আর্সেনাল–সিটির লড়াইয়ের মধ্যে এক পাকিস্তানি ক্রিকেটার
পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আব্বাসের সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার কি কখনো দেখা হয়েছে? খুব সম্ভবত হয়নি। কিন্তু কিছুদিন আগে এ দুজন ‘মুখোমুখি’ অবস্থানে দাঁড়িয়েছিলেন।
ব্যাপারটা বেশ গোলমেলে লাগতে পারে। কোথায় ফুটবল কোচ গার্দিওলা আর কোথায় ক্রিকেটার আব্বাস! দুজনের দেখা হওয়ার সুযোগ কোথায়! তবে উইজডেন ওয়েবসাইটে প্রচারিত এক পডকাস্টে এমনই এক ঘটনা সামনে এনেছেন ক্রিকেট সাংবাদিক ক্যামেরন পনসনবে। জানিয়েছেন, সত্যিই গার্দিওলার সঙ্গে পাকিস্তানি ক্রিকেটার মুখোমুখি হয়েছিলেন। আর সেটা সাউদাম্পটনের হিলটন হোটেলের একটি স্যুটকে কেন্দ্র করে।
আব্বাস এ মুহূর্তে ইংলিশ কাউন্টি দল হ্যাম্পশায়ারের হয়ে খেলছেন। কাউন্টি দলটির সঙ্গে তাঁর চুক্তিতেই আছে, খেলার সময় তিনি সাউদাম্পটনের হিলটন হোটেলের একটি স্যুটে থাকবেন। বেশ দামি সেই স্যুট ৩৩ বছর বয়সী পাকিস্তানি ক্রিকেটারের জন্যই বরাদ্দ। এদিকে, ম্যানচেস্টার সিটি কোচ গার্দিওলা কিছুদিন আগে দল নিয়ে সাউদাম্পটনে গিয়েছিলেন। সিটির গোটা দলের জন্যই হিলটন হোটেলে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তখন আব্বাসের ব্যবহার করা স্যুটটিতেই থাকতে চেয়েছিলেন গার্দিওলা।
গার্দিওলার সেই অনুরোধ রাখেনি হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি দল। পনসনবে জানিয়েছেন, সিটি সেই স্যুট গার্দিওলার জন্য দুই কি তিন রাতের জন্য চেয়েছিল। কিন্তু হ্যাম্পশায়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘না’ করে দেয়। তারা বলে, ‘না পেপ, হিলটনের এই স্যুট আমাদের মোহাম্মদ আব্বাসের জন্য বরাদ্দ।’
পনসনবের ভাষ্য সমর্থন করেছেন হ্যাম্পশায়ারে মোহাম্মদ আব্বাসের সতীর্থ কেইথ বার্কার। তিনি ইনস্টাগ্রামে নিজের পোস্টে আরেকটি তথ্যও যোগ করেছেন—হ্যাম্পশায়ারের ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান নাকি কড়া আর্সেনাল সমর্থক। এ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের শিরোপা জেতার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সেই ২০০৪ সালের পর। গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিই এ মুহূর্তে আর্সেনালের প্রধান হুমকি। তাই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী দলের কোচকে কোনো সুযোগই দিতে চাননি। কেইথ বলেছেন, অন্তত হ্যাম্পশায়ারের ক্রিকেট পরিচালনা প্রধানের দিক দিয়ে আব্বাসকে সরিয়ে সেই স্যুট গার্দিওলাকে বরাদ্দ দেওয়ার কোনো সুযোগই নেই।
মোহাম্মদ আব্বাস বেশ কয়েক মৌসুম ধরেই হ্যাম্পশায়ারের হয়ে খেলছেন। নিজের পারফরম্যান্স দিয়েই নিজেকে তিনি কাউন্টি দলটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারে পরিণত করেছেন। এরই মধ্যে তিনি বল হাতে নিয়েছেন ১০০ উইকেট, গড় ১৭! এই মৌসুমে প্রথম ম্যাচেই নিয়েছেন ৯ উইকেট। সারের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও নিয়েছেন ২ উইকেট।
পাকিস্তানের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৭টি টেস্ট খেলেছেন আব্বাস। টেস্ট অভিষেক ২০১৭ সালে। ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছেন ৩টি। টেস্টে ২৩ গড়ে তাঁর উইকেটসংখ্যা ৯০। ওয়ানডেতে তাঁর উইকেট একটি।