দক্ষিণ আফ্রিকাকে সর্বনিম্ন রানে থামিয়ে ভারত জিতল ২০০ বল হাতে রেখে
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সব সময়ই বিপজ্জনক দল। গোলাপি দিনের ক্রিকেটে সেটা যেন আরও বেশি। স্তন ক্যানসারের সচেতনতায় এক দশক ধরে ‘পিংক ডে’ ওয়ানডে আয়োজন করে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা, যেখানে প্রথম ১১ ম্যাচের ৯টিতেই জিতেছে স্বাগতিকেরা।
তবে নতুন মৌসুমের প্রথম ‘পিংক ডে’ ক্রিকেটে উল্টো দক্ষিণ আফ্রিকাকেই ভুগিয়েছে ভারত। অর্শদীপ সিং ও আবেশ খানের বোলিং তোপে মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। ভারত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ৮ উইকেট আর ২০০ বল হাতে রেখে। এটি ওয়ানডেতে বলের হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় বড় হার।
জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে দক্ষিণ আফ্রিকা অস্বস্তিকর রেকর্ডের মুখোমুখি হয়েছে ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই। আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫২ রানে ৬ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা, যা তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে ঘরের মাঠে সবচেয়ে কম রানে ৬ উইকেট হারানোর ঘটনা।
পরে আন্দিলে ফিকোয়াওয়ের চেষ্টায় দলগত রান তিন অঙ্কে গেলেও থেমে যেতে হয় ১১৬ রানে। ঘরের মাঠে যেকোনো দলের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন সংগ্রহ এটি। আগেরটি ছিল ২০১৮ সালে ভারতেরই বিপক্ষে ১১৮ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের সর্বনিম্ন রানে অলআউট করে দেওয়ার পথে মূল ভূমিকা দুই ভারতীয় পেসার অর্শদীপ ও আবেশের। এর আগে তিনটি ওয়ানডেতে কোনো উইকেট না পাওয়া অর্শদীপ এই ম্যাচে তুলে নেন ৩৭ রানে ৫ উইকেট। ৮ ওভার বল করে ৩ মেডেনসহ ২৭ রানে ৪ উইকেট আবেশের।
রান তাড়ায় নেমে চতুর্থ ওভারেই উইয়ান মাল্ডারের বলে রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে হারায় ভারত। তবে অভিষিক্ত সাই সুদর্শনকে নিয়ে পাল্টা প্রোটিয়া বোলারদের ওপর চাপ তৈরি করেন শ্রেয়াস আইয়ার।
দুজনের ৭৩ বলে ৮৮ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি থামে ফিকোয়াওয়ের বলে আইয়ারের আউটে। ফেরার আগে ৪৫ বলে ৫২ রান করে যান আইয়ার। সুদর্শন মাঠ ছাড়েন ৪৩ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থেকে।
১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে তিলক ভার্মা ভারতের জয়ের রান তুলে নিলে ২০০ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৫ বল আগে হেরেছিল তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৭.৩ ওভারে ১১৬ (ফিকোয়াও ৩৩, জর্জি ২৮, মার্করাম ১২; অর্শদীপ ৫/৩৭, আবেশ ৪/২৭)।
ভারত: ১৬.৪ ওভারে ১১৭/২ (সুদর্শন ৫৫*, আইয়ার ৫২; ফিকোয়াও ১/১৫, মাল্ডার ১/২৬)।
ফল: ভারত ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: অর্শদীপ সিং।