এই গিল থামবেন কোথায়
প্রথম ৯ রান তুলতে খেলেছেন ১৯ বল, ফিফটিতে পৌঁছাতে পরের ৪১ রান তুলেছেন ১৮ বলে। কাল ইন্দোরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শুবমান গিল ফিফটিতেই থামেননি, ৯২তম বলে ছুঁয়েছেন তিন অঙ্কের মাইলফলকও। যা ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানের ২০২৩ সালে পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ এই সেঞ্চুরির পথে ওয়ানডে ক্রিকেটের বেশ কিছু রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন গিল। কোথাও বাবর আজমকে ছাড়িয়েছেন, কোথাওবা হাশিম আমলা। কোথাও আবার ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন।
২৪ বছর বয়সী গিল বিশ্বকাপ শুরুর আগে যে ফর্মে ছুটছেন, তাতে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রান আর দ্রুততম দুই হাজার রানের বিশ্বরেকর্ডও হয়ে যেতে পারে তাঁর। আজ যেসব রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন আর খুব দ্রুত যেসব রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলতে পারেন, সেসব নিয়ে এই আয়োজন—
২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে চারটি সেঞ্চুরি করেছেন শুবমান গিল। এক পঞ্জিকাবর্ষে এত সেঞ্চুরি আর কারওই নেই। ভারতীয়দের মধ্যে দেশের মাটিতে এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনটি করে সেঞ্চুরি করে সেঞ্চুরি আছে শচীন টেন্ডুলকার (১৯৯৬), বিরাট কোহলি (২০১৭ ও ২০১৮) এবং রোহিত শর্মার (২০১৭)।
ভারতের হয়ে দ্রুততম ৬ ওয়ানডে সেঞ্চুরি
ওয়ানডেতে দ্রুততম ২ হাজার রানের রেকর্ড এখন হাশিম আমলার। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান ২০০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন ৪০তম ইনিংসে। গিল এখন আমলার চেয়ে ৮৩ রান পিছিয়ে, হাতে আছে ৫ ইনিংস।
২০২৩ পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি
২৫ বছরের আগে এক পঞ্জিকাবর্ষে পাঁচ বা বেশি সেঞ্চুরি
এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ১৮৯৪ রান তোলার রেকর্ডটা শচীন টেন্ডুলকারের, যা ভারতীয় কিংবদন্তি ১৯৯৮ সালে ৩৩ ইনিংসে তুলেছিলেন। দুই যুগ ধরে টিকে থাকা টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভাঙতে গিলের দরকার ৬৬৫ রান; অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা না ঘটলে বিশ্বকাপের লিগ পর্বসহ এ বছর আরও ১০টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাবেন গিল।
২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৫০ + ইনিংস শুবমান গিলের—১০টি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাবর আজমের ৫০ + ইনিংস ৮টি।