বিপিএল: হৃদয়ের সঙ্গে এই জুটি লিটনের ‘জীবনে সেরা’
১৮৫ রানের ম্যাচ। রংপুর রাইডার্সের বিশাল লক্ষ্যটা টপকাতে হলে টপ অর্ডার থেকে বিশেষ কিছু দরকার ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের। সাধারণত বিপিএল প্লে–অফে কুমিল্লার হয়ে এমন ম্যাচে নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন বিদেশি তারকারা। আজ তা হয়নি।
দুই স্থানীয় ক্রিকেটারের দাপুটে ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা আরও একবার বিপিএল ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। রান তাড়ায় উদ্বোধনে নামা লিটন দাস ও তিনে নামা তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৮৯ বলে ১৪৩ রানের অবিশ্বাস্য জুটি। হৃদয় ৪৩ বলে ৬৪ রান করে আউট হলেও লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৭ বলে ৮৩ রান।
বেশি রান করায় ম্যাচসেরার পুরস্কারটা লিটনের হাতে উঠলেও রান তাড়ার কৃতিত্বটা তিনি হৃদয়কে দিয়েছেন। শুধু তা–ই নয়, আজকের জুটিকে ক্যারিয়ারের সেরা আখ্যাও দিয়েছেন লিটন। সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেছেন, ‘আমার জীবনে তো সেরা…এমন কখনো হয়নি যে এত ভালো পার্টনারসহ ব্যাটিং করেছি। যেভাবে সে ব্যাটিং করেছে, সেটা অসাধারণ। নন–স্ট্রাইক থেকে দেখতে ভালো লাগছিল। তার থেকে বড় জিনিস, একজন পার্টনারের কাজ হচ্ছে আরেক পার্টনারকে রিলিফ করে দেওয়া। আমার মনে হয় সে আমাকে পুরো রিলিফ করে দিয়েছে খেলাটা বড় করার জন্য।’
২০১৯ সালে নিজের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচেও স্মরণীয় জুটির সাক্ষী হয়েছেন লিটন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২১ রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ১৩৫ বলে ১৮৯ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন লিটন।
যদিও আজকের জুটির সঙ্গে বিশ্বকাপের সেই জুটি মেলাতে চান না লিটন। তাঁর যুক্তি, ‘দেখুন, সেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্লাস ৫০ ওভারের খেলা। এটা টি-টোয়েন্টি। অবশ্যই সেটা আমার জীবনের প্রথম বিশ্বকাপের ম্যাচ ছিল, সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে সেটাও অন্য রকম ছিল। কিন্তু এটাও আলাদা। সংস্করণটা আলাদা তো, এই জন্য আমি বললাম। টি-টোয়েন্টিতে পার্টনারসহ আমি এ রকম ইনিংস খেলিনি।’
দুজনই বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড় হওয়ায় জুটিটি লিটনকে আরও বেশি গর্বিত করছে, ‘সাধারণত আমরা টি-টোয়েন্টিতে বড় বড় রান তাড়া করি না। সেদিক থেকে অন্যতম সেরা বলতে পারেন। দুজনই বাংলাদেশি। দুজনই জাতীয় দলের খেলোয়াড়। আশা করি যেন আমরা এটা ধারাবাহিকভাবে করতে পারি।’
ব্যাটিং সঙ্গী হিসেবে তাওহিদ কেন ব্যতিক্রম, সে কথাও জানালেন লিটন, ‘আমার যেটা মনে হয়, সে ভালো বলে ছয় মারতে পারে। যেটা আমাদের দেশে খুব কম ব্যাটসম্যান পারে। স্বাভাবিক, যেকোনো বোলার যে সংস্করণেই হোক না কেন, উইকেটেই বল করবে। আর সে উইকেটের বলটাই খুব বেশি ভালো মারে। এটা সে নয়, যারা বিশ্ব ক্রিকেটে সফল ব্যাটসম্যান, সবাই স্টাম্পের বল ভালো খেলে। আমার মনে হয়, এটা তার সবচেয়ে ভালো প্লাস পয়েন্ট। দেখতে ছোট হলেও বড় বড় মারতে পারে। যেটুকু সামনে থেকে দেখি, আমার মনে হয় সে ক্রিকেট নিয়ে অনেক চিন্তা করে। অনেক হার্ড ওয়ার্কার। সাধারণত খুব কমই এত ফ্রিকুয়েন্টলি জিমে যায়। কিছু না কিছু কাজ করতেই থাকে। এটা তার ভালো একটা দিক।’