- টস
- তাসকিনের জায়গায় ইবাদত
- রেহানের অভিষেক, ইংল্যান্ড দলে তিন পরিবর্তন
- রেহানের ইতিহাস
- আবার লিটনের ‘ডাক’
- কারেনের আরেকটি ওভার, এবার নেই তামিম
- ব্যর্থ
- এবার অন্তত 'তেমন' কিছু হচ্ছে না
- আবার পুনর্গঠনের চাপ
- লিটনের দুঃস্বপ্নের সিরিজ
- ফিফটি জুটির পর এগোচ্ছেন মুশফিক-নাজমুল
- নাজমুলের ফিফটি, মুশফিকও কাছাকাছি
- রান আউটে ভাঙল ৯৮ রানের জুটি
- ফিফটি মুশফিকেরও
- রশিদের গুগলিতে বোল্ড মুশফিক
- বাঁচলেন সাকিব
- মাহমুদউল্লাহও বোল্ড
- সাকিবের ফিফটি
- আফিফকে ফেরালেন ওকস
- শেষে এসে রেহানের উইকেট
- আরেকটি উইকেট
- জীবন পেলেন সাকিব
- থামলেন সাকিব
- ২৪৬ রানে থামল বাংলাদেশ
- দর্শক কই?
- শুরুতেই রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
- ঝোড়ো শুরু ইংল্যান্ডের
- দুই প্রান্তেই পরিবর্তন
- ফিফটি জুটির পর সল্টকে ফেরালেন সাকিব
- ইবাদতের শিকার ম্যালান, সাকিবের রয়
- পাঁচে কারেন
- ইবাদতের আনন্দ
- চাপ
- ইংল্যান্ডের ১০০
- ব্রেকথ্রু দিলেন মিরাজ
- সাকিবের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ফিরলেন ভিন্স
- মঈনের স্টাম্প ভাঙলেন ইবাদত
- বাটলার এলবিডব্লু তাইজুল
- অদল-বদল
- রইল বাকি দুই!
- তাইজুল ২/৫২
- সাকিবের ৩০০, ইংল্যান্ডের নবম
- ক্যাচ ফেললেন তামিম
- শেষ করলেন সাকিব
- ৫০ রানে জিতল বাংলাদেশ
টস
আবার টসে জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এবার ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি
তাসকিনের জায়গায় ইবাদত
বাংলাদেশ দলে একটিই পরিবর্তন—তাসকিন আহমেদের জায়গায় এসেছেন ইবাদত হোসেন। জায়গা ধরে রেখেছেন তাই মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, ইবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম।
রেহানের অভিষেক, ইংল্যান্ড দলে তিন পরিবর্তন
অভিষেক হচ্ছে রেহান আহমেদের। এ লেগ স্পিনারসহ দলে ফিরেছেন জফরা আর্চার ও ক্রিস ওকস। তাঁদের জায়গা করে দিয়েছেন মার্ক উড, সাকিব মেহমুদ ও উইল জ্যাকস। জ্যাকসের বাংলাদেশ সফরই শেষ হয়ে গেছে চোটের কারণে।
ইংল্যান্ড একাদশ
জস বাটলার (অধিনায়ক), মঈন আলি, স্যাম কারেন, ডেভিড ম্যালান, আদিল রশিদ, জেসন রয়, ফিল সল্ট, জেমস ভিন্স, ক্রিস ওকস, রেহান আহমেদ ও জফরা আর্চার।
রেহানের ইতিহাস
১৮ বছর ২০৫ দিনে ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে রেহান আহমেদের। ইংল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ ওয়ানডে ক্রিকেটার হয়ে যাচ্ছেন তিনি। রেহান ভাঙছেন বেন হোলিওকের রেকর্ড। ১৯৯৭ সালে লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেকের সময় হোলিওকের বয়স ছিল ১৯ বছর ১৯৫ দিন।
গত ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটারের রেকর্ডও গড়েছিলেন রেহান। টেস্ট অভিষেকের সময় তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর ১২৬ দিন।
আবার লিটনের ‘ডাক’
আগের ম্যাচে আউট হয়েছিলেন প্রথম বলেই। এবার ৩ বল খেলে লিটন দাস ফিরলেন শূন্যতেই। ক্যারিয়ারে প্রথমবার টানা দুই ইনিংসে কোনো রান না করেই আউট হলেন লিটন।
তিন ম্যাচ সিরিজটা লিটনের গেল ভুলে যাওয়ার মতোই—৭, ০ ও ০।
স্যাম কারেনের অফ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে এবার ফিরেছেন লিটন। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়েছে প্রথম ওভারেই।
কারেনের আরেকটি ওভার, এবার নেই তামিম
৪, ৫, ৪—কারেনের ওভারটা শুরু হয়েছিল এভাবে। নাজমুল হোসেন ও তামিম ইকবাল মেরেছিলেন দুই চার, মাঝে ওভারথ্রোয়ে এসেছিল ৫ রান।
তবে সে ওভারের শেষে তামিম ইকবালকে ফেরালেন কারেন। প্যাডের ওপর থেকে ফ্লিক করতে গিয়ে লিডিং-এজড হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, পয়েন্টে সহজ ক্যাচ গেছে জেমস ভিন্সের কাছে।
শুরুতেই আরেকবার এলোমেলো বাংলাদেশের ব্যাটিং, ৩ ওভারের মধ্যেই নেই দুই ওপেনার। দুজনই কারেনের শিকার।
বাংলাদেশ ৩ ওভারে ১৭/২।
ব্যর্থ
এবার অন্তত 'তেমন' কিছু হচ্ছে না
সর্বশেষ যখন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলেছিল বাংলাদেশ, বোলারদের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল বড় একটা ঝড়। ঈশান কিষানের ডাবল সেঞ্চুরিতে ভারত তুলেছিল ৪০৯ রান।
সেটিও ছিল সিরিজের শেষ ম্যাচ, অবশ্য সে ম্যাচে বাংলাদেশ এসেছিল সিরিজ জিতেই। এবার সামনে ইংল্যান্ড, বড় স্কোরের জন্য সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ‘ধারাবাহিক’ দল যারা।
অবশ্য বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে ওই ম্যাচের উইকেটের চেয়ে এবারেরটি ভিন্ন। পেসার ও স্পিনার—দুই ধরনের বোলারই এখানে ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়বেন বলেও মনে করেন সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার।
আজ টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতেই চাপে তারা।
ধবলধোলাই এড়ানোর কাজটা এ মুহূর্তে খুব একটা সহজ মনে হচ্ছে না বাংলাদেশের জন্য যদিও...
আদিল রশিদের কাছ থেকে ওয়ানডে ক্যাপ পেয়েছেন রেহান
আবার পুনর্গঠনের চাপ
১৭ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আবার ইনিংস পুনর্গঠনের ভারে পিষ্ট বাংলাদেশ। এবার দায়িত্বটা মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেনের হাতে। ৭ ওভার ব্যাটিং করে দুজন তুলেছেন ১৭ রান। ২৫ বলে ১৩ রানে অপরাজিত মুশফিক, নাজমুল ব্যাটিং করছেন ২৬ বলে ৮ রান নিয়ে। ১০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৩৪ রান।
ওকসের জায়গায় এসেছিলেন আর্চার, এরপ্র প্রান্ত বদল করে এসেছেন ওকস।
লিটনের দুঃস্বপ্নের সিরিজ
৭ রানের পর টানা দুটি ‘ডাক’—লিটন দাসের সিরিজটি গেল ভুলে যাওয়ার মতোই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এর চেয়ে বাজে সিরিজ আর একটিই ছিল এ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের। ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে ৩ ইনিংস ব্যাটিং করে লিটন করেছিলেন ৩ রান, যদিও সেবার শূন্যতে ফেরেননি একবারও।
ফিফটি জুটির পর এগোচ্ছেন মুশফিক-নাজমুল
বল থেমে থেমে আসছে, বাউন্সও নিচু। এমন উইকেটে এখন পর্যন্ত পুনর্গঠনের কাজটি ভালোভাবেই করছেন মুশফিক ও নাজমুল। দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটি পেরিয়েছে ৫০ রান। এক প্রান্তে রেহান আহমেদ ও অন্য প্রান্তে মঈন আলীকে দিয়ে করাচ্ছেন বাটলার।
১৯ ওভারে বাংলাদেশ ৮৪/২।
নাজমুলের ফিফটি, মুশফিকও কাছাকাছি
১৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারানোর পর নাজমুল–মুশফিক জুটিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সিরিজে দ্বিতীয় ফিফটি করেছেন নাজমুল।
রান আউটে ভাঙল ৯৮ রানের জুটি
জুটিটা জমেছিল বেশ। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেওয়ার পরের ওভারেই আউট হয়ে গেছেন নাজমুল। রান আউট হওয়ার আগে ৭১ বলে ৫৩ রান করে যান তিনি।
লেগ সাইডে খেলেছিলেন নাজমুল, মুশফিকের ডাকে সাড়া দিতে দেরি করে ফেলেন। শেষ মুহূর্তে ডাইভ দিয়েও নিজেকে বাঁচাতে পারেননি, বাটলারের থ্রো তার আগেই পৌঁছে গেছে বোলার রেহানের কাছে।
ফিফটি মুশফিকেরও
নাজমুল রান আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার দুই বল পর ফিফটি পেয়েছেন মুশফিক। ওয়ানডেতে এটি তাঁর ৪৩তম ফিফটি। সাত ইনিংস পর ওয়ানডেতে ফিফটির দেখা পেলেন তিনি।
বাংলাদেশ দলের রান ২৬ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৯।
ফটোগ্রাফারস ভিউ
বাংলাদেশের ১৫০
নাজমুলের রানআউটের পর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান।
দুজনের জুটিতে এখন পর্যন্ত উঠেছে ৩৫ রান। ৩১তম ওভারে ১৫০ পূর্ণ করে ফেলেছে বাংলাদেশ। ক্রিজে থিতু মুশফিকুর রহিম।
টপলি ছাড়া...
রশিদের গুগলিতে বোল্ড মুশফিক
আগের বলটি অফ স্টাম্প লাইনে পড়ে ঘুরেছিল বেশ, লেগ স্পিনিং ডেলিভারিটি জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে নাগাল পাননি মুশফিক। পরের বলটি পড়ল কাছাকাছি লাইনে, এবার ঢুকল ভেতরের দিকে। সুইপের চেষ্টায় ব্যর্থ মুশফিক, আদিল রশিদের গুগলিতে হলেন বোল্ড। থিতু হয়েছিলেন, সেঞ্চুরিটাও নাগালের মধ্যে ছিল। তবে মুশফিককে থামতে হলো ৯৩ বলে ৭০ রান করেই।
বাঁচলেন সাকিব
রশিদের ফুললেংথের বলে সোজা খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ, যেটি গিয়ে আঘাত করে বোলার প্রান্তের স্টাম্প। রশিদের বুট ছুঁয়ে স্টাম্পে গেলে আউটও হতে পারতেন সাকিব, বোলার আবেদনও করেছিলেন। তবে টেলিভিশন আম্পায়ার মাসুদুর রহমান আল্ট্রা-এজের সহায়তায় দেখেছেন, স্টাম্পে আঘাত করের আগে রশিদের বুটে স্পর্শ করেনি বল।
মাহমুদউল্লাহও বোল্ড
এ ওভারেই ডাউন দা গ্রাউন্ডে এসে ছক্কা মেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ, তবে ফিরলেন এর পরপরই। বড় লেগ স্পিনিং ডেলিভারির পর সোজা করেছিলেন রশিদ, মাহমুদউল্লাহ মিস করে গেছেন সেটি। মুশফিকের পর মাহমুদউল্লাহকেও বোল্ড করলেন রশিদ, ৯ বলে ৮ রান করেই থামলেন মাহমুদউল্লাহ। হুট করেই আবারও চাপে বাংলাদেশ।
৩৫ ওভারে ১৬৫/৫।
সাকিবের ফিফটি
১০ রানের ব্যবধানে ফিরেছিলেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। আফিফ হোসেনকে নিয়ে এরপর এগোচ্ছেন সাকিব আল হাসান। প্রথম ৩৪ বলে ২৫ রান করা সাকিব ফিফটি পূর্ণ করলেন ৫৫ বলেই। মার্ক উডের বলে লেগ সাইডে সিঙ্গেল নিয়ে মাইলফলকে গেছেন এ বাঁহাতি, ওয়ানডে ক্যারিয়ারে যেটি তাঁর ৫২তম ফিফটি। আগের ম্যাচেও ফিফটি পেয়েছিলেন, তবে থেমেছিলেন ৫৮ রানেই। আজ সাকিব যাবেন কতদূর?
আফিফের সঙ্গে সাকিবের জুটি এখন অবিচ্ছিন্ন ৪৬ রানে, ৪৩.২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২১১/৫।
আফিফকে ফেরালেন ওকস
ক্রিস ওকসের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন, তবে কাভারে মঈন আলীর হাতে ধরা পড়লেন আফিফ। সাকিবের সঙ্গে তাঁর জুটি থামলো ৪৯ রানেই। ৬ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ২১২।
শেষে এসে রেহানের উইকেট
৯.৫ ওভার, ৬২ রান, ০ উইকেট।
শেষ বলের আগে রেহান আহমেদের ফিগার ছিল এমন। ১০ ওভার শেষে সেটিই হয়ে গেল ১০-০-৬২-১।
তাঁর শেষ বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বেশ বড়সড় গুগলিতে ধরা পড়েছেন মিরাজ। আগের বলটিও গুগলি ছিল, তবে ব্যাটের ফেস ওপেন করে ভালো একটা শটে চার পেয়েছিলেন মিরাজ।
আরেকটি উইকেট
আর্চারের ধীরগতির বাউন্সারে খাড়া ওপরে তুললেন তাইজুল। নিজেই ক্যাচ নিলেন আর্চার। সাকিবকে সঙ্গ দেওয়ার মতোও কেউ থাকছেন না!
বাকি ৩ ওভার ও ২ উইকেট, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩০।
জীবন পেলেন সাকিব
৬৬ রানে জীবন পেলেন সাকিব। কারেনকে টেনে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলেছিলেন, ছুটে এসে হাতে নিলেও রাখতে পারেননি জেমস ভিন্স, উলটো সেটি হয়েছে চার। ৪৮তম ওভারের প্রথম বৈধ ডেলিভারিতেও চার মেরেছিলেন সাকিব। ২ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪২ রান।
থামলেন সাকিব
টেনে মেরেছিলেন, লং অনের ফিল্ডার ছিলেন বেশ ওয়াইডে। সেখান থেকেই ছুটে এসে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন জেসন রয়, জফরা আর্চারের বলে সাকিবকে থামতে হলো ৭৫ রানেই। ৭১ বলের ইনিংসে সাকিব মেরেছেন ৭টি চার।
২৪৬ রানে থামল বাংলাদেশ
আম্পায়ার আউট দেননি, তবে জফরা আর্চার আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। রিভিউ কাজেও লেগে গেল ইংল্যান্ডের। শেষ ব্যাটসম্যান মোস্তাফিজুর রহমান এলবিডব্লু হওয়ার পর ২৪৬ রানেই থামল বাংলাদেশের ইনিংস, ইনিংসে বাকি ছিল ৭ বল।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর দুই ওপেনার দ্রুত ফেরার পর পুনর্গঠনের কাজ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন। শুরুতে বেশ ধীরগতির হলেও ফিফটির দেখা পান দুজনই। তবে নাজমুলের রানআউটের পর আবার চাপে পড়ে বাংলাদেশ । সাকিবকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেওয়ার পর ফেরেন মুশফিকও, এরপর মাহমুদউল্লাহও বেশিক্ষণ টেকেননি।
ভালো একটা সংগ্রহের দিকে এগোতে গিয়ে হঠাৎ করেই হোঁচট।
এরপর থেকে বলতে গেলে বাংলাদেশকে একা টেনেছেন সাকিব। ছয়টি জুটির অংশ ছিলেন, তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৯ রান উঠেছে আফিফের সঙ্গে তাঁর জুটিতে। সাকিব ফিরেছেন ৪৯তম ওভারে।
চট্টগ্রামের চিরায়ত উইকেটের চেয়ে একটু মন্থর, নিচু বাউন্সের উইকেট। তবে পরের দিকে তুলনামূলক সোজা মনে হয়েছে ব্যাটিং। এমন উইকেটেও ২৪৬ রানের সংগ্রহ নিয়ে ইংল্যান্ডকে আটকাতে বেশ কঠিন কাজই করতে হবে বাংলাদেশ বোলারদের, সঙ্গে ফিল্ডারদেরও।
দর্শক কই?
দর্শক নিয়ে চট্টগ্রামের সব সময়ই একটা গর্ব ছিল। খেলাটা যদি হয় সাদা বলের, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্যালারি দেখে মনে হয়েছে, ওয়ানডে নয়, খেলা হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট। লাল বলের খেলায় চট্টগ্রামে এমন মাঠ গ্যালারি দেখে অভ্যস্ত সবাই, সাদা বলে নয়।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ম্যাচ হলেও গ্যালারির অনেকটাই ফাঁকা। সেখানে অবশ্য দেখা মিলল ভিন্ন রকম দুই ইংলিশ দর্শকের।
শুরুতেই রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
আবেদন জোরাল ছিল, তবে আম্পায়ার সাড়া দেননি। কেন দেননি, বল ট্র্যাকিংয়ে ভালোভাবেই বোঝা গেছে সেটি। মোস্তাফিজের বলটা পড়েছিল লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে। জেসন রয় অক্ষতই আছেন, ইনিংসের প্রথম বলেই রিভিউ হারিয়েছে বাংলাদেশ।
তামিম ইকবাল এবার নতুন বল দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে, সিরিজে প্রথমবারের মতো।
ঝোড়ো শুরু ইংল্যান্ডের
এখন পর্যন্ত প্রতি ওভারেই এসেছে বাউন্ডারি, মোস্তাফিজের সঙ্গে তাইজুলকে এনেছেন তামিম। তবে তেমন কোনো হুমকি তৈরি করতে পারেননি তাঁরা, প্রথম বলের ওই রিভিউয়ের পর। ৪ ওভারে ইংল্যান্ড ওপেনাররা যোগ করেছেন ২৯ রান।
দুই প্রান্তেই পরিবর্তন
২ ওভারে ১৮ রান দেওয়া তাইজুলকে সরিয়ে ইবাদতকে এনেছেন তামিম, সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা পেসার করেছেন ইনিংসে প্রথম বাউন্ডারিশূন্য ওভার। অন্য প্রান্তে মোস্তাফিজের জায়গায় এসেছেন সাকিব, লেগ সাইডের বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন ফিল সল্ট।
ইংল্যান্ড ৭ ওভারে ৩৯/০।
ফিফটি জুটির পর সল্টকে ফেরালেন সাকিব
শটটা খেলার পর থেকেই যেন সল্ট বুঝতে পেরেছিলেন, কী হতে যাচ্ছে। তাঁর হতাশাটাও ছিল স্পষ্ট। সাকিবের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে টেনে মারতে গিয়ে সোজা কাভারে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়েছেন ইংলিশ ওপেনার। বাংলাদেশ পেয়েছে প্রথম ব্রেকথ্রুর দেখা। ২৫ বলে ৩৫ রান করে ফিরেছেন সল্ট, ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে ৫৪ রানে।
ইবাদতের শিকার ম্যালান, সাকিবের রয়
আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে সোজা মিড অনে ধরা পড়লেন ডেভিড ম্যালান, বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন ইবাদত হোসেন। পরের ওভারে সাকিবকে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করে বোল্ড হয়েছেন রয়। নিচু হয়েছিল বল, রয় সেটির নাগাল পাননি। ১ রানের মধ্যে ইংল্যান্ড হারিয়েছে ৩ উইকেট!
পাঁচে কারেন
৮ বল ও ১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড। জেমস ভিন্সের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন পাঁচে আসা স্যাম কারেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এই প্রথম এত ওপরে এলেন এ বাঁহাতি।
ইবাদতের আনন্দ
চাপ
প্রথম ২১ বলে কারেনের রান ছিল ৪, এরপর মিরাজকে ডাউন দা গ্রাউন্ডে এসে ছক্কা মারেন তিনি।
প্রথম ৮.৫ ওভারে ৫৪ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড, সল্টের উইকেটের পর থেকে ৭.১ ওভারে উঠেছে মাত্র ১৫ রান।
ইংল্যান্ড চাপে, এ সুযোগে আরও উইকেট নিতে পারবে বাংলাদেশ?
ইংল্যান্ডের ১০০
২২তম ওভারে ১০০ ছুঁয়ে ফেলল ইংল্যান্ড। মোস্তাফিজুর রহমানকে আক্রমণে ফিরিয়ে এনেছেন তামিম, ২ ওভারে কোনো বাউন্ডারি দেননি এ বাঁহাতি পেসার। তবে সর্বশেষ ৭ ওভারে এসেছে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। কারেন এখনো ধীরগতির—৪৬ বলে করেছেন ২৩ রান। ভিন্স অবশ্য স্বচ্ছন্দেই খেলছেন, ২৬ বলে তাঁর রান ২৪। দুজনের জুটিতে উঠে গেছে ৪৭ রান।
ব্রেকথ্রু দিলেন মিরাজ
উইকেটের খোঁজে মোস্তাফিজের পর সাকিবকেও এনেছিলেন তামিম, তবে ব্রেকথ্রু দিলেন মিরাজই। একটু নিচু হওয়া বলটি টেনে খেলতে গিয়ে লং অফে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন কারেন। ৪৯ বলে করেছেন মাত্র ২৩ রান, তাঁকে পাঁচে খেলানোর টোটকা ঠিক কাজে দেয়নি ইংল্যান্ডের। ২৪ ওভারে ১০৭ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ভিন্সের সঙ্গে কারেনের জুটিতে উঠেছে ৪৯ রান।
সাকিবের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ফিরলেন ভিন্স
লেগ মিডলে পড়া বল, এরপর টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়ার আগে ছুঁয়ে গেল ভিন্সের ব্যাটের আউটসাইড-এজ। সাকিবের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে পরাস্ত ভিন্স ফিরলেন ৪৪ বলে ৩৮ রান করে। সাকিব করেছেন বেশ ক্ষীপ্র উদ্যাপন।
ইংল্যান্ড হারিয়েছে পঞ্চম উইকেট, এগিয়ে বাংলাদেশ!
মঈনের স্টাম্প ভাঙলেন ইবাদত
ইবাদত হোসেনের ফুললেংথের বল, মঈন আলী যেন বুঝতেই পারেননি! ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন, মিস করে গেছেন পুরোপুরি। মঈন হারিয়েছেন স্টাম্প, ইংল্যান্ড হারিয়েছে ষষ্ঠ উইকেট, সর্বশেষ ৫ ওভারেই পড়েছে ৩ উইকেট।
জয়ের জন্য এখনো তাদের প্রয়োজন ১১৭ রান। চট্টগ্রাম নিশ্চিতভাবেই এখন ফেবারিট বাংলাদেশ।
বাটলার এলবিডব্লু তাইজুল
রিভিউ নেওয়ার পর আরেকবার শ্যাডো করলেন জস বাটলার, রিভার্স সুইপটা কীভাবে খেলতে চেয়েছিলেন সেটিই যেন দেখালেন। তবে ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। স্লো মোশনে একবার রিপ্লে দেখার পরই হাঁটা শুরু করলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। রিভিউটা যে নিতে হয় বলেই নিয়েছিলেন যেন। তাইজুল ইসলামের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে মিস করে গেছেন, হয়েছেন এলবিডব্লু। বাংলাদেশ পেল মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেট। জয়ের জন্য এখনো ৮৯ রান প্রয়োজন ইংল্যান্ডের, তবে বাকি মাত্র ৩ উইকেট। চট্টগ্রামের জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ!
অদল-বদল
ইংল্যান্ডের টিম শিটে পাঁচ নম্বরে ছিলেন স্যাম কারেন, ব্যাটিংয়ে এসেছিলেন সেখানেই। তবে আদিল রশিদের অবস্থান পরিবর্তিত হলো। প্রাথমিকভাবে রেহান আহমেদের পর আসার কথা থাকলেও আগেই এসেছেন। ইংল্যান্ডের অবস্থা কেমন, হয়তো কিছুটা ফুটে উঠছে তাতেই। বেশ লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ তাদের, তবে প্রয়োজন বড় কোনো জুটি। সাকিব ও ইবাদত—বাংলাদেশের দিনের সেরা দুই বোলারের বাকি ২ ওভার করে। বাটলারকে ফিরিয়ে তাইজুল জুটি ভাঙায় তাঁদের ধরে রাখার সুযোগ পাচ্ছেন তামিম। ৭৭ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৭২ রান।
রইল বাকি দুই!
নিচু হয়ে ঘুরিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন রশিদ, বলের নাগাল পাননি তবুও। তাইজুল আবার আঘাত করেছেন, এবার বোল্ড হয়ে ফিরেছেন রশিদ। ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৭৩ রান, বাংলাদেশের বাকি মাত্র দুটি ভালো বল!
তাইজুল ২/৫২
প্রথম ২ ওভারে ১৮, প্রথম ৪ ওভারে ৩০ রান। তাইজুল ইসলাম সেখান থেকে বোলিং শেষ করেছেন ১০ ওভারে ৫২ রান দিয়ে, নিয়েছেন ২ উইকেট। সাকিব, ইবাদত ও মিরাজের বাকি ২ ওভার করে, মোস্তাফিজের ৪টি। ৬০ বলে ৬৫ রান প্রয়োজন ইংল্যান্ডের, বাকি মাত্র ২ উইকেট।
সাকিবের ৩০০, ইংল্যান্ডের নবম
সাকিবকে ফিরিয়েছেন তামিম। সাকিব উইকেট পেয়েছেন এ স্পেলের প্রথম বলেই! টেনে মারতে গিয়েছিলেন রেহান, শর্ট মিডউইকেটে ডান দিকে ঝুঁকে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন মিরাজ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সাকিবের এটি ৩০০তম উইকেট। ১৪তম বোলার হিসেবে এ কীর্তি হলো তাঁর। ৬ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের ডাবলে সাকিব মাত্র তৃতীয় অলরাউন্ডার।
ক্যাচ ফেললেন তামিম
ক্রিস ওকসের ক্যাচ ফেললেন তামিম ইকবাল। ২০১৫ সালের অ্যাডিলেড?
ইবাদত হোসেনকে তুলে মেরেছিলেন ওকস, লং অফ থেকে ডানদিকে অনেকটা ছুটে ডাইভ দিয়ে হাতে নিলেও ক্যাচটা রাখতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। কঠিন সুযোগ, তবে জয় নিশ্চিত করার সুযোগ হারালেন তামিম। ওকস ব্যাটিং করছিলেন ৩২ রানে।
শেষ করলেন সাকিব
সাকিবের ৫, বাংলাদেশের ৫০ রানের জয়… না, রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন জফরা আর্চার। নিজের স্পেলের শেষ বলে বাংলাদেশের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন সাকিব। সেটি হয়নি, ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বোলিং শেষ করেছেন সাকিব।
৪২ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৫১ রান।
৫০ রানে জিতল বাংলাদেশ
হাত থেকে বের হয়ে গিয়েছিল ক্রিস ওকসের ফিরতি ক্যাচটি। দ্বিতীয় দফার চেষ্টায় এক হাতে সেটি নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। সিরিজে এ বাঁহাতি পেসারের এটি প্রথম উইকেট, তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়ে গেল তাতেই।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে বাংলাদেশ হারাল ৫০ রানে।
২৪৬ রানের সংগ্রহ, ইনিংসের মাঝপথে যেটিকে মনে হচ্ছিল একটু কমই। তবে এ উইকেট ছিল মন্থর, নিচু বাউন্সের। সে অর্থে ব্যাটসম্যানরা স্বস্তি পাননি। যদিও বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ দিকের পর ইংল্যান্ড ইনিংসের শুরুতে ব্যাটিং একটু সহজ মনে হচ্ছিল। ফিল সল্ট ও জেসন রয়ের ওপেনিং জুটিতে শুরুটাও ঝোড়ো করে ইংল্যান্ড।
তবে এরপর থেকে আর সেভাবে বড় জুটি গড়তে পারেনি তারা। সাকিব, ইবাদতের পর তাইজুল, মিরাজও এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু। ইংল্যান্ডের কেউ ফিফটির দেখা পাননি, প্রথম উইকেটের পর ফিফটি জুটিও হয়নি কোনো। ফল—৪৩.১ ওভারে ১৯৬ রানেই আটকে গেছে তারা।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩০০ উইকেট নেওয়ার পথে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত এক দিন কাটিয়েছেন সাকিব। ব্যাটিংয়ে ৭৫ রানের পর নিয়েছেন ৪ উইকেট।
এ জয়ে ২০১৪ সালের পর দেশের মাটিতে প্রথমবার ধবলধোলাই হওয়া আটকেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডকে এ নিয়ে পঞ্চমবার ওয়ানডেতে হারাল বাংলাদেশ, সর্বশেষ জয়টি এসেছিল ২০১৬ সালে।