নিয়মিত অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান নেই। তবে জয় পেতে সমস্যা হয়নি প্রীতি জিনতার দল পাঞ্জাব কিংসের। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টকে ৮ উইকেটে ১৫৯ রানে থামিয়ে ২ উইকেট ও ৩ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্য টপকে গেছে পাঞ্জাব। এবারের আইপিএলে দলটির তৃতীয় জয়ের দিন নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তরুণ হার্ড হিটার শাহরুখ খান। সিকান্দার রাজার ফিফটির পর তাঁর বিস্ফোরক ব্যাটিংয়েই জিতেছে পাঞ্জাব।
এবারের আইপিএলের অরেঞ্জ ক্যাপটা ছিল পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানের দখলে। ৪ ম্যাচ খেলে ১৪৬ স্ট্রাইক রেটে ধাওয়ানের রান ২৩৩। পাঞ্জাবের টপ অর্ডার ব্যাটিংটা একাই সামলাচ্ছিলেন এই বাঁহাতি। চোটে পড়ায় সেই ধাওয়ানকে ছাড়াই আজ লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে খেলতে নামে পাঞ্জাব। ধাওয়ান অনুপস্থিতিতে পাঞ্জাবকে নেতৃত্ব দেন স্যাম কারেন।
তবে ব্যাটিং ধাওয়ানের অভাবটা রয়েই যায়। ১৭ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় পাঞ্জাব। সেখান থেকে পাঞ্জাবের রান বাড়ানোর দায়িত্ব নেন ম্যাথু শর্ট। প্রতি আক্রমণে ২২ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের বলে মিড অফ দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মার্কাস স্টয়নিসের হাতে ধরা পড়েন শর্ট।
দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও হাল ছাড়েননি সিকান্দার রাজা। হারপ্রীত সিংয়ের সঙ্গে ৩০ বলে ৩০ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন তিনি। ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে হারপ্রীত আউট হলে রাজাকে লড়তে হয় একাই। লক্ষ্ণৌর স্পিনারদের বিপক্ষে চড়াও হয়ে রান বাড়াতে থাকেন জিম্বাবুয়ের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। চাপের মুখে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল রাজার ১৩৯ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে।
দারুণ খেলতে থাকা রাজা আউট হন ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে। রবি বিষ্ণইয়ের বলে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন রাজা। তখন জয়ের জন্য ১৩ বলে দরকার ২১ রান। বাকি কাজটা করেন শাহরুখ খান। ১০ বলে ২৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে পাঞ্জাবের জয় নিশ্চিত করেন।
থিতু হচ্ছিলেন। কিন্তু ইনিংস বড় হচ্ছে না। লোকেশ রাহুলের এবারের আইপিএল কাটছিল এভাবেই। আজ ভাগ্য বদলে গেল। হারের দিনে রানে ফিরেছেন লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক। ঘরের মাঠে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে রাহুলের ব্যাট থেকে এল ৭৪ রানের ইনিংস। তাতে লড়াই করার মতো রান পেয়েছে রাহুলের দল লক্ষ্ণৌ।
আগে ব্যাট করা লক্ষ্ণৌকে আজও দারুণ শুরু এনে দেন কাইল মেয়ার্স। ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংসের সৌজন্যে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৩ রান পায় দলটি। তাতে রাহুলও সময় নিয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। দীপক হুদা, ক্রুনাল পান্ডিয়া ও নিকোলাস পুরান মাঝের ওভারে ব্যর্থ হলেও রাহুল সে সময় রানের চাকা সচল রাখেন বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে।
শেষ পর্যন্ত ৫৬ বল খেলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৪ রান করেন রাহুল। এই ইনিংসের সৌজন্যে আইপিএলে ৪ হাজার রানের মাইলফলকও পূর্ণ করেন তিনি। পাঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্যাম কারেন।