‘বিশ্বকাপে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে বাবর’, বলছেন গৌতম গম্ভীর
গৌতম গম্ভীরের মুখে সচরাচর অন্য ক্রিকেটারদের প্রশংসা শোনা যায় না। বিশেষ করে সেই ক্রিকেটার যদি হন পাকিস্তানের, তাহলে তো কথাই নেই। এই তো কদিন আগে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে মাঠে ভারতীয় ক্রিকেটাররা হাসিমুখে কথা বলায় বেজায় চটেছিলেন গম্ভীর।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন তিনি। সেই গম্ভীরের মুখেই এবার পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের প্রশংসা! ভারতের এই সাবেক ক্রিকেটার বলেছেন, ভারত বিশ্বকাপে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে বাবরের ব্যাট।
সম্প্রতি শেষ হওয়া এশিয়া কাপে বাবর অবশ্য নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। নেপালের বিপক্ষে ১৫১ রানের ইনিংস খেলা বাবর এশিয়া কাপে পরের তিন ম্যাচে রান পাননি। সুপার ফোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭ রানে আউট হন। ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রান করেছেন যথাক্রমে ১০ ও ২৯।
ব্যাটসম্যান বাবর যেমন ব্যর্থ হয়েছেন, তেমনি তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ভরাডুবির কারণ হিসেবে অনেকেই বাবরের নেতৃত্বকে দায়ী করেন। গম্ভীর নিজেও বাবরের অধিনায়কত্বের সমালোচনা করেছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর বাবরের অধিনায়ত্বকে অতি সাধারণ বলেছিলেন গম্ভীর।
বিশ্বকাপের আগে সেই বাবরকেই প্রশংসায় ভাসালেন ভারতের সাবেক ওপেনার। অনেকটা এগিয়ে রাখলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, কেইন উইলিয়ামসনদের চেয়েও। স্টার স্পোর্টসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গম্ভীর বলেছেন, ‘বাবর আজম এই বিশ্বকাপে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে। খুব কম খেলোয়াড়ই দেখেছি, যারা এতটা সময় নিয়ে খেলতে পারে। অবশ্য রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, কেইন উইলিয়ামসন, জো রুট, ডেভিড ওয়ার্নার আছে, তবে বাবরের সামর্থ্য ভিন্ন পর্যায়ের।’
গতকাল ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারিয়ে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছে ভারত। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে আগেই র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় ছিল তারা। অর্থাৎ বর্তমানে রাহুল দ্রাবিড়ের ভারত তিন সংস্করণেরই শীর্ষে।
গম্ভীর অবশ্য মনে করেন, এসব র্যাঙ্কিংয়ে কিছুই আসে যায় না। কীভাবে বিশ্বকাপ জিততে হবে, সেই উপায়ও বলেছেন ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ৯৭ রানের ইনিংস খেলা গম্ভীর, ‘কোনো সন্দেহ নেই, যদি বিশ্বকাপ জিততে চাও, অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে হবে। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, সেই বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি। ২০১১ বিশ্বকাপেও আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি। আইসিসি টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়াই সবচেয়ে শক্তিশালী দল। র্যাঙ্কিং মুছে ফেল, র্যাঙ্কিংয়ে কিছু আসে যায় না।’