- হ্যালো সিলেট
- টস
- খেলছেন জাকের আলী
- শ্রীলঙ্কার নতুন অধিনায়ক
- চারের পর আউট আভিস্কা
- রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
- এবার তাসকিনের আঘাত
- টাইমড আউট?
- ৪৫/২, ৬ ওভার
- রিশাদের ওভারে ৩
- এলোমেলো মেহেদী
- ১০ ওভারে ৭৮/২
- ৫০ রানের জুটি, মেন্ডিসের ৫০
- ২১ রানের ওভার
- বাঁচলেন মেন্ডিস
- রিশাদ এনে দিলেন ব্রেকথ্রু
- ১৭ ওভারে ১৫৭/৩
- সামারাবিক্রমার ফিফটি
- শ্রীলঙ্কা ২০৬/৩, ২০ ওভার
- লিটন আউট!
- ৩ ওভারশেষে
- সৌম্যকেও হারাল বাংলাদেশ
- তিন নম্বর
- ৪৩/৩, ৬ ওভার
- মাহমুদউল্লাহ-নাজমুল
- উইকেট ছুড়ে এলেন নাজমুল
- পার্থক্য বড় উইকেটসংখ্যায়
- নতুন বল প্লিজ!
- মাহমুদউল্লাহর ফিফটি
- থামলেন মাহমুদউল্লাহ
- এবার আশা দিচ্ছেন জাকের
- ২৪ বলে দরকার ৫৬
- জাকেরের ফিফটি, পাতিরানার ১১ বলের ওভার
- দুই চারের পর ফিরলেন মেহেদী
- ৬ বলে ১২
- ৩ রানে হারল বাংলাদেশ
- পারলেন না জাকের, পারল না বাংলাদেশ
- বলছেন নাজমুল
- অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে জয় আসালাঙ্কার, হলেন ম্যাচসেরাও
- জাকেরের রেকর্ড
- বাংলাদেশের আফসোস
হ্যালো সিলেট
বিপিএল শেষ, এবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির পালা। ফলে আবার প্রথম আলো লাইভ!
সিলেটে তিন ম্যাচের ডাচ-বাংলা টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটির টস একটু পর। পূর্ণমেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর নাজমুল হোসেনের এটি প্রথম সিরিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতিতেও যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
আপনাকে স্বাগত।
টস
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
খেলছেন জাকের আলী
এর আগে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন জাকের, তবে সেগুলো ছিল এশিয়ান গেমসে। এ সিরিজের দলে শুরুতে ছিলেন না তিনি। প্রথমবারের মতো ডাক পাওয়া স্পিনার আলিস আল ইসলাম চোটে পড়ে ছিটকে যাওয়াতে আনা হয় জাকেরকে। আজ খেলানো হচ্ছে তাঁকে।
২০২২ সালের পর প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলছেন মাহমুদউল্লাহও।
বাংলাদেশ একাদশ
নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও জাকের আলী।
শ্রীলঙ্কার নতুন অধিনায়ক
নিয়মিত অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা আইসিসির নিষেধাজ্ঞায়। তাঁর বদলে অনুমিতভাবেই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন চারিত আসালাঙ্কা।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
আভিস্কা ফার্নান্ডো, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিত আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, দাসুন শানাকা, মহীশ তিকশানা, আকিলা দনাঞ্জয়া, বিনুরা ফার্নান্ডো, মাতিশা পাতিরানা।
চারের পর আউট আভিস্কা
শরীফুল ইসলামের প্রথম বলে চার মেরে শুরু করেছিলেন আভিস্কা ফার্নান্ডো। অফ স্টাম্পের বাইরে ড্রাইভ করতে গিয়ে আউটসাইড-এজড হয়েছিলেন আভিস্কা, যদিও চার পান। পরের বল শরীফুল করেন আরেকটু ভেতরে, পড়ার পর শেপ করে একটু ভেতরেও ঢুকছিল তা। আবার ব্যাট চালিয়ে এবার উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি।
পরের বলে তৈরি হয়েছিল আরেকটি সুযোগ। থেমে আসা বলটিতে এবার লিডিং-এজড হন নতুন ব্যাটসম্যান কামিন্দু মেন্ডিস। তবে লাফটা ঠিকঠাক দিতে পারেননি শরীফুল, ফিরতি ক্যাচ নিতে পারেননি তাই। মেন্ডিস ৪ বল খেলেও রান নিতে পারেননি।
১ ওভারে ৪/১।
রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
প্রথম ওভারটি আঁটসাঁটই করেছেন তাসকিন। ১টি ওয়াইডসহ দিয়েছেন ৫ রান। শরীফুলের পরের ওভারের প্রথম বলে ইনিংসের প্রথম ছক্কাটি মেরেছেন কামিন্দু মেন্ডিস, প্যাডের ওপর থেকে দারুণ পিক-আপ শটে। শেষ বলে গিয়ে মেরেছেন আরেকটি চার। মাঝে কুশলের বিপক্ষে একটি রিভিউও হারিয়েছে বাংলাদেশ। শরীফুল ইসলামের বল পড়েছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে।
৩ ওভারে ২১/১।
এবার তাসকিনের আঘাত
লেংথ বল। টেনে মারতে গিয়েছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস। সরাসরি ক্যাচ গেছে মিডউইকেটে থাকা সৌম্য সরকারের হাতে। এ জুটি বড় হচ্ছিল, শুরুর উইকেটের পর পাওয়ারপ্লেতে শ্রীলঙ্কাকে এনে দিচ্ছিল মোমেন্টাম। আগের ওভারে প্রথমবারের মতো এসে ১১ রান দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান। তাসকিনের আঘাতে ভাঙল সে জুটি। কামিন্দু থেমেছেন ১৪ বলে ১৯ রান করে, ৩৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
টাইমড আউট?
না, এখন পর্যন্ত কেউ টাইমড আউট হননি। তবে প্রথম উইকেট নেওয়ার পর এমন উদ্যাপন করেছেন শরীফুল ইসলাম। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা—সে এক দ্বৈরথ বটে!
৪৫/২, ৬ ওভার
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারটি করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। মানে প্রথম ৬ ওভারে নাজমুল ব্যবহার করলেন চার জন বোলারকে। শুরুতে উইকেট হারানোর পর শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে, এরপর আবার হারিয়েছে উইকেট। সব মিলিয়ে পাওয়ারপ্লেতে বেশি খুশি হওয়ার কথা স্বাগতিকদেরই।
রিশাদের ওভারে ৩
পাওয়ারপ্লের ঠিক পরের ওভারে রিশাদ। এ লেগ স্পিনার প্রথম ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৩টি সিঙ্গেল। এর মধ্যে একটি আবার এসেছে মিসফিল্ডে। সামারাবিক্রমা ক্যাচও তুলেছিলেন, যদিও সেটি গেছে রিশাদের মাথার ওপর দিয়েই।
এলোমেলো মেহেদী
লাইন-লেংথ ঠিক খুঁজে পাচ্ছেন না মেহেদী। প্রথম ওভারের মতো এবারও ফুলটস করেছেন, যদিও সে দফা বেঁচে যান। কিন্তু চারে শুরু মেহেদীর ওভার শেষ হয়েছে ছক্কায়। বল পিচ পড়ার জায়গায় গিয়ে লং অনের ওপর দিয়ে তুলে মেরেছেন কুশল মেন্ডিস। মেহেদীর প্রথম ২ ওভারে এসেছে ২৪ রান।
৮ ওভারে ৬১/২।
১০ ওভারে ৭৮/২
শর্ট লেংথের পর ফুললেংথেও তাসকিনকে চার মেরেছেন মেন্ডিস। মেন্ডিস ও সামারাবিক্রমার জুটিতে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
৫০ রানের জুটি, মেন্ডিসের ৫০
শুরুতে দুজনই সময় নিয়েছেন। কুশল মেন্ডিস এবং সাদিরা সামারাবিক্রমা এবার গতি বাড়াচ্ছেন। ৪২ বলে ৫০ রানের জুটি হয়ে গেছে তাঁদের। রিশাদকে মারা মেন্ডিসের চারে পূর্ণ হয় সে মাইলফলক।
পরের দুই বলে দুটি ছক্কা মেরে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন মেন্ডিস। মাত্র ২৮ বল লেগেছে তাঁর। শ্রীলঙ্কা পেরিয়ে গেছে ১০০ রানও।
১২ ওভারে ১০২/২
২১ রানের ওভার
সামারাবিক্রমাকে একের পর এক উপহার দিলেন শরীফুল। শর্ট বলে পুল করে ছক্কা মারলেন সামারাবিক্রমা, শরীফুলের শর্ট বলে এরপর ওয়াইড থেকে এল ৫ রান। লেগ সাইডে পাওয়া বলের উপহারও ছাড়েননি সামারাবিক্রমা, অফ স্টাম্পের বাইরের বলে এরপর কাট করে মারেন আরেকতি চার। শরীফুলের করা ১৩তম ওভারে এসেছে ২১ রান। এক লাফে শ্রীলঙ্কার স্কোর এখন ২ উইকেটে ১২৩ রান। সর্বশেষ ২ ওভারে এসেছে ৩৯ রান।
বাঁচলেন মেন্ডিস
ঝড় থামাতে নাজমুল এনেছেন সৌম্য সরকারকে। উইকেটও পেয়ে যেতে পারতেন তিনি। টপ-এজড হয়েছিলেন কুশল মেন্ডিস। পেছনে ছুটলেও বলের গতিপথ ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি লিটন। অবশ্য বল গ্লাভসে পেয়েছিলেন, পড়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখেছিলেনও। কিন্তু ঝাঁকিটা আর সামলাতে পারেননি। মেন্ডিস বেঁচে গেছেন ৫৬ রানে। এরপর আউটসাইড-এজে আরেকটি ক্যাচ তুললেও এবার সেটি লিটনের সামনেই পড়ে।
১৪ ওভারে ১৩১/২।
রিশাদ এনে দিলেন ব্রেকথ্রু
মেন্ডিসকে থামালেন রিশাদ। স্লটে পেয়ে তুলে মেরেছিলেন, কিন্তু লং অফে মাহমুদউল্লাহকে পার করাতে পারেননি। সময়মতো লাফ দিয়ে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। মেন্ডিস ফিরলেন ৩৬ বলে ৫৯ রান করে, সামারাবিক্রমার সঙ্গে তাঁর জুটি ভাঙল ৯৬ রানে।
১৭ ওভারে ১৫৭/৩
প্রথম ২ ওভারে ২৪ রান দেওয়া মেহেদী তৃতীয় ওভারে ৬ রানের বেশি দেননি। তবে তাসকিনের ওভারে দুই ছক্কায় সে চাপ কমিয়ে আনেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কা।
সামারাবিক্রমার ফিফটি
প্রথম ৩ বলে দুটি ওয়াইডসহ মোস্তাফিজ দিয়েছিলেন ৩ রান। কিন্তু সে শুরুটা ধরে রাখতে পারেননি। শেষ ৩ বলে আসে ১১ রান। শেষ বলে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন সামারাবিক্রমা। লেগেছে ৪৩ বল। ১৮ ওভারশেষে ১৭১/৩, ২০০-এর সম্ভাবনা টিকে আছে ভালোভাবেই।
শ্রীলঙ্কা ২০৬/৩, ২০ ওভার
কোলের ওপর পেয়ে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে ছক্কা। তাতেই ২০০ পেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। শেষ ওভারে মোস্তাফিজ দিয়েছেন ২৪ রান। শ্রীলঙ্কা তুলেছে ২০৬ রান। দেশের মাটিতে এর আগে ১৬৪ রানের বেশি তাড়া করে জেতেনি বাংলাদেশ। সিলেটের এ মাঠে এত রান তুলেও এর আগে হারেনি কোনো দল।
অবশ্য মাঠে শিশিরের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতোই। ইতিহাস পক্ষে না থাকলেও চ্যালেঞ্জিং স্কোরে বাংলাদেশকে আশা জোগাতে পারে সেটি।
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে বেশ চাপের মধ্যেই রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কুশল মেন্ডিসের পর চারিত আসালাঙ্কার সঙ্গে দুটি জুটিতে শ্রীলঙ্কাকে দারুণ এক অবস্থানে নিয়ে গেছেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। মেন্ডিসের সঙ্গে জুটিতে ভিতটা গড়েছেন, এরপর আসালাঙ্কাকে নিয়ে দিয়েছেন লাফ।
৬১ বলে ৯৬ রানের পর ৩৩ বলে ৭৩ রানের ঝোড়ো জুটিরও অংশ ছিলেন সামারাবিক্রমা। নিজে অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৬১ রান করে। আসালাঙ্কা খেলেন ২১ বলে ৪৪ রানের ইনিংস।
শরীফুল ও তাসকিনের পর শুরুটা ভালো করেছিলেন মোস্তাফিজও। তবে পরে এলোমেলো হয়ে পড়েন। মেহেদী আবার এলোমেলো শুরুর পর শেষটা ভালো করেছেন। এ ডামাডোলে ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলার রিশাদই। ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে এ লেগ স্পিনার নেন ১ উইকেট।
লিটন আউট!
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে উইকেট পড়েছিল দ্বিতীয় বলে। বাংলাদেশের ইনিংসে পড়ল তৃতীয় বলে! শ্রীলঙ্কার পেসার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস প্রথম বলটি ভেতরে ঢুকিয়েছিলেন। পরেরটি আউটসুইং ছিল, খোঁচা মেরেছিলেন লিটন। তৃতীয় বলটিও ছিল আউটসুইং, এবারও ব্যাটে খেলতে গিয়ে কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দেন লিটন (০)।
বাংলাদেশ ১ ওভার শেষে ১ উইকেট ৩। ক্রিজে সৌম্য সরকারের সঙ্গী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
৩ ওভারশেষে
শ্রীলঙ্কা ২১/১
বাংলাদেশ ২১/১
শ্রীলঙ্কা উইকেট হারিয়েছিল ইনিংসের দ্বিতীয় বলে। বাংলাদেশ হারিয়েছে তৃতীয় বলে।
সৌম্যকেও হারাল বাংলাদেশ
পাওয়ারপ্লেতে শ্রীলঙ্কা হারিয়েছিল ২ উইকেট, তবে দ্বিতীয়টি পঞ্চম ওভারে গিয়ে। বাংলাদেশ চতুর্থ ওভারেই হারিয়ে ফেলেছে দ্বিতীয়টি। প্রথম বলে বিনুরা ফার্নান্ডোকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন সৌম্য, মিড অফ থেকে পেছনের দিকে ছুটে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন আসালাঙ্কা।
তিন নম্বর
এবার তাওহিদ হৃদয়। ফার্নান্ডোকে ছক্কা মেরে শুরু করেছিলেন। কিন্তু হৃদয় টিকলেন না বেশিক্ষণ। টানা তৃতীয় ওভার করতে আসা ম্যাথুসের লেংথ থেকে একটু বাড়তি বাউন্সের বলে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হয়েছেন হৃদয়। ম্যাথুস পেয়েছেন দ্বিতীয় উইকেট, বাংলাদেশ হারিয়ে তৃতীয়টি।
৪৩/৩, ৬ ওভার
পাওয়ারপ্লেটা ঠিক মনমতো গেল না বাংলাদেশের। বড় রানের লক্ষ্যে ৩ উইকেট হারানোর পর নাজমুল ও মাহমুদউল্লাহর সামনে এখন দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জ—জুটি গড়ার সঙ্গে নেট রান রেটকেও নাগালের মধ্যে রাখা।
মাহমুদউল্লাহ-নাজমুল
মাহমুদউল্লাহ শুরু করেছিলেন ম্যাথুসকে ছক্কা মেরে। নাজমুলের সঙ্গে জুটিতে ‘অ্যাগ্রেসর’-এর ভূমিকা তাঁর। প্রথম ১০ বলে করেছেন ২৪ রান। অন্যদিকে নাজমুল অপরাজিত ১৯ বলে ২০ রানে। দুজনের জুটিতে দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।
উইকেট ছুড়ে এলেন নাজমুল
পাতিরানা শর্ট বলে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন নাজমুলকে। প্রথমে বুকে লাগল, এরপর ডাক করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু তৃতীয় শর্ট বলে নিজেকে সামলাতে না পেরে ব্যাট চালালেন। ম্যাথুসের কাছে সহজ ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন নাজমুল। ২২ বলে ২০ রান তাঁর।
পার্থক্য বড় উইকেটসংখ্যায়
১০ ওভারশেষে শ্রীলঙ্কা ৭৯/২, বাংলাদেশ ৭৮/৪
রানের হিসাবে পার্থক্যটা বড় নয়। তবে উইকেটের সংখ্যায় বেশ।
সে উইকেটের সংখ্যা আরেকটি বাড়তে পারত সহজেই। দনাঞ্জয়াকে করা মাহমুদউল্লাহর স্লগ সুইপে টাইমিং ঠিক ছিল না মোটেও। কিন্তু ওয়াইড লং অনে সেটি নিতে পারেননি সামারাবিক্রমা। সেটি আবার চারও হয়েছে। জীবন পাওয়ার সময় মাহমুদউল্লাহর রান ছিল ২৭।
নতুন বল প্লিজ!
প্রথমে ফ্রি হিটে মাহমুদউল্লাহ নিলেন ডাবলস। সে বলে আবার নো পাতিরানার। লেংথ বলে এরপর স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে গ্যালারির ছাদে পাঠিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। সে বল ফিরে আসেনি আর।
পরপর দুটি নো করার পর পাতিরানা স্টাম্পের দুই পাশে দিয়েছেন পরপর দুটি ওয়াইড। জাকেরের বিপক্ষে এরপর একটি রিভিউও হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। পাতিরানা এরপর করেছেন ওভারের তৃতীয় ওয়াইডটি। শেষ বলে পাতিরানা করেছিলেন শর্ট লেংথে। জাকের আপার কাটে উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে মেরেছেন ছক্কা।
১১ বলের ওভারে এসেছে ২০ রান। ৫৪ বলে দরকার ১০৯ রান।
মাহমুদউল্লাহর ফিফটি
২০২২ সালে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন। মাঝে ওয়ানডে দলে ফেরা এ সংস্করণেও ফিরলেন এবার। ফিরেই পেলেন ফিফটির দেখা। ২৭ বলেই মাইলফলকে গেলেন তিনি। ক্যারিয়ারে তাঁর সপ্তম ফিফটি এটি। নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের আশা এখন তাঁকে ঘিরে।
থামলেন মাহমুদউল্লাহ
টাইমিংটা ভালোই ছিল। তবে যতটা চেয়েছিলেন, ততটা তুলতে পারেননি। তিকশানার বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে থামলেন মাহমুদউল্লাহ। ৩১ বলে ৫৪ রান করে ফিরলেন তিনি। বাংলাদেশের আশাও কি নিয়ে গেলেন সঙ্গে?
এবার আশা দিচ্ছেন জাকের
শানাকার পরপর দুই বলে দুটি ছক্কা জাকেরের—ফুলটসের পর স্লো বাউন্সারে টেনে মেরেছেন। আগের ওভারে জাকের মেরেছিলেন আরেকটি ছক্কা। শেষ ২ ওভারে এসেছে ২৬ রান। ৩০ বলে দরকার ৬৮, জাকের অপরাজিত ১৬ বলে ৩১ রানে….
২৪ বলে দরকার ৫৬
ফুলটস মিস করে গেছেন মেহেদী। জাকের অবশ্য ঠিকই টেনে মেরেছেন ছক্কা। পাতিরানার শেষ ওভারে এসেছে ১২ রান। ২৪ বলে প্রয়োজন ৫৬ রান।
জাকেরের ফিফটি, পাতিরানার ১১ বলের ওভার
ঘটনাবহুল ওভার।
পাতিরানা করেছেন পাঁচটি ওয়াইড। পায়ে টান পড়েছে তাঁর। স্লোয়ারে এরপর স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে ইনিংসে নিজের ষষ্ঠ ছক্কাটি মেরেছেন জাকের। ওভারের শেষ বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে টেনে চার মারে ২৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেছেন জাকের। ১৮ বলে বাংলাদেশের দরকার ৩৭ রান।
দুই চারের পর ফিরলেন মেহেদী
প্রথম ৪ বলে মেহেদী মেরেছিলেন দুটি চার। বিনুরার শর্ট বলে এরপর এক হাত ফসকে গেল ব্যাট থেকে, টপ-এজে ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন তিনি। আটে এসেছেন রিশাদ হোসেন। ১৩ বলে ২৭ রান প্রয়োজন এখন।
৬ বলে ১২
প্রথম বলটা ডট দিয়েছিলেন জাকের। পাতিরানার লো ফুলটস এরপর মিস করেননি, মেরেছেন চার। সেটি আবার পাতিরানা করেছিলেন নো। ফ্রি হিটে যদিও ২ রানের বেশি আসেনি, কিন্তু পরের বলে জাকের মেরেছেন আরেকটি চার। যাতে ছিল শ্রীলঙ্কার মিসফিল্ডেরও অবদান। শেষ বলে স্ট্রাইক ধরে রাখার চেষ্টা করেননি, সুযোগ পেয়ে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে মেরেছেন আরেকটি চার।
৩ রানে হারল বাংলাদেশ
সামনে এসে ফুলটসই পেয়েছিলেন রিশাদ, কিন্তু দাসুন শানাকার বলটি মিড অফ পার করাতে পারেননি রিশাদ। জাকেরকে স্ট্রাইক ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব এরপর ছিল তাসকিন আহমেদের। শানাকার ওয়াইড তাঁকে স্বস্তি দেয় শুরুতে। পরের বলে জাকেরকে স্ট্রাইক ফিরিয়ে দেন তিনি।
৪ বলে দরকার ১০ রান।
শানাকা এরপর করেন ফুললেংথে। জাকের তুলেছিলেন। কিন্তু লং অফে আসালাঙ্কাকে পার করাতে পারেননি। ৩৪ বলে ৬৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে থেমেছেন জাকের। সেটি বাংলাদেশকে আশা জুগিয়েছে, কিন্তু যথেষ্ট না-ও হতে পারে!
শরীফুল ভাবলেন অন্য কিছু। এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার। পরের বলে সিঙ্গেল। শেষ বলে স্ট্রাইকে তাসকিন, বাংলাদেশের দরকার ছিল তাতে ৫ রান। ৪ হলে সুপার ওভার, ৬ হলে জয়। তাসকিন সিঙ্গেলের বেশি নিতে পারেননি।
৩ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা।
পারলেন না জাকের, পারল না বাংলাদেশ
লক্ষ্য ২০৭ রানের। ১০ ওভারশেষে ৭৮ রান তুলতে বাংলাদেশ হারায় চতুর্থ উইকেট। সিলেটে বাংলাদেশের জয়কে তখন মনে হচ্ছিল অনেক দূরের পথ।
মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলী সেখান থেকেই দলকে নিয়ে গেলেন জয়ের অনেক কাছে। ২০২২ সালের পর প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ আউট হন ১৪তম ওভারে ৩১ বলে ৫৪ রানের ইনিংসের পর। বাংলাদেশের সমীকরণ কঠিন হয়ে পড়ে আরও।
জাকের সে সমীকরণ মিলিয়েই ফেলেন প্রায়। দুর্দান্ত হিটিংয়ে বাংলাদেশকে যেমন আশা দেন, চাপে ফেলেন শ্রীলঙ্কাকে। মেহেদী হাসানও এগিয়ে আসেন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২ রান। তৃতীয় বলে গিয়ে স্ট্রাইক পাওয়া জাকের আর শেষ করে আসতে পারেননি।
বলছেন নাজমুল
ছেলেরা তাদের দৃঢ় মানসিকতা দেখিয়েছে।
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে জয় আসালাঙ্কার, হলেন ম্যাচসেরাও
সবাই অবদান রেখেছে।