নামলেন, উঠে গেলেন, ফিরেও এলেন—ইনিংস শুরুর আগেই অদ্ভুত দোলাচলে চাহাল
গতকালের আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন ভারতের যুজবেন্দ্র চাহাল। গতকাল যখন নামলেন, তখন তাঁকে ঘিরে অদ্ভুত এক পরিস্থিতিই তৈরি হলো।
ব্যাটিং করতে নামছিলেন। তবে ক্রিজে পৌঁছানোর আগে ঘুরে কিছু একটা শুনে ঘুরে দাঁড়ালেন। এরপর আবার হাঁটা দিলেন ডাগআউটের দিকে। বাউন্ডারির বাইরে চলেই গিয়েছিলেন, তবে এবার আম্পায়ারের ডাকে আবার ফিরে আসতে হলো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এমন অদ্ভুত দোলাচলে পড়তে হয়েছে চাহালকে।
১৫০ রানের লক্ষ্যে রোমারিও শেফার্ডের করা ২০তম ওভারের প্রথম বলে কুলদিপ যাদবকে হারায় ভারত, যেটি ছিল সফরকারীদের অষ্টম উইকেট। ব্যাটিং করতে বাকি ছিলেন চাহাল ও অভিষিক্ত মুকেশ কুমার। ক্রিজে থাকা অর্শদীপ সিং তখন ৪ বলে ৯ রানে অপরাজিত, ভারতকে আশা জোগাচ্ছেন। তাঁকে সঙ্গ দিতে এলেন চাহাল। তবে এরপরই তৈরি হলো ধোঁয়াশা।
ক্রিজে আসার পথেই অর্শদীপের কোনো একটা ইশারা পেয়ে ঘুরে দাঁড়ান তখন পর্যন্ত ৭৬ ম্যাচে ৫ রান করা চাহাল। দেখে মনে হয়েছে, ডাগআউট থেকে সংকেত পেয়েছেন তিনি। এরপরই হাঁটা শুরু করেন আবার। চাহাল নয়, ভারত আসলে নামাতে চেয়েছিল কালই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেক হওয়া মুকেশকে। মুকেশ যে ব্যাটিং–সামর্থ্যে চাহালের চেয়ে খুব একটা এগিয়ে, তা বলা যাবে না। কালকের আগে ৩৩ ম্যাচে তাঁর রান ছিল ১১। দুজনই টেল-এন্ডার বলে বেশির ভাগ সময়ই টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং করতে হয় না চাহাল-মুকেশকে।
চাহাল বাউন্ডারি পার হয়ে উঠে যাবেন, মুকেশ নামতে উদ্যত—এ সময়ই আবার ফিরে আসতে হয় চাহালকে। এবার তাঁকে ডেকে পাঠান আম্পায়াররা। নিয়ম অনুযায়ীই সেটি করেছেন তাঁরা। ক্রিকেটের আইনের ২৫.২ নম্বর ধারা বলে, যখনই মাঠে কোনো ব্যাটসম্যান প্রথম পা রাখবেন, তাঁর ইনিংস শুরু হয়ে গেছে বলে বিবেচনা করা হবে। এ কারণে উঠে যেতে গিয়েও চাহালকে ফিরে আসতে হয়।
এত সব কাণ্ডের পরও অবশ্য ম্যাচের ফলটা নিজেদের পক্ষে আনতে পারেনি ভারত। প্রথম বলে কুলদ্বীপ আউট হওয়ার পর ৫ বলে তাদের দরকার ছিল ১০ রান। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে অর্শদীপকে সিঙ্গেল ফিরিয়ে দেন চাহাল, পরের বলে অর্শদীপ নেন ২ রান। তবে পঞ্চম বলে গিয়ে রানআউট হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে।
ক্রিজে এরপর চাহালের সঙ্গে যোগ দেন মুকেশ, যাঁর সঙ্গেই ব্যাটিংয়ে নামা নিয়ে চাহালের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। অভিষিক্ত মুকেশের নায়ক হতে গেলে মারতে হতো ছয়, তবে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি তিনি। ৪ রানে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়ে ভারত।