মিরাজের কণ্ঠে পেস বিপ্লবের গান
বল বাঁক খাবে। নিচু হয়ে আসবে। কখনো কখনো একই জায়গা থেকে লাফিয়ে চমকে দেবে ব্যাটসম্যানদের। দেখা যাবে স্পিনারদের উল্লাসনৃত্য। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টেস্ট ক্রিকেট মানে তো এসবই।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই ভেন্যুতে একমাত্র টেস্ট–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের স্পিন আক্রমণের অন্যতম অস্ত্র মেহেদী হাসান মিরাজের আগমন মনে করিয়ে দিল সে দৃশ্যগুলোই।
কিন্তু এবার মিরপুর থেকে মিরাজের প্রত্যাশা ভিন্ন। আয়ারল্যান্ড সিরিজে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে যেমন পেস বোলাররা দাপট দেখিয়েছেন, সে ধারা না হয় টেস্টেও বজায় থাকুক। মিরাজ নিজে স্পিনার। নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারে বাংলাদেশকে একজন পেসার নিয়েও বোলিং আক্রমণ সাজাতে দেখেছেন তিনি। সে সময়টা এখন অতীত। বাংলাদেশ ক্রিকেটে যে পেস বিপ্লব চলছে, সেটার রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছে মিরাজকে।
তাই টেস্ট ক্রিকেটে দেড় শ উইকেট থেকে ৪ উইকেট দূরে থাকা এই অলরাউন্ডারের প্রত্যাশা, মিরপুরে স্পোর্টিং উইকেটই হবে। যেখানে পেসের দাপট থাকবে, ভালো করার সুযোগ থাকবে স্পিনারদেরও। আর চ্যালেঞ্জ সামলে নিতে পারলে বড় ইনিংস খেলার সুযোগ থাকবে ব্যাটসম্যানদেরও।
দলের সমন্বয়েও এর প্রভাব পড়তে পারে। আজ মিরাজের কথায় সে আভাস পাওয়া গেল। মিরপুরে খেলা ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে দুজন পেসার খেলিয়েছে বাংলাদেশ। এবার সে সংখ্যাটা বাড়ার সুযোগ দেখছেন মিরাজ, ‘উইকেট যেমন আছে, অবশ্যই পেসার বাড়ার সুযোগ থাকবে। টিম ম্যানেজমেন্ট এই সিদ্ধান্ত নেবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যেহেতু ঘরের মাঠে খেলা, আমরা স্পিনাররা এখানে ভালো করি। কিন্তু সুযোগ পেসারদেরও থাকবে। উইকেটটা আমরা দেখেছি। ভালো উইকেট করার চেষ্টা করা হয়েছে যেন সবাই ভালো করতে পারে। যেন আমরা সত্যিকারের টেস্ট ক্রিকেটটা খেলতে পারি। পেস বোলিং বলেন, স্পিন বোলিং বলেন—সে রকম দলই সাজানো হচ্ছে।’
ব্যাখ্যাও আছে মিরাজের কথায়, ‘টেস্টে তাদের (পেসারদের) ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পেসাররা যদি শুরুর দিকে ২-৩টা উইকেট এনে দিতে পারে, তাহলে প্রতিপক্ষ মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়ে। এখন আমাদের পেসাররাও অনেক ভালো, বিশ্ব মানের। তারা নিশ্চয়ই চেষ্টা করবে ভালো করার।’