ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এবার সুযোগই দিল না ইংল্যান্ড
একবার ২০২২ সালে, আরেকবার ২০২৩ সালে—টানা দুই বছরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এসে ৩-২ ব্যবধানে হেরেছে ইংল্যান্ড। তবে জশ বাটলারের দল এবার ক্যারিবীয়দের সেই সুযোগই দিল না। পাঁচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম তিনটিতেই জয় তুলে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড।
আজ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছিল ৮ উইকেটে ১৪৫ রান। ইংল্যান্ড তাড়া করেছে ৪ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে।
সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় পাওয়ার প্লের মধ্যে ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। সেখান থেকে সফরকারীদের উদ্ধার করে স্যাম কারেন ও উইল জ্যাকসের চতুর্থ উইকেট জুটি।
৩৩ বল স্থায়ী জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৩৮ রান। জ্যাকস ৩২ রান করে গুড়াকেশ মোতির শিকার হয়ে ফিরলে কারেনকে সঙ্গ দেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ১ ছক্কা ৩ চারে ২৬ বলে ৪১ রান করে কারেনও ফেরেনও জয় থেকে ৩২ রান দূরে থাকতে।
ইংল্যান্ডকে শেষের সময়টায় ভরসা জোগান লিভিংস্টোন। ৬ ও ৮ রানে নিকোলাস পুরান আর ২১ রানে শিমরন হেটমায়ারকে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া এই ব্যাটসম্যান খেলেন ২৮ বলে ৩৯ রানের ইনিংস, যার মধ্যে ছিল দুটি করে চার ও ছয়।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও ছিল নড়বড়ে। প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে ৩৭ রান তুলতেই ফেরেন পাঁচ ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে তিনজনকেই ফেরান সাকিব মেহমুদ। ক্যারিবীয়দের রান এক শ পার করার কৃতিত্বটা অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল ও রোমারিও শেফার্ডের। দুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় ৭৩ রান।
শেফার্ড ২৮ বলে ৩০ রান করে ফিরলেও পাওয়েল নিজের ইনিংস টেনে নেন ফিফটি পর্যন্ত। ৪১ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে ৪টি ছক্কা ও ৩টি চার মারেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক।
তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য এই রানও যথেষ্ট হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঠেকাতে পারেনি দুই ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ হারও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৪৫/৮ (পাওয়েল ৫৪, শেফার্ড ৩০; সাকিব ৩/১৭, ওভারটন ৩/২০)।
ইংল্যান্ড: ১৯.২ ওভারে ১৪৯/৭ (কারেন ৪১, লিভিংস্টোন ৩৯, জ্যাকস ৩২; আকিল ৪/২২)।
ফল: ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাকিব মেহমুদ।
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড ৩–০ ব্যবধানে এগিয়ে।