‘হয় ব্যাট ভাঙে, নয়তো পা ভাঙে’, বুমরাকে নিয়ে সূর্যকুমার
ওয়াংখেড়েতে কাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে বিধ্বস্ত করেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের দুই খেলোয়াড়। বল হাতে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। আর ব্যাট হাতে ১৭ বলে ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ফিফটি করেছেন সূর্যকুমার যাদব। কেমন হতো, ভারতীয় দলের এই দুই ক্রিকেটার যদি একে অপরের প্রতিপক্ষ হতেন? লড়াইটা জমত কেমন?
সূর্যকুমারকে বলে দেখুন, ‘না না’ বলে এড়িয়েই যাবেন। বুমরার মুখোমুখি হওয়াটাই নাকি সূর্যর কাছে আতঙ্কের। এই ব্যাট ভাঙল তো এই পা। ভয়ে নাকি নেটেও বুমরার মুখোমুখি হন না সূর্যকুমার।
ইয়র্কার, বাউন্সার, গতি আর স্লোয়ার—বৈচিত্র্যময় সব ডেলিভারিতে ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখার কাজটি বেশ ভালোভাবেই করতে পারেন বুমরা। আর এমনই এক বোলিং প্রদর্শনীতে বিরাট কোহলির দলকে ভুগিয়েছেন কাল। ম্যাচ শেষে বুমরার বোলিং সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে নিজের অকপট অভিজ্ঞতাই তুলে ধরেন সূর্যকুমার, ‘যশপ্রীতকে একই দলে পাওয়াটা সব সময়ই ভালো লাগার। আমি তো মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ম্যানেজমেন্টকে বলেছি, নেটে বুমরার মুখোমুখি হতে চাই না। দু-তিন বছর ধরে মুখোমুখি হইও না। (নেটে মুখোমুখি হলে) হয় সে ব্যাট ভাঙে, নয়তো পা ভাঙে।’
সূর্যকুমার গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে চোট পাওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন। পুনর্বাসনে সময় লাগায় আইপিএলের শুরুর তিন ম্যাচ খেলতেও পারেননি। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরলেও কোনো রান করার আগে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। তবে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১৯৬ রান তাড়ার পথে খেলেছেন নিজের পছন্দের সব শটই। ১৯ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে ফেরার পথে পেয়েছেন দর্শকদের অভিবাদন। ম্যাচ শেষে নিজের পুরোনো রূপে ফিরতে পারায় সন্তুষ্টিই ঝরেছে সূর্যকুমারের কণ্ঠে, ‘আমি শুধু মাঠে নেমে খেলতে চেয়েছি। অনুশীলনে যেসব শট খেলি, সেগুলোই। পয়েন্টের ওপর দিয়ে খেলা স্লাইস শটটা আমার খুব ভালো লাগে।’