বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি সিরিজ, নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক
দুই দলের জন্যই এ সিরিজটি বিশ্বকাপের এক রকম প্রস্তুতি। তবে সে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা দক্ষিণ আফ্রিকা—কোনো দলই পাচ্ছে না পূর্ণশক্তির দল। থাকছেন না দল দুটির অধিনায়কও। দুজনই ব্যস্ত আইপিএলে।
আগামী ২৩ মে জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ ২৫ ও ২৬ মে। এ সিরিজের জন্য আজ দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রোভম্যান পাওয়েলের জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দেবেন ব্র্যান্ডন কিং। এর আগে নেপাল সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের নেতৃত্বে ছিলেন কিং, যদিও চোটের কারণে সফর শেষ করতে পারেননি।
অন্যদিকে নিয়মিত অধিনায়ক পাওয়েল রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে এবারের আইপিএলে খেলছেন। আগামী ২২ মে এলিমিনেটর ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হবে তারা। অধিনায়ক ছাড়াও বিশ্বকাপ দলের আন্দ্রে রাসেল (কলকাতা নাইট রাইডার্স), শিমরন হেটমায়ার (রাজস্থান রয়্যালস), আলজারি জোসেফ (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু) ও শেরফান রাদারফোর্ডকে (কলকাতা) এ সিরিজে পাচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাঁদের দল আইপিএলের প্লে অফে উঠেছে। তাঁদের মধ্যে জোসেফ দলের সহ-অধিনায়ক, এখন তাঁর বদলে সে দায়িত্ব পালন করবেন রোস্টন চেজ।
অবশ্য উইন্ডিজ ক্রিকেট জানিয়েছে, দল ফাইনালে উঠতে না পারলে জোসেফ ও রাদারফোর্ড দলে যোগ দেবেন। তবে নিজেদের দল আগেই প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সিরিজে খেলবেন না নিকোলাস পুরান (লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস) ও শাই হোপ (দিল্লি ক্যাপিটালস)। দুজনকেই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ সিরিজে দলে ডাকা হয়েছে ম্যাথু ফোর্ড ও কাইল মেয়ার্সকে। দুজনই বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়ার কাছাকাছি একটা অবস্থানে ছিলেন। এখন সে টুর্নামেন্টে তাদের রিজার্ভ হিসেবে রাখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হতে পারে আলোচিত পেসার শামার জোসেফের। বিশ্বকাপ দলে থাকা এ পেসার আইপিএলে খেলেছিলেন একটি ম্যাচ, সব মিলিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তিনি খেলেছেন তিনটি ম্যাচ।
এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের জন্য আগেই দল ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এইডেন মার্করামের জায়গায় অধিনায়কত্ব করবেন রেসি ফন ডার ডুসেন। মার্করাম খেলছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। তাঁর মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে খেলবেন না মার্কো ইয়ানসেন ও হাইনরিখ ক্লাসেনও, দুজনই মার্করামের হায়দরাবাদ-সতীর্থও। এ ছাড়া বিশ্বকাপ দলে থাকলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলছেন না কেশব মহারাজ (রাজস্থান রয়্যালস), ডেভিড মিলার (গুজরাট টাইটানস) ও ট্রিস্টান স্টাবস (দিল্লি ক্যাপিটালস)। মিলার ও স্টাবসের দল অবশ্য প্লে অফে ওঠেনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে এ ক্ষেত্রে অবশ্য ভিন্ন পথেই হেঁটেছে ইংল্যান্ড। ২২ মে থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে চার ম্যাচের সিরিজ শুরু তাদের। সেটি খেলতে অধিনায়ক জস বাটলারসহ বিশ্বকাপ দলে থাকা যে সব খেলোয়াড় আইপিএলে ছিলেন, সবাই আরও আগেই চলে গেছেন। আর বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান চেন্নাই সুপার কিংস ছেড়ে এসেছিলেন জিম্বাবুয়ে সিরিজেই।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল
ব্র্যান্ডন কিং (অধিনায়ক), রস্টন চেজ, অ্যালিক অ্যাথানাজ, জনসন চার্লস, আন্দ্রে ফ্লেচার, ম্যাথু ফোর্ড, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেইন, শামার জোসেফ, কাইল মেয়ার্স, ওবেদ ম্যাকয়, গুড়াকেশ মোতি, রোমারিও শেফার্ড, হেইডেন ওয়ালশ।