২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

চলে গেলেন ইংল্যান্ডের সেরা স্পিনার ডেরেক আন্ডারউড

ডেরেক আন্ডারউড (১৯৪৫–২০২৪)ইসিবি এক্স অ্যাকাউন্ট

ইংল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে তর্কযোগ্যভাবে সেরা স্পিনার ডেরেক আন্ডারউড ৭৮ বছর বয়সে মারা গেছেন। ১৯৬৬ সালে টেস্টে অভিষিক্ত এই বাঁহাতি স্পিনার ৮৬ টেস্টে ২৯৭ উইকেট নিয়েছেন। টেস্টে ইংল্যান্ডের স্পিনারদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন।

আরও পড়ুন

১৯৮২ সালে শেষ টেস্ট খেলা আন্ডারউডের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার কেটেছে কাউন্টি দল কেন্টে। ১৭ বছর বয়সে কেন্টের মূল দলে অভিষেকের পর তিন যুগের (১৯৬৩-১৯৮৭) বেশি সময়ে কাউন্টি দলটির হয়ে ৯০০–এর বেশি ম্যাচ খেলেছেন সতীর্থদের কাছে ‘ডেডলি’ তকমা পাওয়া এই স্পিনার। ১৯.০৪ গড়ে কেন্টের হয়ে ২৫২৩ উইকেট নিয়েছেন আন্ডারউড।

কেন্ট আজ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ বিবৃতিতে বলেছে, ‘ক্লাবের একজন আইকন ডেরেক আন্ডারউডের ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুতে শোকাহত কেন্ট ক্রিকেট।’

ইংল্যান্ড ক্রিকেটের ‘এক্স’-এ পোস্ট করা বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছে বলেছে, ‘এই দেশের অন্যতম সেরা স্পিনার হিসেবে ডেরেক আন্ডারউডকে মনে রাখা হবে।’

আরও পড়ুন

পরিচ্ছন্ন অ্যাকশন এবং নিখুঁত লাইন-লেংথের জন্য আলাদা খ্যাতি ছিল আন্ডারউডের। বেশ গতিও ছিল বলে এবং সিমের ওপরও বল করতে পারতেন। বৃষ্টিস্নাত উইকেটে ভয়ংকর ছিলেন আন্ডারউড। ১৯৬৮ অ্যাশেজ সিরিজে ওভালে শেষ টেস্টটি স্মরণীয়।

বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই টেস্টে মাঠকে খেলার উপযোগী করে তুলতে দর্শকেরাও হাত লাগিয়েছিলেন। মাঠ ও উইকেট খেলার উপযোগী করে তোলার পর সেই ম্যাচে আন্ডারউড ২৭ বলের ব্যবধানে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে একাই হারিয়ে দেন। ম্যাচ শেষ হতে তখন মাত্র ৬ মিনিট বাকি!

অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটসহ সে ম্যাচে ১৩৯ রানে মোট ৯ উইকেট নিয়েছিলেন আন্ডারউড। সেই জয়ে ইংল্যান্ড সেবারের অ্যাশেজে ১-১ ব্যবধানে সমতায়ও ফেরে। টেস্টে ৫১ রানে ৮ উইকেট তাঁর সেরা বোলিং।

আরও পড়ুন

ইংল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে আন্ডারউড ষষ্ঠ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ২৬টি ওয়ানডে খেলে ৩২ উইকেটও নিয়েছেন। খেলেছেন ১৯৭৫ বিশ্বকাপেও। দেশটির স্পিনারদের মধ্যে টেস্টে উইকেট নেওয়ায় তারপর দ্বিতীয় সেরা গ্রায়েম সোয়ান (৬০ টেস্টে ২৫৫ উইকেট)।

আইসিসির রেট্রোস্পেকটিভ টেস্ট বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৯৬৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত শীর্ষেও ছিলেন এই কিংবদন্তি স্পিনার। কেন্ট এবং ইংল্যান্ডের হয়ে কিংবদন্তি উইকেটকিপার অ্যালান নটের সঙ্গে তাঁর জুটিও মনে রেখেছেন অনেকেই।

তবে সত্তর দশকের শেষ ভাগে কেরি প্যাকারের ওয়ার্ল্ড সিরিজ ১৯৮২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘রেবেল ট্যুর’–এ না গেলে ইংল্যান্ডের হয়ে আন্ডারউডের উইকেটসংখ্যা আরও বাড়ত।

খেলা ছাড়ার পর মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) সভাপতির পদও সামলেছেন আন্ডারউড।

আরও পড়ুন