সিলেটের ‘স্বস্তি’তে ভারতের সামনে বাংলাদেশ
সকালে নেমেই পার্থক্যটা টের পাওয়া গেল—ঢাকার সঙ্গে সিলেটের আবহাওয়ার। সারা দেশ যখন পুড়ছে প্রচণ্ড দাবদাহে, সিলেটে তখন গত দুদিনই হয়েছে বেশ ভারী বৃষ্টি। সকালেও মেঘ করে এসেছিল বেশ, যদিও বৃষ্টি হয়ে নামেনি।
রোদের উত্তাপ থাকলেও তা বেশ সহনীয়, অন্তত বাইরে থেকে আসা কারও জন্য। লাক্কাতুরার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এমন স্বস্তিকর আবহাওয়ায় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে বাংলাদেশ ও ভারত। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। দুই দলের সর্বশেষ দেখায় ভারত ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
সিলেটে এসে বাংলাদেশের লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ধবলধোলাই হওয়া সিরিজের হতাশা পেছনে ফেলা। অন্যদিকে ভারত নামছে গত জানুয়ারির পর প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে। মাঝে উইমেনস আইপিএলের পর ঘরোয়া ক্রিকেটে আন্তজোন ক্রিকেটে ব্যস্ত ছিলেন কৌর-স্মৃতি মান্ধানারা।
উইকেটে ঘাস আছে ভালোই, সাধারণত এ মাঠের উইকেট রান-প্রসবাই হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের হতাশা ভোলারও তাই উপলক্ষ বাংলাদেশ ব্যাটারদের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১২৬ রান।
টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে ভালো উইকেটের কথা উল্লেখ করেছেন কৌর। তাঁদের দলে আছেন তিন স্পিনারের সঙ্গে দুই পেসার।
নিগার বলেছেন, ‘আমরাও ব্যাট করতে চাইতাম। সিলেটের উইকেট ভালো হয়। আমাদের বোলিং বিভাগ ভালো, আশা করি তাদের কম রানের মধ্যে আটকাতে পারব।’ অভিষেক হচ্ছে কেরালার অফ স্পিনার সাজানা সজীবনের।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচের একাদশ থেকে বাংলাদেশ এনেছে দুটি পরিবর্তন—সোবহানা মোস্তারি ও সুলতানা খাতুন এসেছেন রিতু মনি ও শরীফা খাতুনের জায়গায়।
বাংলাদেশ একাদশ:
নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার (সহ-অধিনায়ক), দিলারা আক্তার, সোবহানা মোস্তারি, মুর্শিদা খাতুন, স্বর্ণা আক্তার, রাবেয়া খান, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, সুলতানা খাতুন ও ফারিহা ইসলাম।
ভারত একাদশ:
হারমানপ্রীত কৌর (অধিনায়ক), স্মৃতি মান্ধানা, যস্তিকা ভাটিয়া (উইকেটকিপার), দীপ্তি শর্মা, শেফালি বর্মা, সাজানা সজীবন, রিচা ঘোষ, পুজা বস্ত্রকর, রেনুকা সিং, শ্রেয়াঙ্কা পাতিল ও রাধা যাদব।