আইসিসির মাসের সেরা সিকান্দার রাজা

বাংলাদেশের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে শতক পান সিকান্দার রাজাএএফপি

৯ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরি তাঁর ছয়টি। এর তিনটিই এসেছে গত আগস্টে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩৫* ও ১১৭* আর ভারতের বিপক্ষে ১১৫। ছয় ম্যাচের মধ্যে তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকানো সিকান্দার রাজাই আইসিসির আগস্ট মাসের সেরা ক্রিকেটার।

গত বছর পুরস্কারটি চালু হওয়ার পর রাজাই প্রথম জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটার হিসেবে মাস-সেরা হলেন। আগস্ট মাসের সেরা পুরুষ ক্রিকেটারের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজার সঙ্গে ছিলেন ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস এবং নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার।

সময়ের অন্যতম সেরা দুই অলরাউন্ডারকে টপকে প্রথমবারের মতো মাসের সেরা হওয়ায় যারপরনাই উচ্ছ্বসিত রাজা, ‘আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থ পুরস্কারে আমি অবিশ্বাস্য রকমের সম্মানিত বোধ করছি। অনেক বেশি আনন্দিত জিম্বাবুয়ের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কার পাওয়ায়।’

দারুণ ছন্দে আছে সিকান্দার রাজা
ছবি: এএফপি

জিম্বাবুয়ে দলের সতীর্থ ও কোচিং স্টাফ এবং দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘তিন-চার মাসে ধরে যেসব টেকনিক্যাল স্টাফ এবং খেলোয়াড় আমার সঙ্গে ড্রেসিংরুমে ছিলেন, তাঁদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আপনারা না থাকলে এই পুরস্কার অর্জন সম্ভব হতো না। আর সবশেষে ধন্যবাদ জানাতে চাই জিম্বাবুয়ের সব সমর্থককে, যাঁরা শুভকামনা জানিয়েছেন। আপনাদের প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।’

মেয়েদের মাসের সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তাহলিয়া ম্যাকগ্রা। গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কমনওয়েলথ গেমসে খেলা ম্যাকগ্রা ৫ ম্যাচে নেন ৮ উইকেট, যা আসরের যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। নারী ক্রিকেট ইভেন্টে স্বর্ণপদকও জেতে ম্যাকগ্রার দল। মাসের সেরার দৌড়ে ম্যাকগ্রার সঙ্গে ছিলেন স্বদেশি বেথ মুনি এবং ভারতের জেমিমার রদ্রিগেজ।

পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে প্রতি মাসের সেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকা আইসিসি তৈরি করলেও চূড়ান্ত বিজয়ী নির্ধারিত হয় ভোটের ভিত্তিতে। চূড়ান্ত ভোটের হিসাবের ৯০ শতাংশ নেওয়া হয় ভোটিং একাডেমি থেকে। বাকি ১০ শতাংশের হিসাব আসে সমর্থকদের অনলাইন ভোট থেকে।

ক্রিকেটখেলুড়ে দেশগুলোর সাবেক ক্রিকেটার, অভিজ্ঞ সাংবাদিক, ধারাভাষ্যকার ও আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা পাওয়া কিছু ক্রিকেটার আছেন আইসিসির ভোটিং একাডেমিতে। আছেন সহযোগী সদস্যদেশের দুজনও। খেলোয়াড় নির্বাচনে ভোটিং একাডেমির সদস্যদের ভোটের গুরুত্বই বেশি। ই-মেইলে ভোট দেন সদস্যরা।