যেভাবে খেলে এসেছে, সেভাবেই খেলার চেষ্টা করবে ইংল্যান্ড
ভারতের কাছে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের পরও ‘নেতিবাচক’ কোনো অ্যাপ্রোচে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা ইংল্যান্ড দলের নেই বলে জানিয়েছেন জ্যাক ক্রলি। তবে চাপ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের ‘ঠিক মুহূর্তটি বেছে নিতে হবে’, সেটি মেনে নিয়েছেন এ ওপেনার।
অধিনায়ক বেন স্টোকস ও কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অধীনে ভারতের কাছেই এ মাসের শুরুতে প্রথমবারের মতো সিরিজ হেরেছে ইংল্যান্ড। হায়দরাবাদে প্রথম টেস্ট জিতলেও পরের ৪টি টেস্টই হেরেছে তারা।
ইংল্যান্ডের এমন হারের পর ‘বাজবল’ নামে পরিচিত তাদের আক্রমণাত্মক খেলার ধরন নিয়ে আবার তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি ব্যাটিং–ধস যে তাদেরকেও ভাবাচ্ছে, সেটি স্পষ্ট হয়েছে কোচ ম্যাককালামের কথায়। এর আগে তিনি বলেছেন, নিজেদের খেলার ধরনে আরেকটু ঘষামাজা করতে হবে।
এবার ২৬ বছর বয়সী ক্রলি বললেন, ‘আমরা সব সময়ই চাপ নেওয়া এবং প্রতিপক্ষকে চাপ ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কথা বলি। গত দুই বছরে আমরা প্রতিপক্ষকে চাপ ফিরিয়ে দেওয়ার কাজটি বেশ ভালোভাবে করেছি। আমরা এসব ক্ষেত্রে সঠিক মুহূর্তটি বেছে নেওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেছি। নিশ্চয়ই আমরা সেসব ঘষামাজা করতে পারি।’
ইংল্যান্ড দলের একটি স্পনসর সুইস ঘড়ির ব্র্যান্ড রাডোর এক অনুষ্ঠানে ক্রলি আরও বলেন, ‘এর মানে এই না যে আমরা আরও নেতিবাচক হয়ে উঠব। আমরা যেভাবে খেলে এসেছি, এখনো সেভাবেই খেলার চেষ্টা করব। দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করব। কিন্তু হ্যাঁ, যখন তারা (প্রতিপক্ষ) এগিয়ে থাকবে, আমাদের চাপ সামলাতে হবে।’
ম্যাককালাম-স্টোকস যুগে প্রথম ১১টি টেস্টের ১০টি জিতেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু সর্বশেষ ১২টি টেস্টের মধ্যে হেরেছে ৭টিতে। এমনিতে খেলোয়াড়দের ব্যর্থতার শঙ্কা থেকে দূরে এনে খোলামেলাভাবে খেলতে দেওয়ার যে ধরন, সেটির সঙ্গে সবাই একমত নন। কিন্তু রাজকোটে জো রুট যখন রিভার্স স্কুপের মতো ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে গিয়ে আউট হন, তখন ইংল্যান্ড একটু বাড়াবাড়ি করছে বলেও মনে করেন অনেকে।
ভারতের বিপক্ষে অবশ্য ইংল্যান্ডের সেই আগ্রাসী ভাবটিও দেখা যায়নি সেভাবে। রাঁচিতে যেমন প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রান তোলার পর ভারতের ৭ উইকেট তারা তুলে নিয়েছিল ১৭৭ রানের মধ্যেই। কিন্তু সে টেস্টটিও ইংল্যান্ড হারে ৫ উইকেটে। সে হারে সিরিজও খুইয়ে বসে তারা।
সে টেস্ট নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন সিরিজে ৪০.৭ গড়ে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ৪০৭ রান করা ক্রলি, ‘আমাদের রাঁচিতে জিতে ২-২ করা উচিত ছিল। তাহলে শেষ টেস্টে কী হতো, কে জানে।’