৫ মাসের মধ্যে পাকিস্তানে তৃতীয় নির্বাচক কমিটি
গত ডিসেম্বরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পালাবদলে প্রথম দফা বদলেছিল নির্বাচক কমিটি। পাঁচ মাসের মধ্যে তৃতীয় নির্বাচক কমিটি ঘোষণা করল পিসিবি। আজ পাকিস্তানের জাতীয় পুরুষ নির্বাচক কমিটি দিয়েছে বোর্ডটি, যে কমিটি জাতীয় দলের সঙ্গে শাহিনস (‘এ’ দল) ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলও নির্বাচন করবে।
নতুন নির্বাচক কমিটিতে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হাসান চিমার নাম। এক সময় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোতে লেখক হিসেবে কাজ করা চিমা বেশ কিছুদিন ধরেই পিএসএলের দল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করছিলেন। এবার পিসিবি তাঁকে নিয়োগ দিয়েছে ‘নির্বাচক কমিটির সচিব এবং বিশ্লেষণ ও দলীয় কৌশলের ব্যবস্থাপক’ হিসেবে। আগের মতোই চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন সাবেক ব্যাটসম্যান হারুন রশীদ। নির্বাচক কমিটিতে থাকবেন পুরুষ জাতীয় দলের পরিচালক মিকি আর্থার, সম্প্রতি প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্নও।
নির্বাচক কমিটির নিয়োগ নিয়ে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিসিবি বলেছে, ‘বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কাজ করা চিমা, আর্থার ও ব্র্যাডবার্নের উপস্থিতি আসন্ন সিরিজগুলোতে কৌশল নির্ধারণে, বেঞ্চের শক্তিমত্তা বাড়াতে, শাহিনস ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে জাতীয় দলে আসার সঠিক গতিপথ প্রদানে সহায়তা করবে।’
চিমার নিয়োগ প্রসঙ্গে বিবিসি উর্দুকে পিসিবির চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি বলেন, ‘আমরা দল নির্বাচনে ডেটা ব্যবহার করতে চাই, হাসান এ ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ।’
নতুন নির্বাচক কমিটির প্রথম কাজ অবশ্য কোনো দল নির্বাচন নয়। লাহোরে আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় ফাস্ট ও স্পিন বোলিং ক্যাম্পের জন্য সবার আগে খেলোয়াড়দের নাম ঘোষণা করবে তারা।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে পিসিবিতে ব্যাপক পালাবদল আসে। রমিজ রাজার জায়গায় পিসিবির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন শেঠি। তাঁর ব্যবস্থাপনা কমিটির নেওয়া প্রথম সিদ্ধান্ত ছিল—তখনকার প্রধান নির্বাচক মোহাম্মদ ওয়াসিমকে বরখাস্ত করা। ওয়াসিমকে সরিয়ে দিয়ে সে সময় অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিকে। তাঁর সহকারী হিসেবে ছিলেন আব্দুল রাজ্জাক ও রাও ইফতিখার আনজুম।
এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটিকে সরিয়ে পূর্ণ মেয়াদের কমিটিকে নিয়োগ দেয় পিসিবি। রশীদের নেতৃত্বে সে কমিটিতে ছিলেন কামরান আকমল, মোহাম্মদ সামি ও ইয়াসির হামিদ। জুনিয়র পর্যায়ের জন্য আলাদা একটি নির্বাচক কমিটি ছিল। আকমলের নেতৃত্বে সে কমিটিতে ছিলেন তৌসিফ আহমেদ, আরশাদ খান, শহীদ নাজির ও শোয়েব খান।
তবে তিন মাস না পেরোতেই রশীদ ছাড়া সরিয়ে দেওয়া হলো সবাইকে।