বর্ষসেরা ক্রিকেটার বাবর আজম
ব্যাট হাতে ও নেতৃত্বে বাবর আজমের ২০২২ সালটি ছিল এক কথায় অসাধারণ। সব মিলিয়ে ৪৪ ম্যাচ খেলে ৫৪.১২ গড়ে ৮টি সেঞ্চুরি ও ১৫টি ফিফটিতে ২৫৯৮ রান করেছেন পাকিস্তানের এই অধিনায়ক। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে পাকিস্তান গত বছর ম্যাচ খেলেছে ৪৪টি। বাবরের নেতৃত্বে এর মধ্যে ২৩টি ম্যাচ জিতেছে তারা। নিজের ও দলের এমন পারফরম্যান্সের পুরস্কারও পেয়েছেন বাবর। বেন স্টোকস, সিকান্দার রাজা, টিম সাউদিকে পেছনে ফেলে আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি জিতেছেন তিনি।
গত বছর অল্প সময়ের জন্য ছন্দপতন হয়নি বাবরের। ব্যাট হাতে ব্যক্তিগত কিছু রেকর্ড গড়েছেন তিনি। সব সংস্করণ মিলিয়ে গত বছর একমাত্র বাবরই দুই হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছেন। আড়াই হাজারের ওপরে রান তোলার পথে তাঁর আটটি সেঞ্চুরি ও ১৭টি ফিফটি এক বর্ষপঞ্জিতে নিজের সর্বোচ্চ।
ব্যাট হাতে গত বছর বাবর টেস্ট খেলেছেন ৯টি। ১৭ ইনিংসে ৬৯.৬৪ গড়ে রান করেছেন ১১৮৪। চারটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি করেছেন সাতটি ফিফটি। এরপরও অবশ্য টেস্টের বর্ষসেরা হতে পারেননি বাবর। এর একটা কারণ হয়তো টেস্টে তাঁর দলের অতটা সফলতা না পাওয়া। গত বছর ৯টি টেস্ট খেলে একটিই জিতেছে পাকিস্তান। পাঁচটি ম্যাচ হেরেছে আর ড্র করেছে একটি।
২০২২ সালে ওয়ানডেতে ৩টি সেঞ্চুরিসহ ৮৪.৮৭ গড়ে ৬৭৯ রান করেছেন বাবর। দুর্দান্ত এই ব্যাটিংই বাবরকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে খেলোয়াড়ের পুরস্কার এনে দিয়েছে।
২০২২ সালে বাবর ওয়ানডেতে ৯টি ম্যাচ খেলেছেন। তিনটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ফিফটি পাঁচটি। একটি ম্যাচেই শুধু বলার মতো রান করতে পারেননি তিনি। মুলতানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচে আউট হয়েছিলেন ১ রান করে। ২০২২ সালে ওয়ানডেতে পাকিস্তানও দুর্দান্ত ছন্দে ছিল। একটি মাত্র ম্যাচ হেরেছে তারা। লাহোরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮৮ রানে হেরে যাওয়া সেই ম্যাচে বাবর করেছিলেন ৫৭ রান।