- টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
- একাদশে তিন পরিবর্তন
- ওপেনিংয়ে মিরাজ
- আফগানিস্তান একাদশ
- টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। ম্যাচের ফল কী হবে?
- মিরাজ যখন ওপেনার
- ১৪ রানের ওভারে শুরু
- ওপেনিং যখন ধাঁধার নাম
- ৫ ওভারে ৩৩
- ওপেনিং জুটিতেই ৫০
- নাঈমের উইকেটে ভাঙল জুটি
- দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরলেন হৃদয়
- ইতিবাচক নাজমুল
- দ্য টার্মিনাল
- বাংলাদেশের ১০০
- মিরাজের ছক্কা, ৫০ রানের জুটি
- মিরাজের ফিফটি
- নাজমুলের চোট
- ১০০ রানের জুটি
- এবার নাজমুলের ফিফটি
- ফারুকির ওভারে ১৭
- বাংলাদেশের ২০০
- জুটিতে ১৫০
- ভুল বোঝাবুঝি
- রিভিউ
- মিরাজের সেঞ্চুরি
- উঠে গেলেন মিরাজ
- এবার নাজমুলের সেঞ্চুরি
- থামলেন নাজমুল
- রেকর্ড জুটি
- মুশফিকও রানআউট
- ছক্কায় শুরু শামীমের, বাংলাদেশের ৩০০
- খরুচে রশিদ, খরুচে মুজিব
- শামীমও রানআউট
- আফগানিস্তানকে ৩৩৫ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
- রেকর্ড গড়তে হবে আফগানিস্তানকে
- সুযোগ হারানোর পরের বলেই সফল শরীফুল
- লক্ষ্য সুপার ফোর
- ধীরগতির ব্যাটিং
- ৩৭/১, ১০ ওভারে
- আফগানিস্তানের ৫০
- গতি বদলানোর চেষ্টা আফগানিস্তান
- আক্রমণে মিরাজ
- জুটি ভাঙলেন তাসকিন
- ইব্রাহিমের ফিফটি
- আফগানিস্তানের ১০০
- মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচে থামলেন ইব্রাহিম
- খেলা বাকি?
- এবার হাশমতউল্লাহরও ফিফটি
- ব্যাটিংয়েও মিরাজ, বোলিংয়েও!
- হাশমতউল্লাহকে থামালেন শরীফুল
- শরীফুলের শিকার নাইব
- জানাত রানআউট
- ছক্কা মেরেও আউট মুজিব
- ৮৯ রানে জিতল বাংলাদেশ
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে লাহোরে বাঁচামরার ম্যাচ আজ বাংলাদেশের। সুপার ফোরের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই।
আগের ম্যাচের মতো আজও টসে জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আবারও প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
একাদশে তিন পরিবর্তন
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে হারের ম্যাচ থেকে একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে অভিষিক্ত ওপেনার তানজিদ হাসান, শেখ মেহেদী হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় এসেছেন আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন ও হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশ একাদশ
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম, নাজমুল হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, শামীম হোসেন, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
ওপেনিংয়ে মিরাজ
ম্যাচে একাদশের যে অফিশিয়াল তালিকা, তাতে ব্যাটিং অর্ডারে দুইয়ে রাখা হয়েছে মিরাজকে। লিটন দাস ও তামিম ইকবাল না থাকায় গত ম্যাচে নাঈমের সঙ্গে ওপেন করতে এসেছিলেন তানজিদ। তবে এক ম্যাচ পরই বাদ দেওয়া হয়েছে তানজিদকে। ব্যাটিং অর্ডারে তিনে নাজমুল, চারে সাকিবের পর ক্রমান্বয়ে রাখা হয়েছে হৃদয়, মুশফিক, শামীম ও আফিফকে। মানে আফিফ খেলবেন আট নম্বরে।
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), নজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, করিম জানাত, গুলবদিন নাইব, রশিদ খান, মুজিব উর রেহমান ও ফজলহক ফারুকি।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। ম্যাচের ফল কী হবে?
মিরাজ যখন ওপেনার
সে টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচেই হাতে চোট পেয়েছিলেন তামিম, ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে লিটন দাসের সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল মিরাজকে। লিটনের সঙ্গে ১২০ রানের ওপেনিং জুটির অংশ ছিলেন মিরাজ। নিজে ৫৯ বলে করেছিলেন ৩২ রান।
১৪ রানের ওভারে শুরু
ফজলহক ফারুকিকে কাভার ড্রাইভের পর কাট করতে গিয়ে আউটসাইড-এজে চার মেরেছেন নাঈম। এ ছাড়াও ফারুকি প্রথম ওভারে ডাউন দ্য লেগে ওয়াইড দিয়েছেন, যেটি হয়েছে চার। সব মিলিয়ে প্রথম ওভারেই বাংলাদেশ তুলেছে ১৪ রান। লাহোরে ইতিবাচক শুরু।
ওপেনিং যখন ধাঁধার নাম
অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গেই তামিম ইকবাল ঘোষণা দিয়েছিলেন, চোটের কারণে এশিয়া কাপে খেলবেন না তিনি। ফলে তাঁর জায়গায় একজন ওপেনার দরকার ছিল। সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তামিম অবসরে চলে যাওয়ার পর শেষ দুই ম্যাচে তাঁর জায়গায় খেলেছিলেন নাঈম। দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৯ রান করতে পারলেও নাঈম জায়গা ধরে রাখেন এশিয়া কাপে। সঙ্গে দলে ডাক পান অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা তানজিদ হাসান। লিটনের সঙ্গে এ দুজনের একজন খেলবেন, ধরা হয় এমন।
তবে অসুস্থতার কারণে দলের সঙ্গে যেতে পারেননি লিটন। তিনি এশিয়া কাপ থেকেই ছিটকে গেছেন, পরে বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এমন। লিটনের জায়গায় দলে ডেকে পাঠানো হয় এনামুলকে। যিনি এশিয়া কাপের আগে দলের যে প্রাথমিক ক্যাম্প হয়েছিল, সেখানেও ছিলেন না। এর আগের সিরিজেও বিবেচনায় থাকা জাকির হাসানকে সেখানে বিবেচনা করেননি নির্বাচকেরা। এনামুলকে ডেকে পাঠানোর পেছনে কারণ হিসেবে ‘বিকল্প উইকেটকিপার’ রাখার কারণের সঙ্গেও বলা হয়, ওপেনিংয়ে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ওপেন করতে আসেন দুই বাঁহাতি—নাঈম ও তানজিদ। শুধু তাই নয়, সে ম্যাচে প্রথম চার ব্যাটসম্যানই ছিলেন বাঁহাতি। তানজিদের অভিষেক হয়, অভিষেকেই শূন্যতে ফেরেন তিনি। ঠিক পরের ম্যাচেই বাদ পড়লেন তিনি।
তবে ওপেন করতে লিটনের বিকল্প হিসেবে ডেকে পাঠানো এনামুলকে নয়, আজ পাঠানো হলো মিরাজকে। অবশ্য তাতে ডানহাতি-বাঁহাতি ওপেনারের সমন্বয়টা থাকল। মিরাজকে ওপরে পাঠিয়ে দলে বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেনকেও আনা গেছে।
কিন্তু বাঁচামরার ম্যাচে পাঁচ বছর আগে সর্বশেষ ওপেন করা একজন কেন, সে প্রশ্ন থেকেই গেল। মিরাজ আজ সফল হতেই পারেন, নাঈমের সঙ্গে জুটিও বড় ও কার্যকরী হতে পারে তাঁর। তবে মিরাজের ওপেনিংয়ে আসার প্রক্রিয়াটা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে আজ কী ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, সেটিই জানার বিষয়।
৫ ওভারে ৩৩
ফারুকির দ্বিতীয় ওভারেও দুটি চার মেরেছেন নাঈম। অন্যদিকে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই এসেছেন স্পিনার—মুজিব উর রেহমান। মুজিবও প্রথম ওভারে ওয়াইডে ৫ রানসহ দেন ৮ রান।
পাল্লেকেলের উইকেট ছিল ধীরগতির। লাহোরের উইকেটে ব্যাটে তুলনামূলক ভালো বল আসছে, যদিও নিচু বাউন্স দেখা গেছে শুরুতেই।
মিরাজ এখনো ছন্দটা পাননি, প্রথম ১১ বলে করেছেন ২ রান। তবে ৫ ওভারে ৩৩ রান তুলে ভালো শুরু করেছে বাংলাদেশ।
ওপেনিং জুটিতেই ৫০
প্রথম ১৪ বলে ৫ রান করেছিলেন মিরাজ। এরপর ফারুকির এক ওভারে দুই চারে অনেকটাই এগিয়েছেন তিনি, এখন তাঁর ২৩ বলে ১৬ রান।
অষ্টম ওভারেই ওপেনিং জুটিতে ৫০ ছুঁয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। সাত ম্যাচ পর ওপেনিং জুটিতে ৫০ দেখল বাংলাদেশ।
নাঈমের উইকেটে ভাঙল জুটি
সাত ম্যাচ পর প্রথম পাওয়ারপ্লে বাংলাদেশ কাটাল উইকেটশূন্য… না, তা হলো না। দশম ওভারের শেষ বলে জুটি ভাঙলেন মুজিব। তাঁর গুগলিতে লাইন মিস করে গেছেন নাঈম। ভালো একটা ওপেনিং জুটি থামল ৬০ রানে, নাঈম থেমেছেন ৩২ বলে ২৮ রান করে। বেশ ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারলেন না এ বাঁহাতি। ৬ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এটিই এখন নাঈমের সর্বোচ্চ স্কোর, আগের সর্বোচ্চ ছিল আগের ম্যাচেই করা ১৬ রান।
মিরাজের সঙ্গে তিনে এসেছেন তাওহিদ হৃদয়। সাম্প্রতিক সময়ে তিনে নিয়মিত নাজমুল হোসেনের জায়গাও বদলে ফেলা হলো আজ।
দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরলেন হৃদয়
মাত্র দুই বলের ব্যবধান!
আগের ওভারের শেষ বলে দুর্দান্ত রং-আনে নাঈমকে তুলে নিয়েছিলেন মুজিব। ১১তম ওভারে গুলবদিন নাঈবের তৃতীয় বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তাওহিদ হৃদয় (০)। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটি নিয়েছেন হাশমতউল্লাহ শহীদি।
বাংলাদেশ ১১ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৩। ভালো শুরুর পর দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে চাপে তারা।
ইতিবাচক নাজমুল
গুলবদিনকে মিড অনের ওপর দিয়ে চারের পর দারুণ একটি কাভার ড্রাইভে ঠিক পরের বলে আরেকটি চার নাজমুলের। পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে যা লড়াই একাই করেছিলেন নাজমুল। আজ চারে এসেছেন, ভালো শুরুর পর দ্রুত ২ উইকেট হারিয়েছে যখন দল। আজও দলকে টানতে পারবেন তিনি?
বাংলাদেশ ১৩ ওভারে ৭৮/২।
দ্য টার্মিনাল
এ ম্যাচ কাভার করতে লাহোরে থাকার কথা ছিল আমাদের প্রতিনিধি তারেক মাহমুদের। তবে বিমানের সূচি জটিলতায় পড়ে এখনো লাহোরে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। দুবাই এয়ারপোর্টে তাঁর ‘ছুটি’ কাটানোর গল্প পড়ুন—
বাংলাদেশের ১০০
অষ্টম ওভারে ৫০ ছুঁয়েছিল বাংলাদেশ। ২০তম ওভারে ১০০। আক্রমণে এর আগেই এসেছেন রশিদ খান, তারকা লেগ স্পিনারের প্রথম ২ ওভারে এসেছে ৬ রান, যদিও প্রথম ওভারে মেডেন করেছিলেন তিনি। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর পুনর্গঠনের চেষ্টা নাজমুল ও মিরাজের, সেটি ২০তম ওভার শেষে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানে।
গুলবদিনের উল্লাস
মিরাজের ছক্কা, ৫০ রানের জুটি
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে কোনো ছক্কা ছিল না বাংলাদেশ ইনিংসে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২২তম ওভারে প্রথম ছক্কার দেখা পাওয়া গেল। মোহাম্মদ নবিকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে লং অনের ওপর দিয়ে সেটি মেরেছেন মিরাজ। ওই শটেই ৪০-এ চলে গেছেন তিনি। নাজমুলের সঙ্গে তাঁর জুটিতেও উঠে গেছে ৫০ রান। বাংলাদেশকে ভালো একটা ভিত এনে দিয়েছে এ জুটি।
২২ ওভারে ১১৬/২।
মিরাজের ফিফটি
নবির বলে লেগ সাইডে ঘুরিয়ে খেলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে ফিফটি পূর্ণ করলেন মিরাজ। ফিফটিতে যেতে তাঁর লেগেছে ৬৫ বল। শুরুটা ধীরগতির করলেও অনেকটি পুষিয়ে এনেছেন সেটি।
গত ডিসেম্বরে ক্যারিয়ারের একমাত্র সেঞ্চুরিটি করেছিলেন মিরাজ, মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে ৮ নম্বরে নেমে। ক্যারিয়ারের আগের দুটি ফিফটিও এসেছিল আট নম্বরেই। এর মধ্যে একটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে, গত বছর খেলেছিলেন অপরাজিত ৮১ রানের ইনিংস।
এর আগে টি-টোয়েন্টিতে ‘মেকশিফট’ ওপেনার হিসেবে খেলানোর চেষ্টা করা হয়েছিল তাঁকে, যদিও সফল হননি। আজ ওয়ানডেতে সে ভূমিকায় নেমে খেলছেন গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।
২৪ ওভারে ১২৯/২।
জানাতের ওভারে দুই চার
মাঝে ৩ ওভারে কোনো বাউন্ডারি আসেনি। এরপর করিম জানাতের এক ওভারেই এল দুটি চার। প্রথমটি কাভার ড্রাইভে মেরেছেন মিরাজ, পরেরটি নাজমুল। দুজনের জুটি এগোচ্ছে বেশ ভালোভাবে। ২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৪৯ রান, মিরাজ-নাজমুলের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানে।
দর্শক
লাহোরে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান সমর্থকেরা। পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের ক্রিকেটের শুরুর ইতিহাসে ভালো সংযোগ থাকলেও এটিই পাকিস্তানের মাটিতে আফগানদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
নাজমুলের চোট
২৯তম ওভারের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিতে দৌড়াচ্ছিলেন নাজমুল। রান সম্পন্ন করার আগেই ফুটে উঠল অস্বস্তি। পায়ের কোনো অংশে টান পড়েছে। এরপর ফিজিওর দ্বারস্থ হয়েছেন ৪৪ রানে অপরাজিত বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের জন্য সুখবর হচ্ছে, নাজমুল আবার খেলার জন্য প্রস্তুত।
১০০ রানের জুটি
নাজমুল যখন মিরাজের সঙ্গে যোগ দেন, দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল বাংলাদেশ। এ দুজনের জুটি সেখান থেকে দলকে নিয়ে গেলেন বেশ ভালো একটা অবস্থানে। ১০০ রানের জুটি হয়ে গেল তাঁদের। ৩০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৬৩ রান বাংলাদেশের। প্রচলিত কথা অনুযায়ী, ওয়ানডেতে ৩০ ওভারশেষের স্কোর ইনিংসশেষে দ্বিগুণ করা উচিত। তেমন কিছু করতে পারবে বাংলাদেশ? নাজমুল-মিরাজ কিন্তু ভিতটা গড়ে দিয়েছেন বেশ ভালোভাবেই।
এবার নাজমুলের ফিফটি
লেগ সাইডের বাইরে ‘উপহার’ পেলেন ফজলহক ফারুকির কাছ থেকে। দুহাত ভরে সেটি গ্রহণ করেছেন নাজমুল। লেংথ বলে ব্যাট চালিয়েছেন, যেটি স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে হয়েছে ছক্কা। ওই শটেই টানা দ্বিতীয় ফিফটি হয়ে গেল নাজমুলের। আগের ম্যাচে খেলেছিলেন ৮৯ রানের ইনিংস। আজ ফিফটিতে যেতে নাজমুলের লেগেছে ৫৭ বল।
ফারুকির ওভারে ১৭
চার, লেগবাইয়ে চার, ছক্কা—ফারুকির ওপর চড়াও হয়েছেন নাজমুল। ফারুকির করা ৩৩তম ওভারে এসেছে ১৭ রান, এখন পর্যন্ত ইনিংসে যেটি সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশের ২০০
ফারুকির পর মুজিবের ওভারে এসেছে ৬ রান। ৩৫তম ওভারেই ২০০ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ, এ ওভারশেষে স্কোর ২ উইকেটে ২০২ রান। বাংলাদেশের নজর স্বাভাবিকভাবেই ৩০০ পেরিয়ে আরও দূরে থাকার কথা এখন।
জুটিতে ১৫০
মিরাজ ও নাজমুলের জুটি ছাড়িয়ে গেছে ১৫০ রান। তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটিটি ২০২ রানের। গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষেই চট্টগ্রামে সেটি গড়েছিলেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম।
ভুল বোঝাবুঝি
ডাবলস নেবেন কি না, তা ন্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল নাজমুল ও মিরাজের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে দুজনের ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়েছিলেন মিরাজ। এবার অবশ্য বিপদ ঘটেনি।
১১ ওভার বাকি থাকতে ২২৮ রান বাংলাদেশের। মিরাজ অপরাজিত ৯৬ রানে, নাজমুলের রান ৮৬।
রিভিউ
জানাতের একটু নিচু হওয়া বলে পুল করতে গিয়ে মিস করে যান নাজমুল। আফগানিস্তানের এলবিডব্লিউর আবেদনে অবশ্য সাড়া দেননি আম্পায়ার। ইনিংসে প্রথম রিভিউটি নিয়েছে আফগানিস্তান, তবে সফল হয়নি সেটি। উইকেটে হয়েছে আম্পায়ার্স কল, নাজমুলের মতো অক্ষত আফগানিস্তানের রিভিউও।
মিরাজের সেঞ্চুরি
গুলবদিন নাইবের বলে পুল শটটা ঠিকঠাক খেলতে পারেননি। সিঙ্গেলটা নেবেন কি না, সে ব্যাপারে নাজমুলের একটু সংশয় থাকলেও মিরাজের ছিল না। মিড অন থেকে পাওয়া সিঙ্গেলেই দারুণ এক সেঞ্চুরি হয়ে গেল মিরাজের। যেটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়।
মিরাজের প্রথম সেঞ্চুরিটি এসেছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আটে নেমে সেঞ্চুরি করেছিলেন মিরাজ। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসেই যেটি অন্যতম সেরা ইনিংস।
আজ ওপেনিংয়ে এলেন মিরাজ, ক্যারিয়ারে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো। নেমেই পেয়ে গেলেন সেঞ্চুরি। শুরুতে সময় নিয়েছেন, তবে এরপর সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন দারুণভাবে। সেঞ্চুরিতে যেতে তাঁর লেগেছে ১১৫ বল।
৪১ ওভারে ২৩৯/২।
উঠে গেলেন মিরাজ
মুজিবকে ইনসাইড-আউটে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে দারুণ একটি ছক্কা মেরেছিলেন মিরাজ। তবে এরপরই গ্লাভস খুলে ফেলেন। আঙুলে ক্র্যাম্প হয়েছে, দেখে মনে হয়েছে সেটি। ফিজিওর সঙ্গে এরপর উঠেই গেছেন মিরাজ। ম্যাচের যা পরিস্থিতি, তাতে আবারও ব্যাটিংয়ের নামার সম্ভাবনা কম তাঁর। মিরাজ উঠে গেলেন ১১৯ বলে ১১২ রান করে, যাতে ৭টি চারের সঙ্গে ছিল ৩টি ছক্কা।
এবার নাজমুলের সেঞ্চুরি
মেহেদী হাসান মিরাজ—সেঞ্চুরি। নাজমুল হোসেন—সেঞ্চুরি।
রশিদ খান ফিরেছিলেন ৪২তম ওভারে। সে ওভারে নাজমুল মারলেন দুটি চার। পরেরটি অবশ্য ডিপ মিডউইকেটে থাকা ফিল্ডারের সৌজন্যে। ওই ওভারেই ৯৯ রানে যান নাজমুল। পরের ওভারে মুজিবের বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন নাজমুলও, মাইলফলকে যেতে তাঁর লেগেছে মাত্র ১০১ বল।
কদিন আগেই বাবা হয়েছেন নাজমুল। সেঞ্চুরির উদ্যাপনেও মিশে থাকল সেটি।
সর্বশেষ ম্যাচে খেলেছিলেন ৮৯ রানের ইনিংস। দলের হয়ে লড়াইটা একাই করেছিলেন নাজমুল। আজ চারে এসেছেন, তবে নাজমুল রান পেলেন আবারও।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নাজমুলের এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
থামলেন নাজমুল
আগের ম্যাচে মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হতে গিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন। এবার রানআউট হয়েই থামতে হলো নাজমুলকে। রিভার্স সুইপ করেই দৌড় শুরু করেছিলেন, তবে ফিল্ডারের কাছে সরাসরি যাওয়াতে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে গিয়ে পিছলে পড়ে যান, ক্রিজে আর ফেরা হয়নি তাঁর। ১০৫ বলে ১০৪ রানের দারুণ ইনিংস থেমেছে সেখানেই।
মুশফিকের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব। ৫ ওভার বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ২৮২ রান বাংলাদেশের।
রেকর্ড জুটি
মিরাজ ও নাজমুলের জুটিতে উঠেছে ১৯৪ রান। এশিয়া কেপা যেটি বাংলাদেশের যে কোনো উইকেটেই সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল ইমরুল কায়েস ও জুনাইদ সিদ্দিকের ১৬০, ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১০ সালে।
মুশফিকও রানআউট
পরপর দুই বলে সাকিবের শট সরাসরি গিয়েছিল মিড অফে থাকা আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির কাছে। এবার সাকিবের সিঙ্গেলের ডাকে সাড়া দিতে গিয়েছিলেন মুশফিক। তবে সেখান থেকে রান হতো না, সাকিব থেমে গেলেও ক্রিজে আর ফিরতে পারেননি মুশফিক। নাজমুলের পর তিনিও হলেন রানআউট। ৪৭তম ওভারে আরেকটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
ছক্কায় শুরু শামীমের, বাংলাদেশের ৩০০
ওয়ানডেতে মুখোমুখি প্রথম বল। শামীম হোসেন সেটিতেই মেরেছেন ছক্কা। গুলবদিনকে ঘুরিয়ে ডিপ ফাইন লেগের ওপর দিয়ে ছক্কাটি মারেন শামীম। ওই ছক্কাতেই ৩০০ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
খরুচে রশিদ, খরুচে মুজিব
রশিদ খান ১০-১-৬৬-০।
মুজিব উর রেহমান ১০-০-৬২-১।
আফগানিস্তানের দুই তারকা স্পিনারই আজ দিয়েছেন ৬-এর ওপর করে রান। রশিদের শেষ ওভারে এসেছে ১০ রান। ২ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩১২।
শামীমও রানআউট
নাজমুল, মুশফিকের পর এবার রানআউট শামীম। ৬ বলে ১১ রান তাঁর। ৬ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশের স্কোর ৩২৪ রান।
আফগানিস্তানকে ৩৩৫ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
ইনিংসের শেষ ওভার করেছেন করিম জানাত। তাতে এসেছে ১০ রান। লাহোরে বাংলাদেশ তুলেছে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান। এশিয়া কাপে এটিই এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ এটি।
পাল্লেকেলেতে আগের ম্যাচের তুলনায় পুরো বিপরীত চিত্র বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। এবার টসে জিতে বেশ বড় সংগ্রহ গড়ল তারা। তাতে মূল অবদান মিরাজ ও নাজমুলের জোড়া সেঞ্চুরির।
নাঈম ও মিরাজের নতুন ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ ভালো শুরু পেয়েছিল। কিন্তু দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর সে সময় চাপেই পড়ে তারা। মিরাজ ও নাজমুল এরপর সে চাপ কমিয়েছেন, পুনর্গঠনের কাজটি করেছেন দারুণভাবে, বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন বড় স্কোরের ভিত।
সে ভিতে দাঁড়িয়ে মুশফিকের ১৫ বলে ২৫, সাকিবের ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ক্যামিওতে বাংলাদেশ পেয়েছে সেই বড় স্কোর।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে এত রানের সংগ্রহ নিয়ে হারের ঘটনা আছে মাত্র একটি। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৪৯ রানের লক্ষ্য স্বাগতিক পাকিস্তান পেরিয়ে গিয়েছিল ৬ বল ও ৫ উইকেট বাকি থাকতে। বাংলাদেশের চাওয়া, সেটির পুনরাবৃত্তি না হওয়া।
মিরাজ-নাজমুলরা ব্যাটিংয়ে নিজেদের কাজটি করে রেখেছেন। এবার বোলারদের পালা বাংলাদেশকে এশিয়া কাপে টিকে থাকার দৌড়ে রাখার। অবশ্য উইকেট বেশ ব্যাটিং-সহায়ক, বোলারদের কাজটি তাই একেবারে সহজ হবে না।
রেকর্ড গড়তে হবে আফগানিস্তানকে
ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটি ২৭৪ রানের, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর ২৮৮ রান, তবে সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লক্ষ্য ছিল ৩১২ রান। এর আগে ৬ বার ৩০০ বা এর বেশি রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করেছে আফগানিস্তান।
সুযোগ হারানোর পরের বলেই সফল শরীফুল
ঠিক আগের বলেই রিভিউ নিলে রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেটটি পেতে পারত বাংলাদেশ। তবে তাতে কিছু যায় আসেনি। শরীফুলের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে আবারও শট খেলতে গিয়ে মিস করে গেছেন গুরবাজ। এবার আম্পায়ার আউট দিয়েছেন, গুরবাজ অবশ্য রিভিউ নেন। ইমপ্যাক্ট ৩ মিটারের বেশি দূরত্বে আম্পায়ার্স কল ছিল, উইকেটেও তাই। কিন্তু সেটি গুরবাজের পক্ষে আসেনি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফিরতে হয়েছে আফগান ওপেনারকে, বোর্ডে মাত্র ১ রান।
লক্ষ্য সুপার ফোর
সুপার ফোরে যাওয়ার লড়াইয়ে থাকতে গেলে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। তবে আফগানিস্তানকে যদি ২৭৯ রানের মধ্যে আটকাতে পারে বাংলাদেশ, তাহলে সুপার ফোরে যেতে আর পরের ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। সরাসরি পরের রাউন্ডে জায়গা করে নেবে তারা।
শুরুতেই গুরবাজকে হারানোর পর ইব্রাহিম জাদরান তাসকিনের পরপর দুই বলে মেরেছেন চার। ৩ ওভারে আফগানিস্তান তুলেছে ১০ রান।
ধীরগতির ব্যাটিং
রহমত শাহ খেলেছিলেন বোলার হাসান মাহমুদের দিকে, সেটি নিজেই ফিল্ডিং করে রহমত বরাবরই থ্রো করেন হাসান। রহমত সেটি মানতে পারেননি, আম্পায়ারকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানাতে দেখা গেছে। আপাতত মাঠে উত্তেজনা ওই ঘটনাতেই। এর বাইরে আফগানিস্তানের ব্যাটিং এখনো বেশ ধীরগতির।
৮ ওভার শেষে আফগানিস্তান তুলেছে ২৩ রান, এ সময়ে এসেছে চারটি বাউন্ডারি। ৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৫০ রান। গুরবাজের উইকেটের পর থেকে আফগানিস্তান যেন আরও বেশি করে খোলসের ভেতরে।
৩৭/১, ১০ ওভারে
প্রথম পাওয়ারপ্লেতে আফগানিস্তান তুলল ৩৭ রান। এর মধ্যে শেষ ২ ওভারেই এসেছে ১৪ রান। প্রথম স্পিনার হিসেবে এসেছেন সাকিব আল হাসান। অবশ্য চোটের কারণে মিরাজ মাঠে নেই, মনে হচ্ছে এমন। মাঠে দুজন বদলি ফিল্ডার এনামুল হক ও তানজিদ হাসান আছেন।
আফগানিস্তানের ৫০
১৩তম ওভারে ৫০ পূর্ণ হলো আফগানিস্তানের। শেষ ৫ ওভারে তুলনামূলক দ্রুতগতিতে এগিয়েছে আফগানরা, উঠেছে ২৬ রান। উইকেট ব্যাটিং সহায়ক, ফ্লাডলাইটের নিচে সেটি আরও বেশি হয়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে আফগানিস্তান লড়াইয়ে থাকবে ভালোভাবেই, যদিও ইতিহাস বিপক্ষে তাদের। গুরবাজের উইকেটের পর রহমত শাহ ও ইব্রাহিম জাদরানের জুটিতেই উঠেছে ৫০ রান। রহমত অবশ্য খোলসের মধ্যে, প্রথম ৩৯ বলে করেছেন মাত্র ১৭ রান।
গতি বদলানোর চেষ্টা আফগানিস্তান
শেষ ৩ ওভারে এসেছিল চারটি চার, এর মধ্যে সাকিবের টানা দুই বলে দুটি মারেন রহমত। ৩ ওভারে ২৩ রান ওঠার পর তাসকিন করলেন আঁটসাঁট বোলিং, দিয়েছেন ৫ রান। ১৬ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ১ উইকেটে ৭২ রান।
আক্রমণে মিরাজ
ব্যাটিংয়ে বাঁ হাতের আঙুলে চোট নিয়ে উঠে যাওয়া মিরাজ এতক্ষণ বোলিংয়ে আসেননি। এমনকি আফিফ হোসেনকেও এনেছেন সাকিব। ১৭তম ওভারে প্রথমবারের মতো এসেছেন মিরাজ। অন্যদিকে ইব্রাহিম ও রহমতের জুটি বড় হচ্ছে। গুরবাজকে শুরুতে হারানোর চাপ তারা সামাল দিয়েছেন বটে, তবে রান রেট এখনো পক্ষে নেই তাদের। ১৭ ওভারে স্কোর ৭৭ রান, ৩৩ ওভারে জিততে গেলে তাদের তুলতে হবে ৭.৮৪ হারে রান।
জুটি ভাঙলেন তাসকিন
জুটিটা বড় হচ্ছিল, সেটি ভাঙলেন তাসকিন আহমেদ। সিম-আপ ডেলিভারিটা ঢুকছিল ভেতরের দিকে, বড় শটের চেষ্টা করেছিলেন রহমত। তবে বলের নাগাল পাননি। ৫৭ বলে ৩৩ রান করে বোল্ড হয়েছেন তিনি, ভেঙেছে ৭৮ রানের জুটি।
ইব্রাহিমের ফিফটি
এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিক তিনিই। বাংলাদেশের জন্যও হুমকি। সেই ইব্রাহিম জাদরান ফিফটি করলেন। মাত্র ৫২ বলেই মাইলফলকে গেছেন ইব্রাহিম। আফগানিস্তান চাইবে, ইব্রাহিম টিকে থাকুন। বাংলাদেশের প্রত্যাশা স্বাভাবিকভাবেই তাঁর উইকেট। রহমত ফেরার পর ইব্রাহিমকে সঙ্গ দিতে নেমেছেন হাশমতউল্লাহ শহীদি। ২১ ওভারশেষে ২ উইকেটে ৯০ রান আফগানিস্তানের।
আফগানিস্তানের ১০০
২৪তম ওভার, আফগানিস্তানের স্কোর ১০০। ইব্রাহিম রান তাড়ায় আফগানদের বড় আশা এখনো, তবে অন্য প্রান্তে আরেক ব্যাটসম্যান আবারও তাঁর গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ প্রথম ১৭ বলে করেছেন মাত্র ৬ রান। এখানে সেখানে বাউন্ডারি এলেও রান রেট বাংলাদেশ বোলারদের বড় একটা ঢাল হিসেবেই কাজ করছে। ২৬ ওভারে আফগানিস্তানের প্রয়োজন ২৩৪ রান, মানে ওভারপ্রতি তুলতে হবে ৯ রান।
মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচে থামলেন ইব্রাহিম
যেমন দারুণ বল হাসান মাহমুদের, মুশফিকের ক্যাচটি তার চেয়েও বেশি দুর্দান্ত! সিম-আপ ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়েছিলেন ইব্রাহিম, হন এজড। তবে স্লিপে ছিলেন না কেউ। মুশফিক সেটিই কাভার করলেন, ডানদিকে ঝাঁপিয়ে নিলেন দুর্দান্ত এক ক্যাচ। দারুণ ব্যাটিং করছিলেন ইব্রাহিম, তাঁর উইকেটটি তাই ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মুশফিকের অসাধারণ ক্যাচে সেটিই পেল বাংলাদেশ। ইব্রাহিম থেমেছেন ৭৪ বলে ৭৫ রান করে।
খেলা বাকি?
বাংলাদেশ ১৭৭/২।
আফগানিস্তান ১৫৯/৩।
৩২ ওভার শেষে দুই দলের স্কোর। আফগানিস্তান যে অনেক পিছিয়ে তা বলা যাবে না। হাশমতউল্লাও শুরুর ধীরগতি পুষিয়ে এনেছেন অনেকটাই। প্রয়োজনীয় রানরেটের চাপ আফগানদের ওপর আছে, তবে বাংলাদেশ নির্ভার থাকতে পারছে না এখনোই।
এবার হাশমতউল্লাহরও ফিফটি
প্রথম ১৭ বলে হাশমতউল্লাহ করেছিলেন মাত্র ৬ রান। আফগান অধিনায়ক ফিফটি করলেন ৫৪ বলে। অবশ্য কাজ এখনো বাকি তাঁদের। শেষ ৮৬ বলে প্রয়োজন ১৪৩ রান।
ব্যাটিংয়েও মিরাজ, বোলিংয়েও!
মিরাজ তাঁর বোলিংয়ে লুপ দিচ্ছিলেন, এবার ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন একটু। তাতেই প্রলুব্ধ হয়ে স্লগ করতে গিয়েছিলেন নজিবুল্লাহ জাদরান, কিন্তু লাইনে যেতে না পেরে হয়েছেন বোল্ড। ম্যাচের প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
হাশমতউল্লাহকে থামালেন শরীফুল
চাপ বাড়ল আফগানিস্তানের, আরও উজ্জীবিত বাংলাদেশ। উপলক্ষ—শরীফুল ইসলামের উইকেট। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আউটসাইড-এজড হয়ে ডিপ থার্ডম্যানে ধড়া পড়েছেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি, যিনি আশা জোগাচ্ছিলেন আফগানিস্তানকে। তবে অধিনায়ক ফেরার পর কাজটি আরও কঠিন হয়ে পড়ল তাদের।
শরীফুলের শিকার নাইব
প্রথমে ৮৯ মিটারের ছক্কা, এরপর চার—শরীফুলের ওপর চড়াও হয়েছিলেন নাইব। তবে শেষ হাসি শরীফুলেরই। আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন নাইব। ১০ ওভার বাকি থাকতে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান।
জানাত রানআউট
আফগানিস্তানের চাওয়ার তালিকায় যেটি সবার নিচের দিকে থাকার কথা, সেই রানআউটই হলো। করিম জানাত থেমেছেন বদলি ফিল্ডার এনামুল হকের সরাসরি থ্রোয়ে। রশিদ খান মিড অনে খেলেছিলেন, তাঁর সিঙ্গেল নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ ছিল না। জানাত অবশ্য বেরিয়ে গিয়েছিলেন অনেকটাই, ফেরার আগেই এনামুল ভেঙেছেন স্টাম্প। অষ্টম উইকেট নেই আফগানিস্তানের, জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ।
ছক্কা মেরেও আউট মুজিব
তাসকিনের বলে ছক্কা মেরেছিলেন মুজিব, অথচ উদ্যাপন শুরু করে দিলেন বাংলাদেশিরা। কারণ একটিই—মুজিব হয়েছেন হিট উইকেট! ডিপ মিডউইকেট দিয়ে মারা ছক্কার শটে ক্রিজের বেশ পেছনে ছিলেন মুজিব, এতটাই যে শট খেলার পর তাঁর পা আঘাত করে স্টাম্পে। মুজিবের হিট উইকেটের পর জয় থেকে মাত্র ১ উইকেট দূরে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ক্যামিও খেলার চেষ্টা করছেন রশিদ, তবে সেটি এখন যথেষ্ট না হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই।
৮৯ রানে জিতল বাংলাদেশ
রশিদ টপ-এজড তাসকিনের বলে, ক্যাচ গেল সাকিবের হাতে। তাতেই শেষ হলো আফগানিস্তানের ইনিংস। ৮৯ রানের বড় জয় বাংলাদেশের।
ব্যাটিং অর্ডারে চমকজাগানিয়া পরিবর্তন, একাদশে মাত্র পাঁচ জন স্বীকৃত বোলার নিয়েই দাপটটা দেখাল সাকিব আল হাসানের দল। ৮৯ রানের বড় জয়ের সঙ্গে নেট রানরেটেও বাংলাদেশ দিয়েছে বড় এক লাফ।
কার্যত তাই সুপার ফোরে উঠে গেছে বাংলাদেশ। কারণ আফগানিস্তান রান রেটে এখনোই পিছিয়ে, শ্রীলঙ্কাকে ছোট ব্যবধানে হারালেও সেটি বাংলাদেশকে টপকে যেতে যথেষ্ট হবে না। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা যদি বড় ব্যবধানে হারে, তাহলে তাদের রানরেট নেমে আসবে বাংলাদেশের নিচে।
পাল্লেকেলেতে উইকেটের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাটিংটা এক নাজমুল ছাড়া কেউই করতে পারেননি বাংলাদেশের, লাহোরের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে আজ ঘটেছে সেটির বিপরীত। টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর ওপেনারদের ভালো শুরু, টপ অর্ডারের পর মিডল অর্ডারের একজনের সেঞ্চুরি—বড় স্কোরের রেসিপি মেনেই এগিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। সেটি আবার ঘটেছে একাধিক ব্যাটসম্যানের নিয়মিত পজিশন অদলবদলের পর!
মিরাজ ও নাজমুলের সেঞ্চুরিই গড়ে দিয়েছে জয়ের ভিত। বোলাররা করেছেন বাকি কাজ।