টেস্টের প্রস্তুতি নিয়ে জানা কথাটাই বললেন নাজমুল
শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষ। বাংলাদেশ দল এরপর আবার টেস্ট খেলবে আগামী আগস্টে পাকিস্তান সফরে। এরপর ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজেও সফর আছে বাংলাদেশ দলের। ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ আছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। অর্থাৎ বাংলাদেশ অল্প সময়ের মধ্যে আটটি টেস্ট খেলবে। সে জন্য বাংলাদেশ টেস্ট দলের প্রস্তুতিটা কেমন হবে?
শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষে টেস্ট দলের খেলোয়াড়েরা ব্যস্ত হয়ে যাবেন সাদা বলের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। ঘরোয়া ক্রিকেটের মৌসুম শেষ হবে প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে। অক্টোবরে জাতীয় লিগ দিয়ে আবার নতুন মৌসুম শুরু হবে। এর মধ্যে টেস্ট দলের খেলোয়াড়দের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলার সুযোগ নেই।
সে জন্য টেস্ট দলের খেলোয়াড়দের ব্যস্ত রাখতে দরকার যথেষ্ট ‘এ’ দলের সিরিজ। আজ নাজমুলও সে কথাই বললেন। চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড়দের প্রস্তুতির প্রসঙ্গে জানা কথাটাই নতুন করে বললেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, ‘আমরা কোনো সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে সেখানে যদি ‘এ’ দল পাঠাতে পারি তাহলে সবচেয়ে কার্যকরী হবে। যারা শুধু টেস্ট খেলছে বা যারা এক-দুটি সংস্করণ খেলে, ওরা যদি আগে গিয়ে এক-দুটি ম্যাচ খেলতে পারে, তাহলে কিন্তু প্রস্তুতিটা খুব ভালো হবে। ওই উইকেট ও কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা হবে।’
তিন সংস্করণের খেলোয়াড়দের জন্য অবশ্য বিষয়টি সহজ নয়। অন্য সংস্করণের খেলার চাপ তাঁদের থাকবেই। নাজমুল বললেন ক্রিকেট–সূচির এই বাস্তবতা মানতেই হবে, ‘যারা তিন সংস্করণে খেলে তাদের জন্য কঠিন। তাদের ওই নেট অনুশীলনের মাধ্যমেই মানিয়ে নিতে হবে। এই সিরিজটা যেমন খেললাম দুই দিনের বিরতিতে। যারা সাদা বলের ক্রিকেট খেলছে, তাদের জন্য কঠিন। তাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। যারা শুধু টেস্ট খেলছে, তারা যদি যাদের সঙ্গে খেলবে সেই দেশে যদি তাদের ও ‘এ’ দল পাঠাতে পারি, তাহলে প্রস্তুতিটা আরেকটু উন্নতি হবে।’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও প্রস্তুতি নেওয়ার আরও একটি উপায়। কিন্তু খেলার মানের কারণে সেটা খেলোয়াড়দের কতটা কাজে দেয়, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। নাজমুলই বললেন, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, হ্যাঁ, যদি উইকেটটা আরেকটু ভালো হয়, যে রকম কন্ডিশনে আমরা খেলব, যে চ্যালেঞ্জগুলো আমরা সামলাব, তা হলে ভালো। কিন্তু আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলো এখানে পাই, তা আমরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাই না। আমরা খেলোয়াড়েরই হয়তো…আমরা আমাদের জায়গা থেকে যদি কিছু জিনিস যুক্ত করতে পারি, যে চ্যালেঞ্জটা আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সামলাচ্ছি, তাহলে অবশ্যই ভালো। হ্যাঁ, যত ম্যাচ খেলব উন্নতির কিছু না কিছু জায়গা তত থাকেই।’