অবসরের খবর উড়িয়ে দিলেন ফাওয়াদ
এক বছরের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডাক পাচ্ছেন না, বয়সও ৩৮ পূর্ণ হওয়ার কাছাকাছি। ‘ফাওয়াদ আলম অবসর নিয়েছেন’ খবরটা তাই সত্যি বলেই ধরে নিয়েছিলেন অনেকে।
তবে পাকিস্তানের এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জানালেন, এমন কোনো সিদ্ধান্ত তিনি নেননি। অনেক দিন ধরে জাতীয় দলের ভাবনায় না থাকলেও ফাওয়াদ এখনো পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। চান আরও দুই–তিন বছর নিজের চেষ্টা চালিয়ে যেতে।
গতকাল মঙ্গলবার ফাওয়াদের অবসরের খবরটি দিয়েছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ। প্রতিষ্ঠানটির যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটবিষয়ক প্রতিবেদকের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের হয়ে খেলা ছেড়ে দিয়েছেন ফাওয়াদ। ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান এখন যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু করবেন। এরই মধ্যে মাইনর লিগ ক্রিকেটের দল চিকাগো কিংসমেনে স্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে যোগও দিয়েছেন।
২০০৭ সালে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা ফাওয়াদ পাকিস্তানের হয়ে শেষ খেলেছেন ২০২২ সালের জুলাইয়ে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে। ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকায় এরপর পাকিস্তানের টেস্ট দলে আর ডাক পাননি। ২০১০ সালের পর টি–টোয়েন্টি আর ২০১৫ সালের পর ওয়ানডেতে সুযোগ পাননি। ক্যারিয়ারের শেষবেলায় টেস্ট থেকেও বাদ পড়ার পর ফাওয়াদের পাকিস্তানের ক্রিকেট অঙ্গন থেকে সরে যাওয়ার খবর খুব অস্বাভাবিকও নয়। বিশেষ করে সামি আসলাম, হাম্মাদ আজম, মোহাম্মদ আজমের মতো বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে থিতু হয়েছেন।
তবে আজ বুধবার জিও নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার খবর অস্বীকার করেছেন ফাওয়াদ, ‘এ (অবসর) বিষয়ে আমি চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি পাকিস্তানের ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করিনি, অবসরের সিদ্ধান্তও নিইনি। আমি এখনো ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সামনের এক–দুই বছরও খেলা চালিয়ে যাওয়া লক্ষ্য আমার, আমি চাই পেশাদার ক্যারিয়ারকে দীর্ঘায়িত করতে।’
গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন ফাওয়াদ, ৪ ইনিংসে তুলতে পারেন মাত্র ৩৩ রান। এরপর শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে একটিই ম্যাচ খেলেন।
সব মিলিয়ে ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১৯ টেস্ট খেলে ৩৮.৮৮ গড়ে ১০১১ রান তুলেছেন ফাওয়াদ। যার মধ্যে ৫টি সেঞ্চুরি ও ২টি ফিফটি আছে। ২৪ টি–টোয়েন্টির ছোট্ট ক্যারিয়ারে জিতেছেন ২০০৯ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।