতে গিয়ে সতীর্থের সঙ্গে সংর্ঘষে মিস করেন। ওভারের শেষ বলে কাভারে তানজিদের ক্যাচ ছাড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। টি–টোয়েন্টি অভিষেকে জোড়া ‘জীবন’ কাজে লাগিয়ে কি বাংলাদেশকে জেতাতে পারবেন তানজিদ?
খোলস ছাড়লেন তানজিদ
বাংলাদেশ: ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৩৫
জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ও স্পিনার সিকান্দার রাজার করা ৫ম ওভার থেকে উঠেছে ৭ রান। তাতে বোধহয় একটু খোলস ছেড়ে বের হওয়ার ইচ্ছা হলো তানজিদের। মুজারাবানির করা ষষ্ঠ ওভারে দেখা গেল মারমুখী তানজিদকে।
প্রথম বলে কাভার দিয়ে চার, পরের বলে দর্শনীয় পুলে ছক্কা, এরপর একটি বল ডট এবং তারপর আবারও ছক্কা! এবার কাউ–কর্নার দিয়ে।
এই ওভারে উঠল ১৬ রান।
আবারও বৃষ্টি!
চট্টগ্রাম থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, বৃষ্টি হানা দিয়েছে আবারও। খেলা বন্ধ। মাঠ কাভারে ঢাকা হয়েছে।
৭.২ ওভারে ১ উইকেটে ৪৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমেছে ১২৫ রানের লক্ষ্যে।
ডি/এল নিয়মে ১ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
থেমেছে বৃষ্টি
বৃষ্টির খেলা আপাতত থেমেছে।
চট্টগ্রাম থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, বৃষ্টি থামার পর সরানো হয়েছে কাভার। ৯টা ৪০ মিনিটে খেলা পুনরায় শুরু হবে। ওভার কাটা পড়েনি।
পঞ্চাশ পাড়ি
বাংলাদেশ: ৮ ওভারে ১ উইকেটে ৫২
বৃষ্টি থামার পর পুনরায় খেলা শুরু হয়েছে। স্পিনার বেনেটের করা অষ্টম ওভারে পুল করে একটি চার মেরেছেন নাজমুল।
তানজিদ ২৬ বলে ৩০ এবং নাজমুল ২০ বলে ১৯ রানে ব্যাট করছেন।
ফিরলেন নাজমুল, ভাঙল জুটি
বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৬৭।
লুক জঙ্গুয়ের করা ১০ম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিড উইকেট দিয়ে টেনে ছক্কা মারতে গিয়ে শন উইলিয়ামসকে ক্যাচ দেন নাজমুল। ১ চারে ২৪ বলে ২১ রানে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এই ওভারের শেষ দুই বলে দুটি চার মেরেছেন তানজিদ। ৩২ বলে ৪০ রানে ব্যাট করছেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়। ১ বলে ১ রানে অপরাজিত তিনি।
তানজিদের ফিফটি
বাংলাদেশ: ১১ ওভারে ২ উইকেটে ৭৯
৩৬ বলে ৫০। ২টি ছক্কা ও ৬টি চারের মার।
টি–টোয়েন্টি অভিষেকেই ফিফটি তুলে নিলেন তানজিদ। দুবার ‘জীবন’ পেলেও দারুণ কিছু শট খেলেছেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে পরিণত ব্যাটিংও করছেন। ইনিংসটা কি তিনি শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে পারবেন?
আবারও বল আকাশে, আবারও ‘জীবন’ তানজিদের
এনগারাভার খাটো লেংথের বল পুল করেছিলেন তানজিদ। এবারও ঠিকমতো খেলতে পারেননি ব্যাটে। বল স্কয়ার লেগ অঞ্চলে আকাশে উঠলেও এবারও কিপার দৌড়ে গিয়ে ধরতে পারেননি। তানজিদের ‘তৃতীয়’ জীবন।!
বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ২ উইকেটে ৯১
হৃদয়ের বিশাল ছক্কা
বাংলাদেশ: ১৩ ওভারে ২ উইকেটে ১০৬
এনদোলোভুর করা ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে স্লগ সুইপে কাউ কর্নার দিয়ে বিশাল ছক্বা হাঁকালেন তাওহিদ হৃদয়। এমন লেংথে বল পাওয়ার অপেক্ষাতেই ছিলেন তিনি। এই ওভারে আরও দুটি চার মেরেছেন হৃদয়। মোট ১৫ রান উঠল এই ওভারে।
জয়ের জন্য ৪২ বলে ১৯ রান দরকার বাংলাদেশের।
খেলা দ্রুত শেষ করার চেষ্টা
বাংলাদেশ: ১৫ ওভারে ২ উইকেটে ১২২
১৫তম ওভারে মুজারাবানিকে দুটি চার মেরে খেলা দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছেন হৃদয়।
জয়ের জন্য ৩০ বলে দরকার ৩ রান।
চার মেরে জেতালেন তানজিদ
লুক জঙ্গুয়ের করা ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কাভার দিয়ে চার মেরে জেতালেন তানজিদ। ২৮ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ।
২ ছক্কা ও ৮ চারে ৪৭ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত তানজিদ। ১ ছক্কা ও ৫ চারে ১৮ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত হৃদয়।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। রোববার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
জয়ের জন্য ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৫ রানে লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রানে আউট হয়ে নিজের বাজে ফর্ম আরেকটু টেনে নিলেন লিটন। এরপর অধিনায়ক নাজমুলের সঙ্গে ৪৮ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন তানজিদ। ৯.২ ওভারে নাজমুল আউট হওয়ার পর হৃদয়ের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৩৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জেতান তানজিদ। জুনায়েদ সিদ্দিকীর পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টি–টোয়েন্টি অভিষেকে ফিফটি পেলেন তানজিদ।
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১২৪ (মাদান্দে ৪৩,মাসাকাদজা ৩৪,বেনেট ১৬,গাম্বি ১৭, জঙ্গুয়ে ২, এনগারাভা ২; তাসকিন ৩/১৪, সাইফউদ্দিন ৩/১৫, মেহেদী ২/১৬, শরীফুল ০/৩৭, রিশাদ ০/৩৭)।
বাংলাদেশ: ১৫.২ ওভারে ১২৬/২ (তানজিদ ৬৭*, হৃদয় ৩৩*, নাজমুল ২১, লিটন ১; মুজারাবানি ১/৩১, জঙ্গুয়ে ১/১৪, রাজা ০/৩১, বেনেট ০/১০)।
ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।