মুম্বাইয়ের হয়ে ৮৩ ছক্কা মারা কিষানের শক্তির উৎস মায়ের খাবার
ব্যাটিংটা তিনি এভাবেই করেন। ঈশান কিষানের ব্যাটে ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি দেখার প্রত্যাশাটা তো আর এমনিতেই করেননি কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরিটা করে ফেলেছেন এরই মধ্যে।
মুম্বাইয়ের হয়ে আইপিএলে চতুর্থ সর্বোচ্চ ছক্কাও এসেছে তরুণ কিষানের ব্যাট থেকে। মাত্র ছয় মৌসুম খেলেই ৮৩টি ছক্কা মেরেছেন। ছক্কা মারার এ তালিকায় তাঁর ওপর আছেন শুধু কাইরন পোলার্ড, রোহিত শর্মা ও হার্দিক পান্ডিয়া।
গতকালও পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে সূর্যকুমার যাদবকে সঙ্গে নিয়ে যেভাবে ব্যাটিং করেছেন তাতে ২১৫ রানের লক্ষ্যটাও কম মনে হয়েছে। ৭৫ রানের ইনিংস খেলার পথে কিষান মেরেছেন ৭টি চার, ৪টি ছক্কা। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ব্যাটসম্যানের এমন শক্তির উৎস কী—এই কৌতূহল থাকতে পারে অনেকেরই। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে সেই কৌতূহল মিটিয়েছেন এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। ছক্কা মারায় শক্তির উৎস তাঁর মায়ের খাবার।
কিষান বলেছেন, ‘ফিটনেস গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারই আছেন, যাঁরা আমাদের জন্য উদাহরণ তৈরি করেছেন। সঙ্গে বাসায় আমি দারুণ খাবার পাই। তাই কৃতিত্বটা আমার মাকে দিতেই হবে।’
গতকাল ২১৫ রান তাড়া করতে নেমে শূন্য রানেই অধিনায়ক রোহিতকে হারিয়েছিল মুম্বাই। ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে কিষান পরের জুটিতে তোলেন ৫৪ রান। মূলত তৃতীয় উইকেটেই মুম্বাইকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান কিষান আর সূর্যকুমার।
৯.১ ওভার স্থায়ী জুটিতে ১১৬ রান তুলে দেন দুজনে। ২০২০ মৌসুমের পর এই প্রথমবার ১০০ রানের জুটি গড়লেন মুম্বাইয়ের ব্যাটসম্যানরা। এর আগের শতরানের জুটিতেও ছিলেন কিষান, সেবার সঙ্গে ছিলেন কুইন্টন ডি কক।
কীভাবে ছন্দ ধরে রেখে দুই শর বেশি রানের লক্ষ্য তাড়া করেছে মুম্বাই, সে কথাও বলেছেন কিষান, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট খুব ভালো ছিল। ২০ ওভার উইকেটকিপিং করেছি, জানতাম উইকেটটা কেমন। যখন আপনি রান তাড়া করবেন, তখন আপনার ছন্দটা ধরে রাখতে হবে। যখনই আমি আমার জায়গায় বল পেয়েছি, আমি শট খেলেছি। জানতাম বল কিছুটা সুইং করছে, তাই ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে খেলার চিন্তাটা মাথায় এসেছে। আপনি এ ধরনের ম্যাচ শেষ ওভার পর্যন্ত নিতে চাইবেন না। যত দ্রুত সম্ভব খেলা শেষ করতে হবে, যেন নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সহজ হয়।’