সকালের কুয়াশা সরিয়ে সূর্য তাপ দিতে শুরু করেছে। দিনের সেরা ব্যাটিং কন্ডিশন বলতে যা বোঝায়, সেটাই পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য ১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে লাঞ্চের আগে বিনা উইকেটে ৪ রান তুলেছিল কিউরা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কাজটা সহজ হতে দেয়নি বাংলাদেশ দলের বোলাররা। চা বিরতির আগে ৯০ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য তাদের দরকার আরও ৪৭ রান। বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪ উইকেট।
দিনের দ্বিতীয় সেশনেই শুরুতেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে পেসার শরীফুল ইসলামের বলে নিউজিল্যান্ড ওপেনার ডেভন কনওয়ে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খানিকটা নিচু হয়ে ভেতরে এসে কনওয়ের প্যাড খুঁজে নেয়। ১৫ বলে ২ রান করা কনওয়ের ইনিংস থামে তাতে।
পরের উইকেটের জন্য বাংলাদেশকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। দশম ওভারে মিডল স্টাম্পের ওপর তাইজুলের ফ্লাইট মেশানো বল সামনের পায়ে খেলার চেষ্টা করেন কেইন উইলিয়ামসন। কিন্তু পিচ পর্যন্ত যেতে পারেননি। নিখুঁত টার্নের সঙ্গে মেশানো বাড়তি বাউন্স উইলিয়ামসনকে পরাস্ত করে যায় উইকেটের পেছনে। উঁচু হয়ে আসা বলটি গ্লাভসবন্দী করেই স্টাম্প ভেঙে দেন নুরুল। তাতেই ১১ রান করা উইলিয়ামসনের ইনিংস থামে। চলতি সিরিজে চার ইনিংসে তৃতীয়বার উইলিয়ামসনকে আউট করলেন তাইজুল।
চারে নামা হেনরি নিকোলসকে (৩) বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মিরাজ। স্টাম্প তাক করে করা বল ভুল লাইনে খেলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। টপ অর্ডারের বাকিরা যখন আসা যাওয়ায় ব্যস্ত, তখন ল্যাথাম এক প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন। ২১তম ওভারে ল্যাথামের লড়াই থেমেছে মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে। ৬০ বলে ২৬ রান করে মিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া বলে প্রথম স্লিপে থাকা নাজমুলের হাতে ক্যাচ তোলেন ল্যাথাম।
ঠিক পরের ওভারেই আরও একবার নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে আঘাত হানেন তাইজুল। এবার শিকার টম ব্লান্ডেল (২)। বাঁহাতি স্পিনারের বাড়তি বাউন্স মেশানো বল উইকেটের পেছনে যাওয়া আগে ছুঁয়ে যায় ব্লান্ডেলের গ্লাভস। নিউজিল্যান্ড দলের রান তখন ৫ উইকেটে ৫১।
উইকেটসংখ্যাটা খুব দ্রুতই ৬ হতে পারত। আর সেই ষষ্ঠ উইকেট হতে পারতেন প্রথম ইনিংসে ৮৭ রান করা গ্লেন ফিলিপসের। কিন্তু মিরাজের বলে স্লিপে নাজমুলের হাত ফসকে যায় ফিলিপসের ক্যাচ। তখন ফিলিপস রানের খাতা খোলেননি। মিরাজ অবশ্য ২৭তম ওভারে ১৯ রান করা ড্যারেল মিচেলকে নাজমুলের তালুবন্দী করেন। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড সেশনের বাকি সময়টা পার করেছে অপরাজিত থাকা ফিলিপস (১৭) ও মিচেল স্যান্টনারের (৯) সৌজন্যে।