২৩ কোটি রুপির চাপ টের পাচ্ছেন কলকাতা অলরাউন্ডার

ভেঙ্কটেশ আইয়ারআইপিএল

ভেঙ্কটেশ আইয়ার কি দামের চাপ অনুভব করছেন? হ্যাঁ, বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার নিজেই চাপে থাকার কথা স্বীকার করছেন। ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রুপি খরচে এবার তাঁকে দলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই অলরাউন্ডারকে নিলামের জন্য না ছেড়ে ধরে রাখলেও এত টাকা খরচ করতে হতো না কলকাতার। স্বাভাবিকভাবেই পারফর্ম করার চাপ একটু বেশিই থাকবে আইয়ারের ওপর।

আইপিএল নিলামে দামি ক্রিকেটারদের নিয়ে আলোচনাটা একটু বেশিই হয়। ২০২৪ আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা মিচেল স্টার্কের (২৪.৭৫ কোটি) প্রতিটি ডেলিভারি পিছু খরচ ছিল ৯.৬৮ লাখ টাকার বেশি। প্রতিটি উইকেট পিছু খরচ ১.৪৫ কোটি টাকা। এটাকে চাপ বলুন বা আশীর্বাদ, মোটা দামের খেলোয়াড়দের জন্য প্রত্যাশার চাপ থাকেই। আইয়ারও এর ব্যতিক্রম নন।

টানা ১৩ মৌসুম পর ২০২৪ সালে কলকাতা তৃতীয় শিরোপা জেতে। যেখানে আইয়ারের বড় ভূমিকা ছিল। ব্যাট হাতে ১৫৮.৭৯ স্ট্রাইক রেটে ৩৭০ রান করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তবে মেগা নিলামে কৌশলের কারণে কলকাতা তাঁকে ছেড়ে দিয়ে পরিণামে ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রুপি খরচ করে!

দুই দিন আগে দলে যোগ দিয়েছেন আইয়ার
কলকাতা নাইট রাইডার্স

ইএসপিএনক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইয়ার চাপ নিয়ে বলেন, ‘অবশ্যই, যদি বলি যে দামের কোনো চাপ নেই, তাহলে সেটা মিথ্যা হবে। আমরা সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে বাস করি। এটা আসলে আমার ওপর নির্ভর করে, আমি কীভাবে চাপ নিচ্ছি। আমি এটাকে কলকাতার আমার প্রতি আস্থা হিসেবে দেখছি, যা আমাকে দলটির জন্য বিশেষ কিছু করতে অনুপ্রাণিত করবে। তবে এমন মূল্যের কারণে আমার খেলার ধরন বদলাবে না।’

আরও পড়ুন

দাম নিয়ে আলোচনা হয় খেলার মাঠে নামার আগ পর্যন্ত। মাঠে নামলে এসব আর বিবেচ্য থাকে না। আইয়ার সেটিই মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘যখন আইপিএল শুরু হবে, তখন আমি ২০ লাখ টাকার খেলোয়াড় নাকি ২০ কোটি টাকার, এটা কেউ মাথায় রাখবে না। তখন আমি কলকাতার একজন খেলোয়াড়। আমাকে মাঠে গিয়ে পারফর্ম করতেই হবে। যদি আমাকে ২০ লাখ টাকায়ও দলে নেওয়া হতো, তাহলেও আমাকে একইভাবে খেলতে হতো।’

আইয়ার যোগ করেন, ‘তবে মাঠের বাইরে কীভাবে চলাফেরা করব, কোথায় কাজ করব—এই বিষয়গুলো নিয়ে আমার সচেতন থাকা জরুরি। আমি আমার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে চাই, কিছু পরিবর্তন করতে চাই না। বাকি সব আমার প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করবে।’

আরও পড়ুন