বিসিবি সভাপতিকে আগেই যা বলেছিলেন সাকিব
যে গতিতে এগোচ্ছিলেন, রেকর্ডটা হয়তো নতুন করে গড়তেই পারতেন সাকিব আল হাসান। বলা হচ্ছে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ডের কথা। ২০১০ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৪ বলে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েছিলেন তামিম ইকবাল। ৯ বছর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তামিমের গড়া সেই রেকর্ডে ভাগ বসান সৌম্য সরকার।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে সে রেকর্ডে চোখ ছিল সাকিবেরও। রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্যের কথা নাকি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকেও জানিয়েছিলেন সাকিব। আজ মাঠে খেলা দেখতে এসে এই তথ্য দিলেন নাজমুল নিজেই। আজ বিকেলে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে নাজমুল বলেছেন, ‘আমি সকালে তাড়াহুড়া করে মাঠে এসেছিলাম দুটি সেঞ্চুরি দেখতে। একটি হলো, আরেকটি ফসকে গেল। আমাকে আগেই সাকিব বলছিল যে, সে দ্রুততম সেঞ্চুরি করবে। আমি আবার ওকে বলেছিলাম—‘‘এই এসব চলবে না, আগে ফিফটি কর। তাড়াহুড়া করো না।’’ সে ভালো খেলেছে কিন্তু সেঞ্চুরিটা হলো না। ১৩ রান দূরে থেকে গেল।’
দিনের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিমের প্রশংসাও করেছেন বোর্ড প্রধান, ‘আমি সব সময় বলে এসেছি, মুশফিক আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। মাঝে কিছুদিন রান পায়নি। তবে আমি সব সময় বিশ্বাস করতাম যে, সে রানে ফিরবে। ওয়ানডের পর টেস্টেও সেঞ্চুরি করল। ওর ওপর আমাদের এই আস্থাটা আছে।’
বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরনও পছন্দ হয়েছে নাজমুল হাসানের। আজ আইরিশদের বিপক্ষে ওভার প্রতি চারের ওপর রান রেটে খেলেছেন সাকিব-মুশফিকরা। ৫০-এর বেশি রান করা চার ব্যাটসম্যানের তিনজনেরই স্ট্রাইক রেট ৭০-এর বেশি।
এটা দেখে বেশ খুশি নাজমুলও, ‘খেলোয়াড়দের সবার মানসিকতা এখন ইতিবাচক। তবে টেস্টে এখনো আমরা আহামরি কোনো ভালো দল না। আজকের খেলা দেখে মনে হচ্ছে খুব ভালো, কালকে মেজাজটাই খারাপ ছিল। এখনো আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। তবে আমার ধারণা এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ টেস্টে ভালো দল হয়ে উঠবে।’