আগামীকাল ব্যাটিং শুরু করতে পারেন তামিম
চোটের সঙ্গে তামিম ইকবালের লড়াইয়ের সর্বশেষ পর্বটা কি তাহলে শেষ হতে চলেছে? লন্ডনে চিকিৎসা শেষে ৩১ জুলাই দেশে ফেরার কয়েকদিন পরই পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। যার অংশ হিসেবে গত ৯ আগস্ট থেকে জিম ও ফিটনেসের কাজ শুরু করেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তামিমের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার যে সূচি তৈরি করা হয়েছে, সে অনুযায়ী আগামীকাল তাঁর ব্যাটিং শুরু করার কথা।
বিসিবি চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরীকে তেমনই বলেন, ‘একটা পরিকল্পনা আছে, সে অনুযায়ী সেখানে আগামীকাল তামিমের ব্যাটিং আছে। এখন তার ব্যাটিং করাটা নির্ভর করবে সে কেমন অনুভব করে, সেটার ওপর।’ মেরুদণ্ডের নিচের অংশে সমস্যার কারণে লন্ডনে চিকিৎসক ইনজেকশন দেওয়ার পর একটা সংশয় ছিল ইনজেকশন কতটা কাজ করবে। তবে তামিম এখন ভালোই আছেন বলে জানিয়েছেন দেবাশিষ, ‘ভালো আছে। সে জন্যই তো ব্যাটিংয়ে যাবে।’
তামিমের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার অফিশিয়াল কারণও এই পিঠের চোট। চেষ্টা করলে এশিয়া কাপ খেলতে পারতেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু চোট নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি। সব ঠিক থাকলে তামিম খেলায় ফিরবেন আগামী মাসের শেষে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে। তামিম সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন গত ৫ জুলাই, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে।
এশিয়া কাপের দলে না থাকলেও অনুশীলনের মধ্যে থাকবেন তামিম। ১৭ সদস্যের এশিয়া কাপের দলে রাখা হয়নি মাহমুদউল্লাহকেও। তবে তামিম-মাহমুদউল্লাহদের জন্য বিশেষ অনুশীলনের ব্যবস্থা থাকছে। এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সঙ্গে তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন, তানজিম হাসান, সাইফ হাসান ও জাকির হাসান থাকবেন বিসিবির এই বিশেষ অনুশীলন ক্যাম্পে।
২০ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই ক্যাম্প। মূল দলের কেউ চোটে পড়লে বিকল্প তৈরি রাখতেই প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের এই পরিকল্পনা।
তামিমের চোট নিয়ে আলোচনায় আড়ালে চলে গেছে, তবে চোটের সঙ্গে লড়ছেন পেসার ইবাদত হোসেনও। গত মাসের শুরুর দিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিংয়ের সময় বাঁ পায়ে চোট পেয়েছিলেন ইবাদত। যে কারণে এর পরপরই আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেও তাঁকে রাখা হয়নি। এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের দলে অবশ্য আছেন, তবে এখনো পুরোদমে বোলিংই শুরু করতে পারেননি।
সে জন্য হয়তো আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। দেবাশিষ চৌধুরী তো দিন–তারিখও বলে দিলেন, ‘দুই দিন পর পর ইবাদতের বোলিং লোড বাড়ানো হচ্ছে। একটু একটু করে উন্নতি করছে সে। এটাও তাঁর পুনর্বাসন পরিকল্পনার অংশ। এভাবে ২২ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর দেখা যাক, সে কোন অবস্থায় থাকে।’
চোট বা চোটের পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় তো কোনো না কোনো ক্রিকেটার সব সময়ই থাকেন। বাংলাদেশ দলে অবশ্য অসুস্থতাও হানা দিয়েছে। সহকারী কোচ নিক পোথাস এবং স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথের জ্বর। যে কারণে জাতীয় দলে অনুশীলনে সর্বশেষ দুদিন অনুপস্থিতও ছিলেন তাঁরা।