পান্ডিয়া গুলি খেতে প্রস্তুত ছিলেন, তবু কোহলিকে আউট হতে দিতেন না
২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কমেনি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রেশ। গতকাল বিরাট কোহলির অনবদ্য এক ইনিংসে পাকিস্তানের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ বলে জিতেছে ভারত। কোহলির অসাধারণ ৫৩ বলে ৮২ রানের ইনিংসটিতে কিছুটা হলেও আড়াল হয়ে গেছে হার্দিক পান্ডিয়ার ৩৭ বলে ৪০ রানের ইনিংসটি। তবে ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় পান্ডিয়ার সেই ইনিংসটিও ছিল সমান গুরুত্বপূর্ণ।
কোহলির সঙ্গে পান্ডিয়া যখন জুটি গড়েন, তখন ভারতের রান ৪ উইকেটে ৩১। প্রয়োজনীয় রানরেটও তখন ১১-এর ওপরে। শেষ ১০ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১১৫ রান। সেখান থেকেই দলকে জয়ের পথে নিয়ে গিয়েছিলেন কোহলি-পান্ডিয়া জুটি। শেষ ওভারে পান্ডিয়া ফিরে যাওয়ার আগে নিজের কাজটা ঠিকই করে যান এই অলরাউন্ডার।
সে সময় কীভাবে পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান, ম্যাচের পর একে অপরের সঙ্গে এক আলাপে সেটিই তুলে ধরেছেন পান্ডিয়া ও কোহলি। বিসিসিআইয়ের আপলোড করা সেই ভিডিওতে কোহলির উদ্দেশে পান্ডিয়া বলেছেন, প্রয়োজনে গুলি খেতে প্রস্তুত ছিলেন, তবু কোহলিকে আউট হতে দিতেন না।
দল যখন বিপর্যয়ে পড়ে হারের শঙ্কায় কাঁপছিল, তখন কী পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিলেন, তা জানাতে গিয়ে কোহলিকে পান্ডিয়া বলেছেন, ‘আমি তোমার জন্য গুলি খেতেও প্রস্তুত ছিলাম, তবে সে সময়ে তোমাকে আউট হতে দিতাম না। আমার লক্ষ্য ছিল খুবই সরল, যেভাবেই পারি তোমার জন্য কাজটা সহজ করে দেওয়া। তোমার জন্য এই কাজ অনেক সহজ। কারণ, তোমার চেয়ে ভালোভাবে চাপ সামলাতে কে আর পারে! আমি শুধু খেলাটা চালিয়ে নিতে চেয়েছিলাম এবং চেয়েছিলাম আমাদের কেউ যেন আউট না হয়ে যায়।’
ভারতের ব্যাটিং লাইনআপের গভীরতা অনেক। কোহলি-পান্ডিয়ার পরও ম্যাচের গতিপথ বদলানোর মতো খেলোয়াড় ছিল।
তবু পান্ডিয়া চেয়েছিলেন যতক্ষণ সম্ভব টিকে থেকে জয়টা অনায়াস করতে, ‘যদিও আমাদের এমন খেলোয়াড় আসার অপেক্ষায় ছিল, যারা ম্যাচটা জিততে আমাদের সাহায্য করতে পারত। তারা সেটা করেছেও। তবে এটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে আমি এবং তুমি যেন টিকে থাকতে পারি। আমার বিশ্বাস ছিল সেটা আমরা করতে পারব। এমনকি যখন ৩ ওভারে ৪০ রান প্রয়োজন ছিল এবং যখন আমরা বল মিস করছিলাম, তখনো আমি জানতাম আমাদের কেউ বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারব।’