আরও কিছু রান, আরেকটু ভালো বোলিংয়ের আক্ষেপ নাজমুলের
আর কিছু রান। একজন সেট ব্যাটসম্যানের আরেকটু লম্বা ইনিংস। শেষের দিকে আরেকটু ভালো বোলিং হলেই হতো। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে শেষে এ আক্ষেপ মেশানো কথাগুলোই বলতে হচ্ছে। বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে কান পাতলেও তা–ই শোনা যাচ্ছে।
দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা নাজমুল হোসেনের কথা শুনে তা-ই মনে হলো, ‘আমরা হয়তো ২০ থেকে ৩০ রান কম করেছি।’ তবে রানের অভাবটা অনুভূত হচ্ছিল না বাংলাদেশের বোলিংয়ের সৌজন্যে, ‘যেভাবে আমরা বোলিং শুরু করি... ১০০ রানে ৫ উইকেট। আমার মনে হয়, আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম।’
তবে সেটি যে যথেষ্ট ছিল না, তা ম্যাচের ফলেই স্পষ্ট, ‘বলা যায় যে, হ্যাঁ ২০-২৫ রান কম করার পর আমরা ভালো কামব্যাক করেছিলাম। তবে শেষটা আরও ভালো হলে হয়তো আমরা ম্যাচটা জিততে পারতাম।’ প্রত্যাশিত রান না পাওয়ার কারণটাও ব্যাখ্যা করলেন নাজমুল, ‘মিডল ওভারে তিনটা ব্যাক টু ব্যাক উইকেট দিয়েছি। ওই জায়গা থেকে আমরা কামব্যাক করতে পারিনি।’
মাঝের ওভারে উইকেট পতনের সময়টায় হাল ধরতে পারেননি নাজমুল নিজেই। থিতু হয়ে ইনিংস আউট হওয়ার সে আক্ষেপটা ছিল ম্যাচ শেষেও। কারণ, প্রতিপক্ষ দলের আরেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ডেভিড ম্যালান সে কাজটাই করেছেন, যা করতে ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল।
ম্যাচ শেষে নাজমুলই বললেন, ‘আজকে হয়তো ক্যারি করতে পারেনি, কিন্তু অতীতে আমাদের ব্যাটাররা ইনিংস বড় করে ম্যাচ জিতিয়েছে। এমন না যে আমাদের ব্যাটাররা ইনিংস লম্বা করতে পারে না। অতীতে যদি দেখেন অবশ্যই অনেকের ভালো ভালো ইনিংস আছে, যারা আমাদের ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছে। আজকে হয়নি, আশা করব সামনে যেই এমন ইনিংস খেলবে, সেটা করবে বড় ইনিংস খেলার।’
ম্যালানের প্রশংসা শোনা গেছে নাজমুলের কথায়ও, ‘অবশ্যই স্কিলটা আছেই (ম্যালানের)। এটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গে পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করেছে, কাকে বড় শট খেলবে, কাকে খেলবে না। মিরাজের ক্ষেত্রে ও ঝুঁকি নেয়নি আবার তাইজুলের ক্ষেত্রে দুই একটা ওভার সুযোগ নিয়েছে। প্রতিভা তো আছেই, আমার মনে হয় সঙ্গে সে অভিজ্ঞতাটাও দেখিয়েছে।’