বাবর–রিজওয়ানে হতাশ ইমাদ ওয়াসিম
কেমন কেটেছে বাবর আজমের বিশ্বকাপ? এই প্রশ্নে নেতিবাচক উত্তর আসার সম্ভাবনাই বেশি। চারটি অর্ধশতকে ৪০ গড় আর ৮২.৯০ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৩২০। বাবর বিশ্বকাপে গিয়েছিলেন আইসিসির ১ নম্বর ওয়ানডে ব্যাটসম্যান হিসেবে। সে বিবেচনায় বাবরের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি।
পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম স্বাভাবিকভাবে বাবরের পারফরম্যান্সে হতাশ। এই অলরাউন্ডার হতাশ হয়েছেন উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটিংয়েও।
এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক রিজওয়ান। ৮ ইনিংসে একটি অর্ধশতক ও শতকে রান করেছেন ৩৯৫। গড় ৬৫.৮৩, স্ট্রাইক রেট ৯৫.৪১। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রান তাড়ায় রেকর্ড গড়ার সেই ম্যাচে অপরাজিত শতক করেছিলেন রিজওয়ান। এরপর বেশ কয়েকটি ইনিংসে ভালো শুরু পেলেও ইনিংস আর বড় করতে পারেননি। গতকালও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৬ রান করে আউট হয়েছেন রিজওয়ান। হয়তো সে কারণেই রিজওয়ানের প্রতি হতাশ ইমাদ।
পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডারের মতে, বাবরের কয়েকটি ম্যাচে একাই জেতানো উচিত ছিল। সেটা যেহেতু বাবর পারেননি, তাই রিজওয়ানের দায়িত্ব ছিল আরও বেশি। সেই বাড়তি দায়িত্বটা তিনি নিতে পারেননি, ‘আমার সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা ছিল বাবর আজমের কাছে। পুরো দেশেরই প্রত্যাশা ছিল। সমালোচনা করছি না। বাবরের কমপক্ষে দুটি ম্যাচে পাকিস্তানকে জেতানো উচিত ছিল। তবে ও একটা ম্যাচও জেতাতে পারেনি, যেটা আমাকে হতাশ করেছে। রিজওয়ানও আমাকে হতাশ করেছে। কারণ? ও একটা ম্যাচ জিতিয়েছে। ওর ওপর বাড়তি দায়িত্ব ছিল। যেহেতু বাবর পারফর্ম করতে পারেনি, তাই রিজওয়ানের দায়িত্ব নিয়ে দু-তিনটা ম্যাচ জেতানো উচিত ছিল। একটা ম্যাচ জেতাতে পেরেছে রিজওয়ান।’
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক শাহিন শাহ আফ্রিদি। এই পেসার নিয়েছেন ১৮ উইকেট। যদিও নতুন বলে তিনি ছিলেন ব্যর্থ। পাকিস্তানের স্পিনাররা তো গড়পড়তা পারফরম্যান্সও করতে পারেননি। তাই সব মিলিয়ে ইমাদ পাকিস্তানের সবার বোলিং নিয়েই হতাশা প্রকাশ করেছেন, ‘বোলিংয়ে সবাই আমাকে হতাশ করেছে। আমাদের বোলিং এমন ছিল যে দল ১৭০ করলেও একটা সুযোগ থাকত। এই প্রথমবার এমন হয়েছে যে পুরো বিশ্বকাপে আমরা কোনো দলের বিপক্ষে দাপট দেখাতে পারিনি।’
বর্তমান ক্রিকেটার হয়েও চলতি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সমালোচকদের একজন ইমাদ। পাকিস্তানের এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অধিনায়ক বাবরের সমালোচনা করেছেন তিনি। বাবরের অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথাও বলেছেন এই অলরাউন্ডার।