ইমরুল, নুরুলের শতকে খুলনার বড় জয়
আগের দিন শতক করেছেন খুলনার ইমরুল কায়েস, শতকের খুব কাছে ছিলেন নুরুল হাসানও। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ২ নম্বর মাঠে তৃতীয় দিনের খেলায় সেটিও হয়ে গেল। ১৮৪ বল খেলে ১২৫ রানের ইনিংস খেলেছেন নুরুল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর দশম শতক।
দুজনের জোড়া শতকে খুলনা প্রথম ইনিংসে করেছে ৪৭২ রান। এরপর ১৮৫ রানে রাজশাহীর প্রথম ইনিংস শেষ করে দিয়ে আজ দ্বিতীয় ইনিংসেও তাদের ১৭৮ রানে অলআউট করেছে খুলনা।
পেসার আল আমিন হোসেন নিয়েছেন ৬ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর অষ্টম ৫ উইকেট। তাতে এক দিন হাতে রেখেই ইনিংস ও ১০৯ রানে রাজশাহীকে হারিয়েছে খুলনা।
ফল হয়েছে রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে রংপুর ও ঢাকার ম্যাচেও। রংপুরকে প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানে অলআউট করার পর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ঢাকা করে ৩২১ রান। ১৬৩ রানে পিছিয়ে থাকা রংপুর দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৭৮ রানে।
ঢাকার বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম নিয়েছেন ৬ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নাজমুলের নবম ৫ উইকেটে ঢাকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ রান। কোনো উইকেট না হারিয়েই সেটা টপকে যায় ঢাকা। ঢাকার ১০ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া সালাউদ্দিন শাকিল।
কক্সবাজারে ঢাকা মহানগর ও সিলেটের ম্যাচ এগোচ্ছে ড্রয়ের পথে। সাদমান ইসলাম ও নাঈম ইসলামের জোড়া দ্বিশতকে ঢাকা মহানগর ৬ উইকেটে ৬০১ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে তৃতীয় দিন শেষে সিলেটের রান ৬ উইকেট ৩৪৮, সিলেটের হয়ে শতক করেছেন শামসুর রহমান (১০১)। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের ২২তম শতক এটি। এখনো সিলেট পিছিয়ে আছে ২৫৩ রানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বরিশাল পিছিয়ে আছে ৩৩৪ রানে। চট্টগ্রামের ২৯৮ রানের জবাবে বরিশাল প্রথম ইনিংসে করে ২০০ রান। এরপর আজ চট্টগ্রাম তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ৯ উইকেটে ২৫৬ রানে। মুমিনুল হক প্রথম ইনিংসে ৮১ রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও করেছেন ৮৪।
তাতে চতুর্থ ইনিংসে বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫৫ রান। আজ শেষ বেলায় ব্যাটিংয়ে নামা বরিশাল ২১ রান তুলতে ২ উইকেট হারিয়েছে। জিততে হলে আগামীকাল শেষ দিনের খেলায় তাদের দরকার ৩৩৪ রান, হাতে আছে ৮ উইকেট।