পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে ২৬ রান দরকার ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এই রান তুলতে ক্রিজে কলকাতার দুই ‘আদর্শ’ ব্যাটসম্যানই ছিলেন—আন্দ্রে রাসেল ও রিংকু সিং। স্যাম কারেনের করা ১৯তম ওভারেই ম্যাচটা প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছিল!
কারেনকে মারা তিন ছক্কায় ম্যাচটা পাঞ্জাবের মুঠো থেকে বের করে আনেন রাসেল। সে ওভারে উঠেছে মোট ২০ রান। শেষ ওভারে ম্যাচ ঝুলে পড়ে কলকাতার দিকে। ৬ বলে ৬ রান তোলার চ্যালেঞ্জটা হয়ে পড়ে সহজ আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু জয়টা এত সহজে আসেনি।
পাঞ্জাবের হয়ে শেষ ওভার করতে আসেন অর্শদীপ সিং। প্রথম ৩ বলে দিয়েছেন ২ রান। চতুর্থ বলে ২ রান নেন রাসেল। জয়ের জন্য শেষ ২ বলে দরকার ছিল ২ রান। পঞ্চম বলে উইকেটকিপারের হাতে বল দিয়ে ১ রান চুরি করতে গিয়ে রানআউট হন রাসেল। শেষ বলে দরকার ২ রান। স্ট্রাইকে থাকা রিংকু সিংকে কোমর সমান উচ্চতায় ফুল টস মারার খেসারত গুণে বাউন্ডারি হজম করেন অর্শদীপ। শেষ বলে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় কলকাতা। এ জয়ে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে উঠে এসেছে কলকাতা।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৭৯ রান তুলেছিল পাঞ্জাব। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কলকাতাকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার জেসন রয় ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৪.৪ ওভারে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ৩৮ রান উঠেছে ওপেনিং জুটিতে। ১২ বলে ১৫ করে আউট হন গুরবাজ।
তৃতীয় উইকেটে নিতীশ রানা ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ৩৮ বলে ৫১ রানের জুটিতে জয়ের ভিত পেয়েছে কলকাতা। ৩৮ বলে ৫১ করে আউট হন নিতীশ। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ৫৮ রান দরকার ছিল কলকাতার। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে রাসেলের ২৩ বলে ৪২ রানের ইনিংস দারুণ কাজে লেগেছে। ১০ বলে ২১ রানে অপরাজিত থেকে কলকাতাকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রিংকু।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঞ্জাবের হয়ে ৪৭ বলে ৫৭ রান করেন অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। শাহরুখ খান অপরাজিত ছিলেন ৮ বলে ২১ করে। কলকাতার হয়ে ২৬ রানে ৩ উইকেট বরুণ চক্রবর্তীর।